আন্দোলনের ফলে মেডিকেলের সাপ্লিমেন্টারী পরীক্ষার মাধ্যমে দীর্ঘদিনের বন্ধ থাকা মেডিকেল পরীক্ষা শুরু হয়েছে। এর ধারাবাহিকতা রক্ষা করতে চায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। সেশনজট ও অন্যান্য সম্ভাব্য সংকট নিরসনে চলতি সাপ্লিমেন্টারী ফাইন্যাল পরীক্ষা শেষে এ বছরের ডিসেম্বরের তৃতীয় সপ্তাহ অথবা নিকটবর্তী সুবিধাজনক সময়ে দ্বিতীয় ও তৃতীয় প্রফ এবং পরবর্তীতে সুবিধাজনক সময়ে প্রথম প্রফ গ্রহণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তর। অন্যান্য সময়ে একত্রে সকল প্রফ শুরু হলেও এই বছরে নিরাপদ দূরত্ব বজায় রাখতে গিয়ে একত্রে সকল প্রফেসনাল পরীক্ষা আয়োজন করা সম্ভব হবে না। ভিন্ন ভিন্ন সময়ে কিন্তু চলমান প্রক্রিয়ায় সকল পরীক্ষা শেষ করতে চায় স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তর।
মঙ্গলবার (২৭ অক্টোবর) বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিসিন অনুষদের ডিনদের কাছে প্রেরিত স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালকের (চিকিৎসা শিক্ষা ও স্বাস্থ্য জনশক্তি উন্নয়ন) স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বৈশ্বিক মহামারী করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে মার্চ মাসের মাঝামাঝি সময় থেকে সারাদেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নিয়মিত শিক্ষা কার্যক্রম স্থগিত রয়েছে। এর ফলে সকল প্রফেশনাল পরীক্ষার কোনোটি আয়োজন করা সম্ভব হয়নি। ফলে সারাদেশের এমবিবিএস ও বিডিএস কোর্সের অনেক শিক্ষার্থীর সেশন জটের আশঙ্কা রয়েছে। এ অবস্থা নিরসনে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, ডিন, বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ, স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা এবং মন্ত্রণলয়ের সংশ্লিষ্ট বিভাগের কর্মকর্তাদের মধ্যে একাধিক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে এবং পরীক্ষা সংক্রান্ত একাধিক সভায় অক্টোবরের তৃতীয় সপ্তাহে অনিয়মিত শিক্ষার্থীদের চূড়ান্ত প্রফ গ্রহণের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। এরই ধারাবাহিকতায় ডিসেম্বরের তৃতীয় সপ্তাহে অথবা নিকটবর্তী সুবিধাজনক সময়ে এমবিবিএস ও বিডিএস প্রফেশনাল পরীক্ষা নেওয়ার নীতিগত প্রস্তাব গ্রহণ করা হয়েছে বলে চিঠিতে জানানো হয়।
এ বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিসিন অনুষদের ডিন ডা. শাহরিয়ার নবী বলেন, ‘চিঠিতে ডিসেম্বরের তৃতীয় সপ্তাহে পরীক্ষা গ্রহণের সিদ্ধান্ত জানানো হয়েছে। তবে পরীক্ষা গ্রহণের সিদ্ধান্ত অধিদপ্তর নেয় না, এটি নেবে বিশ্ববিদ্যালয়। এ সংক্রান্ত কোনো সিদ্ধান্ত এখনও নেওয়া হয়নি। অধিদপ্তর হয়তো সম্ভাব্য মেডিকেল পরীক্ষার্থীর সংখ্যা জানতে চাচ্ছে, সে অনুযায়ী পরবর্তীতে নীতিমালা গ্রহণ ও সিদ্ধান্ত হবে।’
উল্লেখ্য যে, মেডিকেল পঞ্চম বর্ষের শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে মে-২০২০ এর সাপ্লিমেন্টারী পরীক্ষা নিরাপদ দূরত্ব বজায় রেখে এই মাস থেকেই গ্রহণ করা হচ্ছে। এখনো পর্যন্ত পরীক্ষার্থীগনের কোনরকম বিরূপ প্রতিক্রিয়া বা কভিড-১৯ ঝুঁকির শিকার হচ্ছেন না। এ থেকেই পরবর্তী ধাপের পরীক্ষা আয়োজনের সিদ্বান্ত নিচ্ছে স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তর।