নৈমিত্তিক ছুটি চাকুরী বিধিমালা স্বীকৃত ছুটি নয় এবং নৈমিত্তিক ছুটিজনিত অনুপস্থিতিকে কাজে অনুপস্থিতি হিসাবে গণ্য করা হয় না। বাংলাদেশ চাকুরী বিধিমালার প্রথম খন্ডের ১৯৫ নং বিধির টীকা ২-এ উল্লেখিত শর্ত সাপেক্ষে এইরূপ ছুটি মঞ্জুর করা হয়।পঞ্জিকাবর্ষে সকল সরকারী কর্মচারী বৎসরে সর্বমোট ১৫ দিন নৈমিত্তিক ছুটি ভোগ করিতে পারিবেন।
কোন সরকারী কর্মচারীকে একটানা ১০ দিনের বেশী নৈমিত্তিক ছুটি প্রদান করা যাইবে না। তবে, অত্র বিভাগের ২৫-২-১৯৮২ তারিখের বিজ্ঞপ্তি ইডি (রেগ-৬)/ছুটি-১৩/৮০-১৪ মোতাবেক পার্বত্য চট্টগ্রাম ও বান্দরবান জেলায় কর্মরত সকল কর্মচারীকে এক বৎসরে মঞ্জুরযোগ্য ১৫ দিনের নৈমিত্তিক ছুটি একই সঙ্গে ভোগ করিতে দেওয়া যাইতে পারে।
নৈমিত্তিক ছুটির জন্য কোন কর্মচারী আবেদন জানাইলে সর্বোচ্চ ৩ দিনের নৈমিত্তিক ছুটি একবার বা একাধিকবার রবিবার অথবা অন্য কোন সরকারী ছুটির দিনের পূর্বে অথবা পরে সংযুক্ত করার অনুমতি প্রদান করা যাইতে পারে। যে ক্ষেত্রে এই ধরণের আবেদন করা হইবে না বা অনুমতি দেওয়া হইবে না, সেই সকল ক্ষেত্রে রবিবার বা সরকারী ছুটির দিনগুলিও নৈমিত্তিক ছুটি হিসাবে গণ্য করা হইবে।
নৈমিত্তিক ছুটি, উভয়দিকে সরকারী ছুটির সঙ্গে সংযুক্ত করা যাইবে না।
কর্তৃপক্ষের অনুমতি ব্যতিরেকে নৈমিত্তিক ছুটি ভোগকারী কোন ব্যক্তি সদরদপ্তর ত্যাগ করিতে পারিবেন না।
নৈমিত্তিক ছুটিতে থাকালীন কোন ব্যক্তিকে সদরদপ্তর হইতে এমন দূরত্বে যাইতে অনুমতি দেওয়া যাইবে না, যেখান হইতে সদরদপ্তরের কাজে যোগদানের আদেশ পাওয়ার পর কাজে যোগদান করিতে ৪৮ ঘণ্টার অধিক সময় লাগিতে পারে।
নিয়মিত ছুটি মঞ্জুরকারী কর্তৃপক্ষ অথবা অধীনস্ত ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্মকর্তাবৃন্দ নৈমিত্তিক ছুটি এবং তৎসঙ্গে সদরদপ্তর ত্যাগের অনুমতি প্রদান করিতে পারিবেন।
গুরুতর অসুস্থ্যতা, বিশেষ করিয়া সংক্রামক ব্যধির (যেমন, গুটি বসন্ত) ক্ষেত্রে কাজে যোগদানের নির্দেশ প্রাপ্তির সঙ্গে সঙ্গেই কাজে যোগদান সম্ভব নয় বিধায় এই সকল ক্ষেত্রে নৈমিত্তিক ছুটি মঞ্জুর করার প্রশ্ন উঠে না।
তবে ব্যক্তিগত অসুবিধা, সামান্য অসুস্থ্যতা (যেমন, সাধারণ জ্বর) ইত্যাদি কারণে নৈমিত্তিক ছুটি মঞ্জুর করা যাইতে পারে।
নৈমিত্তিক ছুটিতে থাকাকালীন কেহ বিদেশে গমন করিতে পারিবেন না।
সরকারী কাজে অথবা প্রশিক্ষণার্থে বাংলাদেশের বাহিরে অবস্থানরত কর্মকর্তাদিগকে নৈমিত্তিক ছুটি প্রদান সরকার নিরুৎসাহিত করেন। তবে কেবল বিশেষ পরিস্থিতিতে অত্র বিজ্ঞপ্তিতে বর্ণিত শর্ত সাপেক্ষে এই ছুটি মন্জুর করা হয়।
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার, সংস্থাপন মন্ত্রণালয়, বিধি শাখা-৫, আদেশ তারিখ, ২৯শে মে, ১৯৮৪ নং সম(রেগ-৫)- ৪৩১/৮৩-১০(৫০০) অত্র মন্ত্রণালয়ের ২১-৩-৮৪ ইং তারিখের আদেশ নং এমই(রেগ-৫)- ৪৩১/৮৩-৩ এর সংশোধন ক্রমে সরকার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করিয়াছেন যে, এখন হইতে পুনরাদেশ না দেওয়া পর্যন্ত নৈমিত্তিক ছুটির পরিমাণ বৎসরে ১৫ দিনের পরিবর্তে ২০ দিন নির্ধারণ করা হইল। ইহা হাসপাতালসহ সকল সরকারী, স্বায়ত্তশাসিত ও আধা স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের কর্মচারীদের বেলায় নিম্নবর্ণিত শর্ত সাপেক্ষে প্রযোজ্য হইবেঃ
(ক) কোন কর্মচারীকে একসংগে ১০ দিনের অধিক নৈমিত্তিক ছুটি প্রদান করা যাইবে না।
(খ) সর্বোচ্চ ৩ দিনের নৈমিত্তিক ছুটি যে কোন শুক্রবার বা সাধারণ ছুটির দিনের পূর্বে অথবা পরে সংযুক্ত করা অনুমতি প্রদান করা যাইতে পারে। কিন্তু দুইটি ছুটির (হলিডে) মর্ধবর্তী কোন কাজের দিনে এই ছুটি প্রদান করিয়া সংশ্লিষ্ট দুইটি ছুটির সহিত সংযুক্ত করিবার অনুমতি দেওয়া যাইবে না।
আরশাদ নাজীব
এডভোকেট
জজ কোর্ট ,টাংগাইল।
E-mail.nazibadv@gmail.com