তথ্যসূত্রঃ স্বাস্থ্য অধিদপ্তর
অনিবার্য কারণে মা এবং নবজাতকের জীবন রক্ষার্থে রাত্রিকালীন পরপর দুইটি সিজারিয়ান অপারেশন করা হয়। বুধবার সন্ধ্যা ৬ টার সময় প্রসবকালীন জটিলতা নিয়ে ইয়াসমিন আক্তার নামে একটা রোগী ভর্তি হয়।বাসায় অদক্ষ ধাত্রী দ্বারা প্রসবের চেষ্টা করানোর ফলে রোগী ও বাচ্চার জীবন ঝুঁকির মধ্যে পড়ে।
এই অবস্থায় অত্র উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এর স্ত্রী ও প্রসুতি রোগ বিশেষজ্ঞ ডা: মোহা: আশরাফুল আলম নিপু ও ডা: কেয়া দাস রোগীর জীবন বাঁচাতে তৎক্ষনাৎ সিজারিয়ান সেকশন করার সিদ্ধান্ত নেন।
অপারেশন এর পর বাচ্চাকে অত্র উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এর নবজাতক পরিচর্যা কেন্দ্রে ডা: নেসারুল করীম ও সিনিয়র স্টাফ নার্স জামিলা জোহরা এর তত্ত্বাবধানে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা হয়। বর্তমানে মা ও নবজাতক উভয়ই সুস্থ আছে।
দ্বিতীয় রোগীর অবস্থাও তখন খুবই শোচনীয়। গর্ভবতী মহিলার প্রত্যাশিত ডেলিভারি সময় পার হবার পরেও নরমাল ডেলিভারি না হওয়ায় হাসপাতালে ভর্তি হলে দেখা যায় মায়ের পেটের ভিতর বাচ্চার অবস্থা শঙ্কিত । পরবর্তীতে সিজারিয়ান সেকশন সফলভাবে সম্পন্ন হয়। প্রসুতিসহ সকল নবজাতকেরা সুস্থ আছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. গোলাম মোস্তফা নাদিম’র যোগ্য নেতৃত্বে কুতুবদিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়মিত অপারেশন হচ্ছে।
জাতির পিতার ১০৩ তম জন্মদিন উপলক্ষ্যে সেবা সপ্তাহ পালনকালে কুতুবদিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের একটি অন্যবদ্য সফলতা।