আজ বিশ্ব ফার্মাসিস্ট দিবস

মোঃ আবু হাসান লিমন : আজ বিশ্ব ফার্মাসিস্ট দিবস । প্রতিবছর ২৫ শে সেপ্টেম্বর বিশ্ব ফার্মাসিস্ট দিবস। আমাদের দেশসহ সারা বিশ্বেই দিবসটি বেশ গুরুত্বের সঙ্গে পালন করা হয়ে থাকে। যারা কোনো সরকারি-বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসি বিভাগ থেকে বি ফার্ম (ব্যাচেলর অব ফার্মেসি) পাস করে থাকেন, তাদের বলা হয় গ্র্যাজুয়েট ফার্মাসিস্ট বা এ-গ্রেড ফার্মাসিস্ট।

এসব ফার্মাসিস্টের ফার্মেসি কাউন্সিল অফ বাংলাদেশ থেকে এ-গ্রেড ফার্মাসিস্ট রেজিস্ট্রেশন নম্বর দেয়া হয়ে থাকে, যা পরবর্তী কর্মজীবনে দরকার হয় এবং অনেক ক্ষেত্রে বিশেষ গুরুত্ব বহন করে থাকে।

এবার আসি বিশ্ব ফার্মাসিস্ট দিবস সম্পর্কে। সারা বিশ্বে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসি বিভাগ/ফ্যাকাল্টি, ফার্মাসিস্টদের অঙ্গ-সংগঠন, ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানিসহ ওষুধ সম্পর্কিত বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান দিবসটি পালন করে থাকে।
ফার্মাসিস্টরা দেশে বিদেশে মানসম্মত ওষুধ তৈরির মাধ্যমে স্বাস্থসেবায় গুরুত্বপুর্ণ ভূমিকা পালন করে যাচ্ছেন।

ফার্মেসি পেশার কর্মরতদের উৎসাহ প্রদান এবং এই পেশা সম্পর্কে সাধারণ মানুষকে সচেতন করতে ২০১০ সাল থেকে সারাবিশ্বে এই দিবস পালিত হয়ে আসছে।
এবার দশম বারের মত বিশ্ব ফার্মাসিস্ট দিবস পালন হচ্ছে। তবে করোনা মহামারিতে এবার অনেক অনুষ্ঠান সীমিত করা হয়েছে। এবারের প্রতিপাদ্য, “TRANSFORMING GLOBAL HEALTH”. সাধারণ মানুষকে এ মহান পেশা সমম্পরর্কে জানাতে এবং এ পেশার মানকে উচ্চ মির্র্জাদার আসনে আসীন রাখতে সারাবিশ্বে এই দিবস পালিত হয়ে আসছে। প্রতি বছর যথা যোগ্য মর্যাদায় সারাবিশ্বে এই দিবসটি পালন করা হয়। ২০১৪ সালে বাংলাদেশ প্রথমবারের মত এই দিবসটি পালন করে।

২০০৯ সালে অনুষ্ঠিত ইস্তাম্বুল সম্মেলনে ২৫ সেপ্টেম্বরকে বিশ্ব ফার্মাসিস্ট দিবস হিসেবে ঘোষণা করা হয়। ১৯১২ সালের এই দিনে নেদারল্যান্ডসের হেগে আন্তর্জাতিক ফার্মাসিউটিক্যাল ফেডারেশনের প্রথম কার্যনির্বাহী সভা অনুষ্ঠিত হয়, এই কারণে দিবসটিকে বিশ্ব ফার্মাসিস্ট দিবস হিসেবে ঘোষণা করা হয়। ফার্মেসি পেশায় কর্মরতদের উৎসাহ প্রদান এবং এই পেশা সম্পর্কে সাধারণ মানুষকে সচেতন করতে ২০১০ সাল থেকে সারাবিশ্বে এই দিবস পালিত হয়ে আসছে।
গত সপ্তাহে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আন্তর্জাতিক বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও প্রযুক্তি বিভাগের উদ্যোগে আয়োজিত ভার্চুয়াল মিটিংয়ের পরে জানা যাই যে, করোনাকালীন রফতানির জন্য যেসব পণ্য রয়েছে, তার মধ্যে ওষুধশিল্পই আছে সবচেয়ে সুবিধাজনক অবস্থায় এবং ওই মিটিংয়ে ওষুধ কোম্পানিতে কর্মরত গ্র্যাজুয়েট ফার্মাসিস্টদের মেধা, শ্রম ও দক্ষতাকে বিশেষভাবে উল্লেখ করা হয়।

একজন গ্র্যাজুয়েট ফার্মাসিস্ট হিসেবে বিষয়টি আমার জন্য সত্যিই আনন্দের। উল্লেখ্য, গ্র্যাজুয়েট ফার্মাসিস্টনির্ভর এ শিল্প খাত দেশের ৯৮ শতাংশ ওষুধের চাহিদা মিটিয়ে ওষুধ রফতানিতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।

লেখকঃ
মোঃ আবু হাসান লিমন
গভ. রেজি. এ-গ্রেড ফার্মাসিস্ট
প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক
বাংলাদেশ ফার্মাসিস্ট ফোরাম

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here