জাতীয় শোক দিবস স্মরণে বিএমএ-এর আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

BMDC

স্টাফ রিপোর্টারঃ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর ৪৫তম শাহাদত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস স্মরণে শনিবার (২৯ আগস্ট) সকালে বিএমএ ভবনে শহীদ ডা. শামসুল আলম খান মিলন সভাকক্ষে বাংলাদেশ মেডিক্যাল এসোসিয়েশন এক আলোচনা সভার আয়োজন করে। সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে অংশগ্রহন করেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ উপদেষ্টামন্ডলীর সদস্য, সাবেক শিল্প মন্ত্রী আমির হোসেন আমু এমপি। সভায় সভপতিত্ব করেন বিএমএ সভাপতি ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন বিএমএ মহাসচিব ডা. মোঃ ইহতেশামুল হক চৌধুরী। দেশব্যাপী বিএমএ’র ৬৬ টি শাখার নেতৃবৃন্দ অনলাইনের মাধ্যমে সভায় অংশগ্রহন করেন ।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে জনাব আমির হোসেন আমু এমপি বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট খুনীচক্র শুধুমাত্র ব্যক্তি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকেই হত্যা করেনি তারা হত্যা করেছিল এদেশের মানুষের আশা আকাংখাকে। দেশকে ফিরিয়ে নিয়ে গিয়েছিল পাকিস্তানী ধ্যান ধারনায়, সংবিধান থেকে মুছে ফেলেছিল বাঙালির হাজার বছরের ঐতিহ্য ও সংগ্রামের ফসল চার মুলনীতিকে, আইন করে রুদ্ধ করা হয়েছিল এই নৃশংসতম হত্যার বিচার। আল্লাহর অশেষ রহমতে বেঁচে যাওয়া বঙ্গবন্ধুর দুই কন্যার অসীম ধৈর্য্য, সংগ্রাম ও ত্যাগের বিনিময়ে এ জাতি বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীদের বিচার করতে পেরেছে আজ সময় এসেছে একটি কমিশনের মাধ্যমে হত্যার নেপথ্যের কুশীলবদের মুখোশ জাতির সামনে উম্মোচন করে তাদেরও বিচার করার। বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা আজ বাংলাদেশের দীর্ঘতম সময়ের প্রধানমন্ত্রী। তিনি বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণে কঠোর পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। আসুন আমরা সকলে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে সহযোগীতা করে এদেশকে উন্নয়নের পথে এগিয়ে নিয়ে যাই।

সভাপতির বক্তব্যে বিএমএ সভাপতি ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন বঙ্গবন্ধুর স্মৃতিচারণ করে বলেন, ৭৫’র ১৫ আগস্ট কালরাত্রে ঘাতকেরা শুধুমাত্র বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেই ক্ষান্ত হননি বরং বাঙালির মানসপট থেকে চিরতরে মুছে দিতে নানা হীন ষড়যন্ত্র করেছিলেন কিন্তু বাংলাদেশের মানুষ খুনীচক্রের সেই ষড়যন্ত্রকে নস্যাৎ করে দিয়ে বঙ্গবন্ধুকে বাঙালি জাতির পিতার আসনে অধিষ্ঠিত করেছেন। অনেক দেরী হলেও আমরা বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত খুনীদের বিচার করে রায় কার্যকর করতে পেরেছি এখন নেপথ্যের ষড়যন্ত্রকারীদের বিচার করার পালা।
বিএমএ ভবনের মুল অনুষ্ঠানস্থলে বিএমএ কেন্দ্রীয় কার্যকরি পরিষদ সদস্য, কেন্দ্রীয় কাউন্সিল সদস্যসহ ঢাকাস্থ বিভিন্ন ইনস্টিটিউট, হাসপাতাল ও মেডিকেল কলেজের চিকিৎসকগণ অংশগ্রহন করেন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here