অনেকেই মানুষের সেবামূলক কাজে আত্মনিয়োগ করতে চান। এমনই সেবামূলক এক পেশা হচ্ছে নার্সিং। দেশের সার্বিক পরিস্থিতির দিকে তাকালে দেখা যায়, দিন দিন বাড়ছে আমাদের জনসংখ্যা, বাড়ছে হাসপাতাল। আমাদের দেশে এখন প্রায় সব শহরেই সরকারি-বেসরকারি হাসপাতাল বা ক্লিনিক গড়ে উঠেছে। এর সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে নার্সের চাহিদাও।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রটোকল অনুযায়ী একটি দেশে চিকিৎসক ও নার্সের অনুপাত হওয়া উচিত ১:৩ ।কিন্তু বাংলাদেশে এ অনুপাত ২:১ । তবে প্রায় সময় দেখা যায়, অনেক প্রতিষ্ঠানেই দক্ষ নার্সদের অভাব রয়েছে। শুধু আহত, অসুস্থ এবং পরিবারের জ্যেষ্ঠ সদস্যরাই নন, নার্সিং সেবা প্রয়োজন অন্যদেরও। চাইলে এ পেশায় আসতে পারেন আপনিও। নার্সিং পেশায় একই সাথে মানবসেবার পাশাপাশি অনায়াসে ভালো ক্যারিয়ার গড়তে পারেন।
বাংলাদেশসহ বিশ্বের সব দেশেই রয়েছে নার্সদের চাহিদা। আসলে এটি এমন একটি পেশা, যার চাহিদা স্থান, কাল, পাত্রে সীমাবদ্ধ নয়। আমাদের দেশে ডাক্তার বা ইঞ্জিনিয়ারদের যতটা চাহিদা রয়েছে এবং অভিভাবকদের এসব বিষয়ে পড়ানোর যে প্রবণতা রয়েছে, নার্সিং পেশাতে পড়ার এবং পড়ানোর প্রবণতা তেমন একটা ছিল না তাই নার্সিং বিষয়ে অনেকের স্পষ্ট ধারণাও নেই।
যুগের সাথে সাথে সরকারি মর্যাদা ও চাকুরির চাহিদার উপর ভিত্তি করে এখন এই পেশায় পড়তে যেমন প্রচুর শিক্ষার্থীর আগ্রহ তেমনি অসংখ্য অভিবাবক এর আগ্রহ। এ বিষয় নিয়ে কোথায় পড়ালেখা করা যায় কিংবা কী ধরণের সুযোগ সুবিধা রয়েছে এবং কীভাবে এ পেশায় ক্যারিয়ার গঠন করা যায়, সেসব বিষয় নিয়েই আলোচনা করবো আজকের নিবন্ধে।
নার্সিং কি?
নার্সিং শব্দের আভিধানিক অর্থ সেবা করা বা তত্ত্বাবধান করা। এই নার্সিং শব্দ থেকেই এসেছে নার্স শব্দটি, নার্স মানে যে সেবা প্রদান করে।
একজন নার্স হেল্থ কেয়ার টিমের সাথে কাজ করে এবং তারা বিভিন্ন বয়সের এবং সম্প্রদায়ের অসুস্থ বা ভাল মানুষের সেবা প্রদান করে হাসপাতালে বা অন্যান্য সেটিংসে। নার্সের দায়িত্বের মধ্যে রয়েছে মানুষের স্বাস্থ্যের উন্নতি করা, অসুস্থতা প্রতিরোধ করা এবং অসুস্থ, অক্ষম ও মুমূর্ষু মানুষের যত্ন নেওয়া।
নার্সিং এমন একটি পেশা যা সাধারণ জনগণের স্বাস্থ্য পরিচর্যা ও স্বাস্থ্য সচেতনতামূলক কর্মকাণ্ডের সাথে সম্পৃক্ত। এ পেশার সাথে জড়িত দক্ষ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ব্যক্তি নার্স বা সেবিকা বা সেবক নামে পরিচিত।
কাজের ধরণঃ
কাজের ক্ষেত্র ও অভিজ্ঞতা অনুযায়ী প্রথমে আমরা বলতে পারি হাসপাতালে ক্লিনিকাল পদে Assistant Nurse, Staff Nurse, Senior Staff Nurse (SSN), Nursing Supervisor, Deputy Nursing Superintendent, Nursing Superintendent হিসেবে কাজ করার সুযোগ পাবেন।
একাডেমিক ক্ষেত্রে নার্সিং ইনস্টিটিউট বা কলেজে Nursing Lecturer, Nursing Assistant Professor, Professor, Vice Principal, Principal হিসেবে কাজ করার সুযোগ পাবেন।
এডমিনিস্ট্রেশন এ নার্সিং ও মিডওয়াইফারি অধিদপ্তরে Director, Deputy Director (Admin), Deputy Director (Education), Project Officer, Assistant Director (Admin), Assistant Director (Education), Devisonal Director (Nursing), Assistant Devisional Director (Nursing), District Public Health Nurse পদেও কাজ করতে পারেন।
সুতরাং, কাজের ক্ষেত্রের উপর নির্ভর করবে আপনার কাজের ধরন কী রকম হবে। তবে সাধারণত নিম্নলিখিত কাজসমূহ একজন নার্স মূল দায়িত্ব হিসেবে পালন করে থাকেন।
☑️একজন নার্সকে সাধারণত রোগীর চিকিৎসার্থে নানা কাজের সহোযোগিতার প্রধান সমন্বয়ক হিসেবে হাসপাতাল বা ক্লিনিকের আউটডোর ও ইনডোর, অপারেশন থিয়েটারে কাজ করতে হয়।
☑️মৌলিক স্বাস্থ্য পরীক্ষা এবং চিকিৎসার্থে তার লিপিবদ্ধকরণ এবং যথাযথ কর্তৃপক্ষ বরাবর প্রেরণ।
☑️ রোগীকে সঠিকভাবে ইঞ্জেকশন প্রদান করা এবং যথাযথ নিয়মমাফিক ঔষধ খাওয়ানো।
☑️রোগীর স্বাস্থ্যের অগ্রগতি বা অবনতি সম্পর্কে নিয়মিত আপডেট জানানো।
☑️রোগীর সার্বিক পরিচর্যার দায়িত্ব নেয়া।
☑️ চিকিৎসক প্রদত্ত পরামর্শ সঠিকভাবে বোঝা ও সে অনুযায়ী বাস্তবায়ন করা।
☑️রোগীর সমস্যার কথা মনোযোগ দিয়ে শোনা ও এবং বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের নিকট উপস্থাপন করা ।
☑️রোগীর স্বাস্থ্যের অগ্রগতি ও অবনতি সম্পর্কে নিয়মিত প্রতিবেদন তৈরি করা।
পড়ালেখার সুযোগঃ
এ পেশা আসতে হলে আপনাকে তিন বছর মেয়াদি ডিপ্লোমা ইন নার্সিং, তিন বছর মেয়াদি ডিপ্লোমা ইন মিডওয়াইফারি অথবা চার বছর মেয়াদি ব্যাচেলার অব সায়েন্স ইন নার্সিং কোর্স করতে হবে।
বিশেষায়িত নার্স হতে চাইলে এসব কোর্সের পরে অর্থোপেডিকস, সাইকিয়াট্রিক, পেডিয়াট্রিক, সিসিইউ, আইসিইউ ও কার্ডিয়াক নার্সিংসহ বিভিন্ন বিষয়ের ওপর এক বছর মেয়াদী কোর্স চালু আছে।
বাংলাদেশ নার্সিং ও মিডওয়াইফারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও আসন সংখ্যা (হালনাগাদঃ ২৪ ডিসেম্বর ২০১৯ এর পরেও কিছু নতুন প্রতিষ্ঠান নিবন্ধন পেয়েছে)
১) ডিপ্লোমা ইন নার্সিং সায়েন্স অ্যান্ড মিডওয়াইফারিঃ
☑️সরকারি ইন্সটিটিউট ৪৬ টি, আসনঃ ২৭০০ টি
☑️বেসরকারি ইন্সটিটিউট ২০৪ টি, আসনঃ ৯৮৭০ টি
২) ডিপ্লোমা ইন মিডওয়াইফারিঃ
☑️সরকারি ইন্সটিটিউট ৪১ টি, আসনঃ ১০৫০ টি
☑️বেসরকারি ইন্সটিটিউট ২৮ টি, আসনঃ ৯৫০ টি
বেসিক বিএসসি ইন নার্সিংঃ(চার বছর মেয়াদী স্নাতক)
☑️বিএসএমএমইউ,ঢাকা,আসনঃ ২৫ টি।
☑️যবিপ্রবি,২৫ টি
(উপরোক্ত দুইটি বিশ্ববিদ্যালয় এ সরাসরি নার্সিং কোর্সে বিজ্ঞান বিষয়ক অন্যান্য বিষয়ের সাথে ভর্তিযুদ্ধ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বতন্ত্র নিয়মে ভর্তি হতে হয় ।)
☑️সরকারি কলেজ ১৩ টি, আসনঃ ১২০০ টি।
☑️সেনাবাহিনী পরিচালিত নার্সিং কলেজঃ ৩ টি, (আর্মড ফোর্সেস মেডিকেল ইন্সটিটিউট, ঢাকা (৬০); আর্মি নার্সিং কলেজ, রংপুর (৫০); আর্মি নার্সিং কলেজ, কুমিল্লা (৫০) আসনঃ ১৬০ টি।
☑️বেসরকারি কলেজ ৬৬ টি, আসনঃ ৩১৪০ টি
৪) পোস্ট বেসিক বিএসসি ইন নার্সিংঃ(২ বছর মেয়াদী)
☑️সরকারি কলেজ ৬ টি, আসনঃ ৬৫০ টি
☑️বেসরকারি কলেজ ৪৭ টি, আসনঃ ১৮৭৫ টি
৫) মাস্টার্স অব সায়েন্স ইন নার্সিংঃ
☑️সরকারি প্রতিষ্ঠানঃ ১ টি, আসনঃ ৬০ টি
☑️বেসরকারি প্রতিষ্ঠানঃ ১ টি, আসনঃ ২০ টি
৬) জুনিয়র মিডওয়াইফারিঃ
☑️বেসরকারি প্রতিষ্ঠানঃ ১৩ টি, আসনঃ ৩৬০ টি
প্রত্যেক বেসিক কোর্স সম্পন্ন করার পরে শিক্ষার্থীকে ছয় মাস এবং ১ বছরের ইন্টার্নশিপ সম্পন্ন করতে হয়। এরপরে বাংলাদেশ নার্সিং কাউন্সিল আয়োজিত রেজিষ্ট্রেশন/লাইসেন্সিং পরীক্ষায় অংশ নিয়ে উত্তীর্ণ হবার মাধ্যমে নিবন্ধিত হলেই একজন রেজিস্টার্ড নার্স বা মিডওয়াইফ হওয়া যায় এবং তারপর সরকারি – বেসরকারি হাসপাতাল, স্বাস্থ্যকেন্দ্র, এনজিওসহ নানা উন্নয়ন সহযোগী চাকরি করা যায়।
নার্সিং ও মিডওয়াইফারি অধিদপ্তর এর সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষ থেকে নার্সিং ভর্তির নতুন নীতিমালাঃ
যারা ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষে নার্সিং ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে আগ্রহী তাদেরকে অবস্যই সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে অভিন্ন ভর্তি পরীক্ষার মাধ্যমে ভর্তির যোগ্যতা অর্জন করতে হবে। এখানে ন্যূনতম পাস যোগ্যতা ৪০ নম্বর পেতে হবে।
নার্সিং ভর্তি পরীক্ষা ২০২০ এ ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করার যোগ্যতাঃ (ভর্তি নীতিমালা ২০১৯ অনুযায়ী)
☑️বি এসসি ইন নার্সিং কোর্সে ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে নূন্যতম যোগ্যতাঃ
শুধুমাত্র বিজ্ঞান বিভাগ থেকে SSC পরীক্ষায় নুন্যতম জিপিএ ৩.০০ এবং HSC পরীক্ষায় নুন্যতম জিপিএ ৩.০০ এবং SSC+HSC পরীক্ষায় মোট জিপিএ ৭.০০ থাকতে হবে পাশাপাশি জীববিজ্ঞানে নুন্যতম ৩.০০ গ্রেড পয়েন্ট থাকতে হবে। উল্লেখ্য, জীব বিজ্ঞান মেইন বিষয় হোক বা অপশনাল বিষয় হোক, এতে কোনো সমস্যা নেই।
এছাড়া শুধুমাত্র SSC 2017/2018 & HSC 2019/2020 সালে যারা উত্তীর্ণ হয়েছেন, শুধুমাত্র ২০২০-২১ নার্সিং ভর্তি পরীক্ষায় তারা অংশগ্রহণ করতে পারবেন।
☑️ডিপ্লোমা ইন নার্সিং সায়েন্স এন্ড মিডওয়াইফারী & ডিপ্লোমা ইন মিডওয়াইফারি কোর্সে ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে নুন্যতম যোগ্যতাঃ
যেকোনো বিভাগ (যেমনঃ বিজ্ঞান, মানবিক, ব্যাবসা) থেকে SSC পরীক্ষায় নুন্যতম জিপিএ ২.৫ এবং HSC পরীক্ষায় নুন্যতম জিপিএ ২.৫ এবং SSC+HSC পরীক্ষায় মোট জিপিএ ৬.০০ থাকতে হবে।
এছাড়া শুধুমাত্র SSC 2017/2018 & HSC 2019/2020 সালে যারা উত্তীর্ণ হয়েছেন, শুধুমাত্র ২০২০-২১ নার্সিং ভর্তি পরীক্ষায় তারা অংশগ্রহণ করতে পারবেন।
কোর্সের বিষয় সমূহঃ
আন্তর্জাতিক কারিকুলামের সাথে সামঞ্জস্য রেখেই দেশের এসব কোর্সের পাঠ্যসূচি তৈরি করা হয়েছে। এ কোর্সের অন্তর্ভুক্ত বিষয়গুলোর মধ্যে রয়েছে ফান্ডামেন্টালস অফ নার্সিং, এনাটমি, ফিজিওলোজি, প্যাথফিজিওলজি, ফারমাকোলজি, মাইক্রোবায়োলজি, কমিউনিটি নার্সিং, কম্পিউটার, ইংরেজি, নিউট্রিশন অ্যান্ড ডাইটেটিকস, পপুলেশন কন্ট্রোল অ্যান্ড ফ্যামিলি প্লানিং, ম্যাটারনাল অ্যান্ড চাইল্ড হেল্থ নার্সিং, সাইকোলজি, সাইকিয়াট্রিক নার্সিং, রিসার্চ স্টাডিজ, নার্সিং অ্যাডমিনিস্ট্রেশন, নার্সিং ম্যানেজমেন্ট ও ইপিডেমিওলজি সহ বিভিন্ন বিষয়।
দেশের বাইরে উচ্চশিক্ষার সুযোগঃ
কৃতিত্বের সাথে কোর্স সম্পন্ন করার পর উন্নত বিশ্বের বিভিন্ন দেশে অহরহ MSc, PHD করার সুযোগ আছে। এছাড়া বিভিন্ন ট্রেইনিং, বিশেষায়িত কোর্স করার সুযোগ তো আছেই। অধিকাংশ উন্নত দেশগুলোয় National Council Licensure Examination (NCLEX) skill, work experience ইত্যাদির উপর ভিত্তি করে সহজেই মাইগ্রেশন করার রয়েছে অপার সম্ভাবনা।
কাজের সুযোগঃ
আমাদের দেশে প্রয়োজনের তুলনায় নার্সের সংখ্যা এখনো কম। তাই নার্স হিসাবে নিবন্ধন পাবার পর তুলনামূলকভাবে কম সময়ে চাকরি পাওয়ার সম্ভবনা অনেক বেশি। এ বিষয়ে পড়ার পর দেশ-বিদেশে সর্বত্রই ক্যারিয়ার গড়ার সুযোগ আছে। দেশে সরকারি-বেসরকারি হাসপাতাল, সমাজসেবা অধিদপ্তর, হোটেল, মোটেল, এনজিও, আইএনজিও, হেল্থ প্রজেক্ট, রিসার্চ এমনকি পর্যটন কর্পোরেশনেও ক্যারিয়ার গড়ার সুযোগ রয়েছে। বর্তমানে আমাদের দেশে তো বটেই, বিদেশেও নার্সিং পেশার দক্ষ ও অভিজ্ঞ লোকদের চাহিদা রয়েছে ব্যপক।
তবে বিদেশে চাকরি পেতে হলে নার্সদের প্রশিক্ষিত হওয়ার পাশাপাশি ইংরেজিতে পারদর্শী হতে হবে। বর্তমানে বাংলাদেশের অনেক নার্স সৌদি আরব সহ মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে এবং ইউরোপের বিভিন্ন দেশ যেমন স্কটল্যান্ড, সুইডেন ও যুক্তরাজ্যসহ বিশ্বের অনেক দেশে কর্মরত রয়েছেন। ইংরেজি ভাষা ও উন্নত প্রশিক্ষণ প্রদানের মাধ্যমে দক্ষ নার্স গড়ে তুলতে পারলে এই খাতে প্রচুর পরিমাণে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করা সম্ভব।
সরকারি চাকুরিতে প্রতিবছর হাজার হাজার নার্সিং কর্মকর্তা নিয়োগ করা হয়। যার প্রবেশকালীন সময় সিনিয়র স্টাফ নার্স পদে ১০ ম গ্রেডে চাকুরিতে প্রবেশ করে ৫ম গ্রেড পর্যন্ত পদোন্নতি পাওয়া যায়। পদোন্নতি নিয়ে সুপারিন্টেনডেন্ট বা নার্সিং কলেজের শিক্ষকতা বা প্রপশাসনিক পর্যায়ে যেতে হলে প্রয়োজন উচ্চশিক্ষা, অভিজ্ঞতা ও বিশেষায়িত কারিগরি দক্ষতা।
নার্সিং পেশাটি একটি দায়িত্বের পেশা। এ পেশায় আসতে হলে মানুষের সেবার মানসিকতা থাকতে হবে। এখানে মানুষের সেবা করা যায় খুব কাছ থেকে। সম্ভাবনাময় এ পেশায় রয়েছে আর্থিক সচ্ছলতা ও মর্যাদার জীবন। সেবাধর্মী এ পেশায় আপনিও অর্জন করতে পারেন সামাজিক মর্যাদা ও ভালো আয়ের সুযোগ।
__________________________________________
লেখক
__________________________________________
Rubel Hossain
BSc in Nursing (BSN),
College of Nursing, IUBAT, Dhaka
(সূত্রঃ বাংলাদেশ নার্সিং অ্যান্ড মিডওয়াইফারি কাউন্সিলের ওয়েবসাইট, বিভিন্ন অনলাইন আর্টিকেল (প্রথম আলো, ইউথ কার্নিভাল) থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে এবং পরবর্তীতে Edit এবং Paraphrase কৃত)