
মেডিকেল শিক্ষাব্যাবস্থার অন্যতম একটা মাধ্যম ডিপ্লোমা শিক্ষা ব্যাবস্থা। স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রনালয়ের অধীনে রাষ্ট্রিয় চিকিৎসা অনুষদের অধীনে ম্যাটস কোর্স সহ ডিপ্লোমা ইন প্যাথলজি, ডিপ্লোমা ইন রেডিওলজি, ডিপ্লোমা ইন ফিজিওথেরাপি কোর্স পরিচালিত হচ্ছে। বাংলাদেশ নার্সিং ও মিডওয়াইফারী কাউন্সিল পরিচালনা করছে ডিপ্লোমা ইন নার্সিং সাইন্স ও মিডওয়াইফারী এবং ডিপ্লোমা ইন মিডওয়াইফারী কোর্স। বাংলাদেশ ফার্মেসী কাউন্সিলের তত্বাবধানে পরিচালিত হচ্ছে ডিপ্লোমা ইন ফার্মাসী কোর্স।
অপরদিকে স্বাস্থ্যমন্ত্রনালয়ের অনুমোদন এবং প্রণীত কারিকুলাম অনুসরন না করে বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষাবোর্ড একই ধরনের কোর্স পরিচালনা করে আসছে। এসব কোর্সে ভর্তির যোগ্যতা,কারিকুলাম, শিক্ষকের মান,প্রাতিষ্ঠানিক অবকাঠামো স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয় প্রণীত নয় এবং কারিগরি শিক্ষাবোর্ডের নন-মেডিকেল অন্যান্য সাধারন বিষয়ের মতো তৈরিকৃত বিধায় একই নাম থাকা সত্ত্বেও উভয় কোর্সের গুনগত মানের ব্যাপারে ব্যাপক পার্থক্য রয়েছে বলে জানা যায়।
পেশাগত স্বকৃতি এবং সরকারি পর্যায়ে নিয়োগের সুযোগ না পেয়ে কারিগরি শিক্ষাবোর্ড থেকে পাশকৃত শিক্ষার্থীরা বার বার আদালতের স্মরনাপন্ন হচ্ছেন এবং আইনি জটিলতায় স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয়ের অধীনস্থ ডিপ্লোমা কোর্সসমূহে পাশকৃত শিক্ষার্থীদের রেজিষ্ট্রেশন পরীক্ষা, নিয়োগ,পদায়ন বছরের পর বছর ধরে আটকে থাকছে।
সম্প্রতি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য শিক্ষা বিভাগ ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি শিক্ষা বিভাগের সমন্বয়ে গঠিত কমিটি কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে মেডিকেল টেকনোলজি ও নার্সিং কোর্সে শিক্ষার্থী ভর্তি না করার ব্যাপারে সুপারিশ করেছে। এ বিষয়ে উচ্চ আদালতের ওয়ান আম্ব্রেলা কনসেপ্ট মেনে চলার একটি নির্দেশনা রয়েছে।
ডিপ্লোমা স্বাস্থ্য শিক্ষা ব্যাবস্থাকে একিভূত করে যুগোপযোগী ও আন্তর্জাতিক মানে উন্নিত করার জন্য দীর্ঘদিন থেকে বিভিন্ন মহল থেকে দাবি করা হচ্ছিল। এরই ধারাবাহিকতায় স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয়ের নিয়ন্ত্রনাধীন স্বাস্থ্যশিক্ষা কোর্স সমূহ পরিচালনা করার লক্ষ্যে বাংলাদেশ এলাইড হেলথ প্রফেশনাল শিক্ষাবোর্ড আইন প্রনয়নের উদ্যোগ গ্রহন করেছে স্বাস্থ্য শিক্ষা বিভাগ।
উল্লেখ্য, এর আগে গত ২৪ নভেম্বর ২০১৯ তারিখে স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয়ের অধীনে স্বাস্থ্যশিক্ষা অধিদপ্তর নামে পৃথক অধিদপ্তর ঘোষনা করে ডা. এ এইচ এম এনায়েত হোসেনকে এর মহাপরিচালক নিয়োগ করা হয়।