বৈশ্বিক মহামারী করোনার কারনে নানান আলাপ আলোচনার পর আর কোন উপায় না পেয়ে সারে ১৩ লাখ শিক্ষার্থীর ভবিষ্যৎ চিন্তা করে পরীক্ষা ছাড়াই জে এস সি ও এস এস সি এর ফল বিবেচনায় এবছর এইচ এস সির ফলাফল নির্ধারণের সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী।

পরিসংখ্যানে দেখা যায় ঢাকা কমার্স কলেজে ২০১৩ সালে এস এস সিতে ৪৪৪ জন এ প্লাস পাওয়া শিক্ষার্থী ভর্তি হলেও এইচ এস সি তে এ প্লাস পান ৮৭১ জন এবং ২০১৪ সালে এস এস সি তে ৪১৪ জন এ প্লাস পাওয়া শিক্ষার্থী ভর্তির ৮১৯জন এ প্লাস পান। এছাড়াও ২০১৮ সালে এস এস সি তে এ প্লাস পাওয়া ৯৭ জন ভর্তি হলেও এইচ এস সি তে এ প্লাস পান ১২৪ জন।

নটরডেম কলেজে ( মানবিক ও বানিজ্য শাখা)
সাল -ভর্তি প্লাস -উচ্চঃ মাধ্যঃ প্লাস
২০১৭ ৫৭৯ ১৮১
২০১৮ ৪৯২ ২৩২
২০১৯ ৪৯৩ ৩৯০

এ নিয়ে দেশের নাম করা কলেজের অধ্যক্ষরা বলছেন, সামগ্রিক দিক বিবেচনায় জে এস সি ও এস এস সি এর পদ্ধতির ফল বিবেচনা না থাকলেও এতে বেশিরভাগ শিক্ষার্থীরাই কাঙ্খিত ফলাফল পাবেন না।

এ ব্যাপারে জানতে চাওয়া হলে নটরডেম কলেজের অধ্যক্ষ, ড. হেমন্ত পিযুস রোজারিও বলেন, এখানে আমরা মানবিক শাখায় ভর্তি করি ৩.০০ নিয়ে কিন্তু পরবর্তী দেখা যায় তারা ৪ পয়েন্ট এর বেশি পেয়ে থাকেন। আবার কেউ কেউ ৫ পয়েন্ট ও পেয়ে থাকেন।
বর্তমান পদ্ধতিতে তাদের সঠিক মূল্যায়ন হবেনা। আমার মনে হয় এ’দুটোর পাশাপাশি যদি কলেজের যে সমস্ত পরীক্ষাগুলো হয়েছে সেইগুলোর একটা মূল্যয়ন কোনভাবে করা যেত তাহলে হয়তো শিক্ষার্থীরা মানসিকভাবে একটু আস্থা পাইতো।

এছাড়াও যারা এস এস সিতে সায়েন্স নিয়ে পরবর্তীতে এইচ এস সিতে মানবিক বিভাগে অথবা কমার্স থেকে মানবিক বিভাগে ভর্তি হয়েছেন তাদের মার্কশীট তৈরী করা নিয়েও জটিলতা সৃষ্টি হবে বলে মনে করেন তারা।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here