এনজিও তে ক্যারিয়ার: বেলাল হোসেন সুজন।

NGO (Non-Government Organization) হল বেসরকারি অলাভজনক সংগঠন যারা দেশ, সমাজ ও মানুষের উন্নয়নের জন্য নানামুখী কাজ করে থাকে। এদের উদ্দেশ্য হচ্ছে বিভিন্ন বিদেশি দাতাদের অর্থায়নের ভিত্তিতে সরকারকে উন্নয়নে সহযোগীতা করা ও আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে সক্রিয় অবদান রাখা। বাংলাদেশে বর্তমানে দুই হাজারের বেশি এনজিও আছে, এসব এনজিও শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কৃষি, কর্মসংস্থান ও অন্যান্য বিষয় নিয়ে কাজ করে থাকে।

বর্তমানে এনজিওগুলোর মূল কাজ হচ্ছে মানুষের মধ্যে যে আত্মবিকাশের ক্ষমতা আছে সেটা কাজে লাগানো। মানুষ যেন নিজেই নিজের অবস্থা পরিবর্তন করতে পারে তার ব্যবস্থা করে দেওয়া। এই প্রক্রিয়া থেকে সুবিধাবঞ্চিত হতদরিদ্র জনগোষ্ঠী যখন লাভবান হন তখন তাদের মধ্যে একটি বিশেষ আত্মতৃপ্তি কাজ করে, তাদের সামাজিক মর্যাদা বাড়ে- যা তাদের আরো সামনে এগিয়ে যেতে উদ্বুদ্ধ করে। এনজিওগুলো দেখে যে একটি নির্দিষ্ট জনগোষ্ঠী/লোকালয়ের মানুষদের যে সকল ক্ষেত্রে উন্নয়ন প্রয়োজন, সেই অনুযায়ী তারা কাজ করে থাকে।

বাংলাদেশের সব অঞ্চলেই কমবেশি এরা কাজ করে থাকে। এদের মধ্যে কিছু কিছু শহরকেন্দ্রীক, কিছু আছে গ্রাম কেন্দ্রীক, আবার কিছু এনজিও আছে যারা শহর ও গ্রাম উভয় এলাকাতেই কর্মপরিচালনা করে।

এনজিওগুলোর কাজ বিশেষ ভৌগোলিক এলাকা ভিত্তিক-ও হয়ে থাকে, যেমন চর/উপকূলীয়/পার্বত্য এলাকা কেন্দ্রীক এনজিও। এছাড়া তারা বিশেষ জনগোষ্ঠীকে নিয়েও কাজ করে, যেমন- প্রতিবন্ধী জনগোষ্ঠী, শ্রমজীবি শিশু, রোহিঙ্গা শরণার্থী কিংবা নির্যাতিতা নারী।

এনজিও এর কাজ বহুমুখী, সেখানে কাজের ক্ষেত্রও ব্যাপক। মাঠ পর্যায়ে ছোট-বড় বিভিন্ন জনগোষ্ঠীর সাথে মেশা, তাদের সমস্যার কথা সরকার ও সমাজের প্রতিষ্ঠিত মহলকে জানানো, তাদের উন্নয়নে বিভিন্ন প্রজেক্ট হাতে নেওয়া, এর জন্য দাতাগোষ্ঠীর কাছ থেকে অনুদান সংগ্রহ করা, সামগ্রিকভাবে বিভিন্ন প্রজেক্ট পরিচালনা করা- নানা স্তরে এনজিওতে অসংখ্য গুরুত্বপূর্ণ কাজ রয়েছে।

এনজিও তে চাকরি কেনো করবেন:
এনজিওতে কাজের ধরন অন্যান্য সেক্টরগুলো থেকে ভিন্ন হয়ে থাকে। এ পেশায় আসার আগে অবশ্যই একজনকে মানসিকভাবে ঠিক করে নিতে হবে যে, আদৌ এ পেশাটি তার জন্য উপযুক্ত কিনা। এখানে প্রতিটি কর্মীকে মানুষের কল্যাণে কাজ করতে হয় স্বতঃস্ফূর্তভাবে। তাই এনজিওতে আপনি কেন কাজ করবেন তা নির্ভর করছে আপনার সমাজের সুবিধা বঞ্চিত মানুষের পাশে দাঁড়ানোর ইচ্ছা থেকে। এছাড়াও নিজের ক্যারিয়ার গড়ার সহায়ক উপাদান হিসেবে এনজিওতে কর্মরত অবস্থায় আপনি বিভিন্ন ধরণের সুযোগ সুবিধা পেয়ে থাকবেন। দেশের বিভিন্ন স্থানে ভ্রমণের সুযোগ থেকে আপনি সে সকল অঞ্চলের মানুষ এবং সংস্কৃতি সম্পর্কে জানতে পারবেন একেবারে কাছ থেকে। সর্বোপরি দরিদ্র সুবিধা বঞ্চিতদের উন্নয়নমূলক কাজে সরাসরি নিজেকে নিয়োজিত করতে পারবেন। বর্তমান সময়ে’করোনা’ মহামারীর মতো দূর্যোগের এই সময়ে একজন স্বাস্থ্যকর্মী হিসাবে দেশ এবং আন্তর্জাতিক ভাবে নিজেকে উৎসর্গ করতে পারবেন, এছাড়াও পারবেন রোহিঙ্গা শরণার্থীদের সেবা করতে।

কাজের ধরন:

এনজিওতে কাজের ধরনকে প্রধানত দুটি ভাগে ভাগ করা যায়। একটি হচ্ছে প্রজেক্ট ভিত্তিক, এবং আরেকটি হচ্ছে পার্মানেন্ট বা স্থায়ী ভিত্তিক।

Project: প্রজেক্ট ভিত্তিক কাজগুলোতে কর্মীরা চুক্তি ভিত্তিতে নিযুক্ত হন। অর্থাৎ প্রজেক্টের মেয়াদ যতদিন থাকবে, ঐ পদের জন্য তারা ততোদিনই কাজ করবেন। এ ধরণের প্রজেক্টগুলো সাধারণত গড়ে ৩ বছর মেয়াদী হয়ে থাকে। তবে এই প্রজেক্টগুলোর মেয়াদ পরবর্তীতে নবায়িত হতে পারে। আপনার কাজের উপর নির্ভর করবে প্রজেক্টের পরবর্তী অংশের জন্য আপনার চুক্তি নবায়িত হবে কিনা।

Regular/Permanent: এনজিওতে কিছু পদ আছে যেগুলোকে বলা হয়ে থাকে রেগুলার পজিশন। প্রজেক্টের সাথে এগুলো সরাসরি সম্পৃক্ত থাকে না। এগুলোকে সুপারভাইজরি পজিশন-ও বলা হয়ে থাকে। যেমন, ফিন্যান্স ম্যানেজার, একাউন্টস ম্যানেজার, হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজার, নার্সিং সুপারভাইসর ইত্যাদি। স্থায়ী ম্যানেজারদের বেতন-ভাতাদি নির্দিষ্ট কোনো প্রজেক্টের উপর নির্ভর করে না। এদের তত্ত্বাবধানে থাকেন প্রজেক্টের উউর্ধতন অফিসাররা,অনেক সময় জাতিসংঘ (UN) ফান্ড। স্থায়ী ভিত্তিতে কর্মরতদের কর্মক্ষেত্র এবং কাজের ধরন সাধারণত অন্যান্য সেক্টরগুলোর মতোই হয়ে থাকে।

এন্ট্রি লেভেল: নিয়োগপ্রাপ্তদের চাকরির প্রথম ৩ থেকে ৬ মাস প্রবেশনারি পিরিয়ড হিসেবে বিবেচিত হয়ে থাকে। এন্ট্রি লেভেল এর জন্য সাধারণত Assistant Officer/ Assistant Program Officer/ Fellow Nurse / ইত্যাদি পদে লোক নিয়োগ করা হয়ে থাকে। আবার কোনো কোনো প্রতিষ্ঠান সরাসরি অফিসার পদে লোক নেয়। এসব পদ সাধারণত যারা মাস্টার্স বা টেকনিকাল বিষয়ে নির্ধারিত ডিগ্রি (নার্সিং ও মিডওয়াইফারি কোর্স) অর্জন করেছে, তাদের জন্য খোলা থাকে।

বেতন ও পদোন্নতি: এনজিও তে বেতন কাঠামো নির্ভর করে ঐ প্রতিষ্ঠানের নীতিমালার উপর। আন্তর্জাতিক এনজিওগুলো দেশি এনজিওগুলোর তুলনায় অপেক্ষাকৃত বেশি বেতন দিয়ে থাকে। এন্ট্রি লেভেলের কর্মীদের বেতন ১০ হাজার থেকে ৩৫ হাজার টাকার মধ্যে হয়ে থাকে। কর্মীকে কোন কোন এলাকায় নিয়োগ দেওয়া হয়েছে তার উপরেও অনেক সময় বেতনের পরিমাণ নির্ভর করে।

এন্ট্রি লেভেলে বেতন কম থাকে কারণ আদর্শগতভাবে এনজিও কোনো ব্যবসায়িক লাভের জন্য কাজ করে না। তাই এনজিওর লক্ষ্য থাকে কর্মীদের যত কম বেতন দিয়ে অবশিষ্ট অর্থ উন্নয়নের কাজে লাগানো যায়। বেতন শুরুতে কম থাকলেও পরবর্তীতে পদোন্নতির সাথে সাথে বৃদ্ধি পাবে।

এনজিওতে পদোন্নতির ধরনটা অন্যান্য সেক্টরগুলো থেকে অনেকটাই আলাদা। বেশিরভাগ এনজিওতে পদোন্নতি ‘সময় ভিত্তিক’ না হয়ে ‘পারফর্মেন্স ভিত্তিক’ হয়ে থাকে। ভালো প্রতিষ্ঠানগুলোতে “Annual Performance Appraisal System” থাকে, যা বছর শেষে কর্মীদের কর্মদক্ষতা মূল্যায়ন করে। তাই, অন্যান্য সেক্টরের মত এখানে একটি নির্দিষ্ট সময় কাজ করলেই পদোন্নতির নিশ্চয়তা পাওয়া যায় না, বরং তা নির্ভর করে কর্মীর কৃতিত্ব ও কর্মদক্ষতার উপর।

এই মুহূর্তের চাহিদা (এন্ট্রি লেভেল): বর্তমান প্রেক্ষাপটে এনজিও গুলোতে ‘Nurse,IPC Nurse, Referral Nurse ’ ইত্যাদি পদে ক্যারিয়ার গড়ার চাহিদা নার্সদের খুব কম কিন্তু এনিজও গুলোতে প্রচুর পরিমানে দক্ষ,কর্মট নার্স প্রয়োজন। প্রায় এনজিওর প্রোগ্রাম ম্যানেজার দের কাছ থেকে শুনা যায় তারা সঠিক জনবল বা দক্ষ একজন সেবক/ সেবিকার অভাবে ভুগছেন, যার ফলসরূপ কোনো নার্সকে যদি কোনো ডেডিকেটেড পদের জন্য বাচাই করাও হয় দেখা যাচ্ছে ৩ মাস ৬ মাস পর তার যোগ্যতার অভাবে সেই নার্সকে চাকরিচূত করে নতুন নার্সের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দিতে হচ্ছে। এই পদে কর্মরত অবস্থায় একজন নার্সিং কর্মী যেমন নানামুখী কাজ শিখতে পারেন, ঠিক তেমনি ভাবে নিজের কর্ম দক্ষতা দিয়ে ভবিষ্যৎ ক্যারিয়ার উজ্জ্বল করতে পারেন। এ প্রসঙ্গে কথা বলেছিলাম ‘মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন’ এর প্রোগ্রাম ম্যানেজার আব্দুল্লা আল মামুন বলেন: ‘It is a challenge. Initially you have to move a lot, you have to work a lot, you have to learn a lot.’

চাকরি পরিবর্তন: অন্যান্য সেক্টর গুলোর তুলনায় এনজিও তে চাকরির পরিবর্তন খুব ঘন ঘন হয়ে থাকে। সাধারণত এই ধরণের পরিবর্তন এন্ট্রি লেভেল থেকে মিড লেভেল পর্যন্ত হয়। তবে উঁচু পজিশনে এটি খুব একটা দেখা যায় না। ‘প্রজেক্ট ভিত্তিক কাজ’ হওয়ার কারণে মিড লেভেল এবং এন্ট্রি লেভেলে চাকরি পরিবর্তনের হারটি তুলনামূলক বেশী। তবে এই ধরণের পরিবর্তন একজন কর্মীকে নানান অভিজ্ঞতা অর্জনের সুযোগ দিয়ে থাকে, যা পরবর্তীতে তার ক্যারিয়ার গড়তে সাহায্য করে। যেমন- ইমারজেন্সি নার্স থেকে, আইপিডি নার্স, স্কের্নিং নার্স,রেফারাল নার্স,ফেলো নার্স ইত্যাদি। শুধু পদ ই পরিবর্তন হয় না অনেকসময় কর্মস্থল পরিবর্তন হতে দেখা যায়।

বিদেশে কাজের সুযোগ: এনজিওতে দেশের বিভিন্ন স্থানে কাজ করার অভিজ্ঞতা অর্জনের পাশাপাশি দেশের বাইরে কাজ করার বা প্রশিক্ষণ অর্জন করার অভিজ্ঞতা নেওয়া যায়। এখানে প্রশিক্ষণের জন্য বিদেশ গমন অন্য যেকোন সেক্টরের চেয়ে বেশি। আন্তর্জাতিক এনজিওগুলোতে নার্সদেরকে বিভিন্ন প্রশিক্ষণ বা সেশন নেওয়ার জন্য বিদেশে যেতে যাওয়ার ব্যাবস্থা সংশ্লিষ্ট অর্গানাইজেশন করে দেয় কিন্তু এক্ষেত্রে অবশ্যই নিজেকে ততটুকু যোগ্রত্য সম্পূর্ন করতে হবে।(নূন্যতম প্রাতিষ্ঠানিক ডিগ্রীর পাশাপাাশি OET কোর্স সম্পূর্ন করতে হবে)

অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা: এনজিওতে নারীদের জন্য বিশেষ সুযোগ সুবিধা রয়েছে। এই সেক্টরটি কে বলা হয়ে থাকে ‘Women Friendly’। এখানে নারীদের নিয়োগের ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়ে থাকে। কোনো কোনো এনজিওতে যাতায়াত ভাতা পুরুষদের তুলনায় মহিলাদের বেশি দেওয়া হয়। এছাড়া তাদের নিরাপত্তার দিকেও যথেষ্ট খেয়াল রাখা হয়।

এনজিওতে মৌলিক বেতনের পাশাপাশি বাড়ি ভাড়া, যাতায়াত ভাতা, উৎসব ভাতা, মাতৃত্বকালীন/পিতৃত্বকালীন ছুটি (পিতৃত্বকালীন ছুটি সাধারণত ১০ দিন) ইত্যাদি দেওয়া হয়। এছাড়া Hardship Allowance প্রদান করা হয়। যারা স্বাস্থ্যকর্মী আছে এবং বর্তমান ‘করোনা’ ডেডিকেটেড হাসপাতালে জব করেন তাদেরকে রিক্স এনাউন্স ও দেওয়া হয়।

উল্লেখ্য যে, নার্সিং এ যেহেতু ছেলেদের তুলনায় মেয়েদের সংখ্যা বেশি তাই তাদের নিরাপত্তার জন্য বিভিন্ন ট্রেনিং ওয়ার্কসপ এর মাধম্যে সবাইকে নারীদের সঠিক মূল্যায়ন সম্পর্কে ধারনা দেওয়া হয়। আন্তর্জাতিক এনজিওগুলো যেহেতু বিশ্বের বিভিন্ন দেশে কাজ করে, সেহেতু তারা কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিরাপত্তার বিষয়ে বিশেষ দৃষ্টি রাখে। কারণ, কোনো একটি দেশের কেউ যদি অনিরাপত্তাজনিত ঘটনায় আক্রান্ত হন, এনজিওকে তার জন্য বাকি সবকয়টি দেশে জবাবদিহি করতে হয়।

যোগ্যতা:
মানসিক প্রস্তুতি: এনজিওতে কোনো চাকরীপ্রার্থীকে কাজ দেওয়ার ক্ষেত্রে সবার আগে দেখা হয় প্রার্থী মানসিকভাবে উপযুক্ত কি-না। প্রজেক্ট সাপোর্ট সেকশনে কাজের ক্ষেত্রে মানসিক প্রস্তুতি মুখ্য বিষয় নয়, তবে মাঠপর্যায়ে চাকরীর জন্য প্রার্থীর থাকতে হবে সবার সাথে কাজ করার ও মেশার ইচ্ছা, মানুষকে জানার আকাঙ্ক্ষা, সমাজের উন্নয়নে উদ্যোগী মনোভাব। তার সাথে সমাজের গঠন সম্পর্কে ধারনা থাকতে হবেঃ মানুষ কেনো দরিদ্র, নারী-পুরুষের বৈষম্য শুরু হয় কোথা থেকে, সংস্কৃতি কিভাবে পরিবর্তিত হয়, শহরায়ন কিভাবে হয় ইত্যাদি। এখানে গতানুগতিক ধারায় চিন্তা করার অবকাশ নেই। এর জন্য পত্র-পত্রিকা ও সমাজ বিশ্লেষণের বইপত্র পড়তে হবে। মনে রাখতে হবে যে, এন্ট্রি লেভেলে প্রকল্প বাস্তবায়নের কাজে আপনাকে পাঠানো হতে পারে দুর্গম কোনো অঞ্চলে। সুতরাং, সেই এলাকার মানুষের সাথে একাত্ম হয়ে তাদের উন্নয়নে কাজ করার মানসিকতা আপনার থাকতে হবে। এ ধনের চাকরি দেওয়ার ক্ষেত্রে প্রার্থীর প্রতিশ্রুতি, সমাজ সম্পর্কে জ্ঞান এবং মানুষের প্রতি শ্রদ্ধাকে গুরুত্বের সাথে দেখা হয়। যদি আপনি একজন সেবক বা সেবিকা হোন আপনার ক্ষেত্রে বিষয়টা আরো চ্যালেঞ্জিং।

প্রশিক্ষন: Bdjobs Training, ব্র্যাক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ডেভেলপমেন্ট স্টাডিস ডিপার্টমেন্ট) ইত্যাদি স্থানে এনজিও সম্পর্কিত বিভিন্ন কোর্স করা যায়। এগুলোর জন্য সুনির্দিষ্ট শিক্ষাগত যোগ্যতা দরকার হয় না। এছাড়া চাকরি পাওয়ার পর অভ্যন্তরীন প্রশিক্ষণ থাকে। নার্সিং এর ট্রেনিং করতে চাইলে প্রাতিষ্ঠানিক প্রশিক্ষণ এর পাশাপাাশি অনলাইনে অনেক ধরনের ট্রেনিং করা যায়। যেমন-ALS,BLS,GVB,PSEA,CPR,ইত্যাদি।

অভিজ্ঞতা: সংশ্লিষ্ট বিষয়ে ডিগ্রী থাকতে হবে। কিছু Basic প্রশিক্ষণ থাকতে হবে, যেধরনের লোক এনজিও গুলোতে চায়। সেরকমভাবে নিজেকে পের্জেন্ট করতে হবে।
শেষ কথা: এনজিওতে কাজ খুবই প্রাণবন্ত এবং বহুমাত্রিক, তবে যেকোন প্রতিষ্ঠানে চাকরি নেওয়ার পূর্বে এই সেক্টরে প্রতিষ্ঠানটির অবস্থান সম্পর্কে সঠিক তথ্য নেওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ। যেসব বিষয়ে খোঁজ নিতে হবে সেগুলো হলঃ
এনজিওটির সামাজিক পরিচিতি কতটুকু তা পরিলক্ষণ করুন।
এই সেক্টরে কারও সাথে ব্যক্তিগত যোগাযোগের মাধ্যমে এনজিওটি সম্পর্কে জানুন। এনজিওটি রেজিস্টার্ড কি-না তা যাচাই করুন ।ওয়েবসাইট যাচাই করুন। দেশীয় এনজিও নাকি আন্তর্জাতিক সে সস্পর্কে জেনে নিন। ধন্যবাদ। এনজিওটি কোন্‌ কোন্‌ বিষয়ের উপর কাজ করে তা জেনে নিন ।চাকরি প্রদানের সময় কোনো জামানত/ব্যাঙ্ক ড্রাফট রাখতে চাইলে তাদের সম্পর্কে ভালোভাবে খোঁজ-খবর নিন। একটি ভালো এনজিওতে প্রথম দুই-তিন বছর কঠোর শ্রম ও একাগ্রতা দিয়ে কাজ করলে তা যেমন দেশ ও সমাজের উপকারে আসবে, তেমনিভাবে সেটি আপনার নিশ্চিত ভবিষৎ গঠনে সহায়তা করবে।

লেখক
বেলাল হোসেন সুজন
নার্সিং কর্মকর্তা
UN-MIGRATION
উখিয়া, কক্সবাজার।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here