পুলিশ কর্মকর্তা হত্যাকান্ডঃ জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের চিকিৎসক গ্রেফতার

স্টাফ রিপোর্টার : পুলিশ কর্মকর্তা আনিসুল করিম হত্যাকাণ্ড মামলায় জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের রেজিস্ট্রার ডা: আবদুল্লাহ আল মামুনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার (১৭ নভেম্বর) সকালে তাকে গ্রেফতার করা হয়। জানা গেছে যে, রাজধানী আদাবরে অবস্থিত মাইন্ড এইড হাসপাতালে ঘটিত পুলিশ কর্মকর্তা হত্যাকান্ডের মামলায় ১২ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এরমধ্যে ৫ জন ১৬৪ ধারায় জবানবন্দিতে জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের রেজিস্ট্রার আবদুল্লাহ আল মামুনের নাম বলেছে। এর ভিত্তিতেই ওই চিকিৎসককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
এদিকে ঢাকা মহানগর পুলিশের তেজগাঁও বিভাগের উপ কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ সাংবাদিকদের জানান, মঙ্গলবার সকালে শেরেবাংলা নগর সরকারি স্টাফ কোয়ার্টারের বাসা থেকে মামুনকে গেপ্তার করা হয়।
এই চিকিৎসককে আদালতে পাঠিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন করা হয়েছে বলে জানান হারুন অর রশিদ।
তিনি বলেন, এর আগে গ্রেপ্তারদের মধ্যে যে চারজন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে, তাদের দেওয়া তথ্যে আব্দুল আল মামুনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তার পরামর্শেই দালালের মাধ্যমে পুলিশ কর্মকর্তা আনিসুলকে মাইন্ড এইড হাসপাতালে নেওয়া হয়েছিল।
উপ কমিশনার হারুন বলেন, আনিসুল করিম চিকিৎসা নিতে প্রথমে সরকারি হাসপাতালে (জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইন্সটিটিউট ও হাসপাতালে) গিয়েছিলেন। সেখান থেকে ডা. মামুনের পরামর্শে তাকে আদাবরের ওই বেসরকারি হাসপাতালে নেওয়া হয়।
উল্লেখ্য, ডাক্তার মামুন মাইন্ড এইড হাসপাতাল ছাড়াও টাঙ্গাইলের একটি এবং ঢাকার আরেকটি বেসরকারি হাসপাতাল রোগী দেখেন। সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে উপ কমিশনার হারুন বলেন, মাইন্ড এইডে কোনো রোগী পাঠালে ৩০ শতাংশ কমিশন পেত ওই ডাক্তার।
মামলার এজাহারভুক্ত ১২ আসামিকে পুলিশ আগেই গ্রেপ্তার করেছিল। ডা. আব্দুল্লাহ আল মামুনকে নিয়ে মোট ১৩ জনকে এ পর্যন্ত গ্রেপ্তার করা হল।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গত ৯ নভেম্বর আদাবরের মাইন্ড এইড হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে গিয়ে হাসপাতালটির কর্মচারীদের মারধরে মারা যান সিনিয়র এএসপি আনিসুল করিম শিপন। তিনি ৩১তম বিসিএসে পুলিশ প্রশাসনে নিয়োগপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ছিলেন। পরদিন ১০ নভেম্বর সকালে নিহত এএসপি আনিসুল করিমের বাবা ফয়েজ উদ্দিন বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন।
আদাবরের এই হাসপাতালটির স্বাস্থ্য অধিদফতরের কোনও অনুমোদন নেই বলে জানা যায়।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here