সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেলের জরুরী বিভাগে স্থানীয় ক্যাডারের হামলা – চিকিৎসাসেবা ব্যাহত

নিজস্ব প্রতিনিধি: কিশোরগঞ্জ শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের সিনিয়র নার্স শফিক মিয়ার উপর বহিরাগত কর্তৃক হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত, রোগী ভর্তিসহ জরুরী বিভাগের সকল সেবা দীর্ঘক্ষণ বন্ধ থাকার পর উর্ধতন কর্তৃপক্ষের আশ্বাসে পুনরায় সেবা কার্যক্রম চালু হয়।

সোমবার (১১ অক্টোবর) সকালে মেডিকেল কলেজ গেইটের বাহিরে বিক্ষোভ ও দোষীদের দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির দাবীতে মানববন্ধন পালন করেন হাসপাতালে কর্মরত সিনিয়র স্টাফ নার্সসহ অন্যান্য নার্সিং কর্মকর্তা ও কর্মচারীগণ।

বক্তারা বলেন, রবিবার রাতে হাসপাতালের জরুরি বিভাগে ছিনাতাইকারীর ছুরিকাঘাতে আহত একজন রোগীকে নিয়ে আসেন স্থানীয় কয়েকজন যুবক। এসময় স্ট্রেচারের রোগী নিতে গেলেই শুরু হয় বিপত্তি। এ সময় স্ট্রেচারের পরীবর্তে হুইল চেয়ারে রোগী নেওয়াকে কেন্দ্র করে হাসপাতালের জিনিসপত্র ভাংচুর ও কর্তব্যরত (সিনিয়র স্টাফ নার্স) শফিক মিয়ার উপর হামলা চালিয়ে মারধর করে স্থানীয় কিছু ক্যাডার।

মানববন্ধনে স্থানীয় সন্ত্রাসী তমাল গং দের ২৪ ঘন্টার মধ্যে আইনের আওতায় এনে শাস্তি নিশ্চিত করাসহ হাসপাতালে কর্তব্যরত সকল স্টাফদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দাবি জানান মানববন্ধনকারীগণ। অন্যথা পরবর্তীতে আরো কঠোর কর্মসূচী গ্রহন করা হবে বলে হুসিয়ার করে দেন তারা।

পরে মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের পরিচালক ডাঃ মোঃ হাবিবুর রহমান দোষীদের আইনের আওতায় এনে শাস্তি নিশ্চিতে পুলিশ সুপারের পক্ষে আশ্বাস দিলে আন্দোলনকারী সকলেই তাদের স্ব স্ব কর্মক্ষেত্রে যোগ দেন।

এ সময় জসিম উদ্দিন নামে এক রোগীর স্বজনের সাথে কথা হয় আমাদের প্রতিবেদকের, তিনি বলেন “আমি রেফার করা রোগী ভর্তির জন্য এসে ফিরে যাচ্ছি রোগী নিয়ে, তারা তাদের দাবি আদায়ে আন্দোলন সংগ্রাম করবে করোক তাতে আমরা কেন হবো বলিরপাঁঠা।”

কে এই তমাল? এটা ছিল সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আলোচিত ইস্যু। হামলাকারীদের নেতৃত্বদানকারী তমাল মূলতযশোদল ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি বাবুল হাজীর ছেলে।

সে গতরাতে মেডিকেল হাসপাতালের সিনিয়র স্টাফ নার্স শফিক মিয়াকে মারধরসহ জরুরী বিভাগের আসবাবপত্র ভাংচুর করে। সে এর আগেও জননিরাপত্তায় কর্তব্যরত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের সাথে খারাপ আচরন করতে গিয়ে গ্রেফতার হয়েছিলো। তার সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের কোন সঠিক বিচার না হওয়ায় শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও এলাকার মূর্তিমান আতংক হিসেবে পরিচিত।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here