আইসিইউ পরিচালনায় দক্ষ ৫০০ নার্স ও ১০০ ডাক্তারের জন্য কুয়েত সরকারের চাহিদা প্রস্তাব স্বাস্থ্যমন্ত্রনালয় কর্তৃক নাকচ করে দেয়ার পর এ নিয়ে স্বাস্থ্য পেশাজীবীদের মধ্যে বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। দেশের দক্ষ শ্রমবাজার বিদেশের কাছে তুলে ধরার এটি একটি শ্রেষ্ঠ সুযোগ ছিল বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।সুত্রমতো দেশে প্রায় ৪০ হাজার ডাক্তার ও ৩০ হাজার নার্স বেকার রয়েছেন। সর্বশেষ পাশকৃত অনেকে এখনো কোন সরকারি বা বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকুরিতে যোগদান করতেই পারেন্ নাই। এর মধ্যে কভিড-১৯ পরিস্থিতিতে দেশের কভিড ডেডিকেটেড সেন্টার ছাড়া অন্য সকল বেসরকারি হাসপাতালে রোগী কমে যাওয়াতে অনেকেই চাকুরী হারান একই কারনে নতুন পাশকৃত অনেকে চাকুরীর সংস্থান করতে পারেন নাই।
দীর্ঘদিন থেকে সরকার বিদেশে প্রশিক্ষিত ও দক্ষ জনশক্তি রপ্তানির পক্ষে থাকলেও মন্ত্রনালয়ের এমন স্বিদ্বান্তে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন দেশের প্রশিক্ষিত ও দক্ষ এ জনশক্তি। কভিড-১৯ পরিস্থিতির কথা বিবেচনা করে বিদেশে শ্রমবাজার উন্মোক্তের এমন একটি সুযোগ হাতছাড়া করা উচিৎ হয় নাই বলে তারা মনে করেন।
উল্লেখ্য যে, কভিড-১৯ এর প্রাদুর্ভাবের শুরুতে ভারতের গুরুতর পরিস্থিতির পরেও তাদের দক্ষ জনশক্তির শ্রমবাজার রক্ষার্থে তাদের কাছে সহায়তা চাওয়া সকল দেশে নার্স প্রেরন করেছিল।বেশ কয়েকবছর ধরে বিদেশে দক্ষ কর্মিদের শ্রমবাজার খুজছিল বাংলাদেশ। কভিড-১৯ পরিস্থিতিতে কুয়েত সরকারের আহ্বানে সাড়া দিয়ে কুয়েতে বাংলাদেশি ডাক্তার ও নার্স প্রেরণ করা হলে অন্তত কুয়েতের স্বাস্থ্য খ্যাতের শ্রমবাজারের দখল বাংলাদেশের হাতে চলে আসত নিঃসন্দেহে।
দেশের বেসরকারি খ্যাতে কাজ করা অনেক দক্ষ আইসিইউ বিশেষজ্ঞ ডাক্তার ও নার্স রয়েছেন। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন দেশের সরকারি চাকুরিরত নার্স প্রেরণ করতে ব্যার্থ হলে স্বাস্থ্যমন্ত্রনালয় প্রস্তাব নাকচ করে না দিয়ে বেসরকারী খ্যাতের দক্ষ প্রশিক্ষিত নার্স প্রেরণের ব্যাবস্থা গ্রহণ করলে বিদেশে বাংলাদেশি ডাক্তার ও নার্সের দক্ষতার স্বাক্ষর রাখা সম্ভব হবে।বিদেশে উন্মোচিত হবে বাংলাদেশি পেশাজীবীদের শ্রমবাজার।