কভিড-১৯ পরিস্থিতে প্রাথমিক বিদ্যালয় চালু করা হলে এক দিন অর্ধেক শিক্ষার্থী স্কুলে যাবে, বাকি অর্ধেক যাবে অন্য দিন। এভাবে একদিন পরপর দুই গ্রুপে বিভক্ত হয়ে ক্লাস করতে পারবে, স্কুলে প্রবেশের আগে সাবান-পানি দিয়ে শিক্ষার্থীদের হাত ধুতে হবে। সবাইকে মাস্ক ব্যবহার করতে হবে। আর শিক্ষার্থীসহ সবার তাপমাত্রা মেপে স্কুলে ঢুকতে হবে। এসব নানা প্রস্তাব রেখেই কভিড-১৯ পরিস্থিতিতে বিদ্যালয় পুনরায় চালু করার গাইডলাইন তৈরি করছে বলে জানান প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব আকরাম-আল-হোসাইন।
তবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কবে খুলবে তা এখনো সিদ্ধান্ত হয়নি জানিয়ে সচিব বলেন, করোনা পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে সরকার এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে।
আজ ১৮ আগষ্ট মঙ্গলবার এই গাইডলাইন নিয়ে বৈঠক হয় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ে। স্কুল ম্যানেজিং কমিটি, জনপ্রতিনিধি, স্থানীয় প্রশাসন এই গাইডলাইন মনিটরিং করবে। বিদ্যালয়ে অবস্থানকালে ব্যাক্তিগত সুরক্ষার স্বার্থে করণীয় বিষয়াবলী নিয়ে ভিডিও তৈরি করে সোশ্যাল মিডিয়াসহ টিভি-পত্রিকায় প্রচার করা হবে। স্বাস্থ্য সুওরক্ষা ও নিরাপত্তার জন্য পাঠদান সময়ে শিক্ষার্থীদেরে উপসর্গ বা আক্রান্ত হলে করণীয় কী- এসব উঠে এসেছে সেই গাইডলাইনে।
উক্ত গাইডলাইনে স্কুলের বার্ষিক বরাদ্দের ৫০ হাজার টাকা থেকে খরচ করে হাত ধোয়া বা অন্যান্য সুরক্ষা বিষয়াদি ব্যাবস্থা করতে স্কুল কর্তৃপক্ষকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে ।তবে মাস্ক শিক্ষার্থীদের নিজে ব্যাবস্থা করতে প্রস্থাব করা হয়েছে।