ওমিক্রন থেকে বাঁচতে পুলিশের করনীয় ও বিধিনিষেধ

স্টাফ রিপোর্টারঃ

    করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রন থেকে বাঁচতে এবং পুলিশ সদস্যদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করতে পুলিশ সদর দপ্তর থেকে বেশ কিছু নির্দেশনা দেয়া হয়েছে পুলিশ সদস্যদের জন্য।

    দায়িত্ব পালন অবস্থায় মাস্ক পরিধান ও ভ্যাক্সিন নিশ্চিত সহ আরো অনেকগুলো বিষয়ে নির্দেশনা দেয়া হয়। বাংলাদেশ পুলিশ সদরদপ্তরের এআইজি মোহাম্মদ উল্ল্যা স্বাক্ষরিত নির্দেশনায় যা যা বলা হয়েছে-

    > প্রত্যেক পুলিশ সদস্য দায়িত্ব পালনের সময় অবশ্যই মাস্ক, গ্ল্যাভস, হেডকভার, ফেসশিল্ড পরতে হবে।

    > দায়িত্ব পালনকালে কিছু সময় পর পর হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার করতে হবে এবং নিয়মিত দায়িত্ব পালন শেষে সাবান বা হ্যান্ড ওয়াশ দিয়ে হাত পরিষ্কার করতে হবে।

    > কোডিডের (ওমিক্রন) উপসর্গ দেখা দিলে আইসোলেশন সেন্টারে রেখে চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে।

    > প্রত্যেক পুলিশ সদস্যকে দ্রুত সময়ের মধ্যে কোডিড টিকা গ্রহণ করতে হবে। এক্ষেত্রে ইউনিট ইনচার্জ তার অধীন পুলিশ ও নন-পুলিশ সদস্যদের ভ্যাকসিন গ্রহণ নিশ্চিত করবেন।

    > পুলিশের সকল ইউনিটে ‘নো মাস্ক নো সার্ভিস’ এবং ’নো মাস্ক নো এন্ট্রি’ নির্দেশনা প্রতিপালন করতে হবে এবং প্রযোজ্য ক্ষেত্রে মাস্কের ব্যবস্থা রাখতে হবে।

    > সকল ক্ষেত্রে শারীরিক দূরত্ব, হাঁচি-কাশির শিষ্টাচার ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে।

    > সেবা গ্রহীতা ও দর্শনার্থীদের পুলিশ স্থাপনায় প্রবেশের ক্ষেত্রে শরীরের তাপমাত্রা নির্ণয় ও হাত ধোয়া বা স্যানিটাইজ নিশ্চিত করতে হবে।

    > প্রত্যেক পুলিশ সদস্যের ব্যক্তিগত স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রী (মাস্ক, হ্যান্ড গ্লাভস, হ্যান্ড স্যানিটাইজার ইত্যাদি) ব্যবহার নিশ্চিত করা।

    > অপারেশনাল কাজে ব্যবহৃত অস্ত্র, হ্যান্ডকাফ, রায়ট গিয়ার, হ্যান্ডমাইক, মেটাল ডিটেক্টর, আর্চওয়ে যথাযথভাবে জীবাণুমুক্ত করতে হবে।

    > দায়িত্ব পালন শেষে আবাসস্থলে প্রবেশের আগে ইউনিফর্ম ও জুতা ভালোভাবে জীবাণুমুক্ত করা এবং সাবান দিয়ে গোসল করা।

    > ডাইনিং রুম, ক্যান্টিন, বিনোদন কক্ষ, রোল কল, ডিউটিতে যাবার পূর্বে ও ডিউটি হতে ফেরার পরে, সমাবেশস্থলে সামাজিক ও শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখা এবং স্বাস্থ্যসুরক্ষা সামগ্রীর ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে।

    > কোভিড-১৯ উপসর্গ দেখা দিলে কিংবা আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শে ছিল বা এসেছেন এমন পুলিশ সদস্যদের দ্রুততম সময়ের মধ্যে কোভিড পরীক্ষার ব্যবস্থা করতে হবে।

    > কোভিড-১৯ পজেটিভ সদস্যদের চিকিৎসকদের পরামর্শ অনুযায়ী কেন্দ্রীয় বা বিভাগীয় বা জেলা পুলিশ হাসপাতাল ও স্থানীয় হাসপাতালে রেখে চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে।

    > জরুরি প্রয়োজনে রোগীকে অন্যত্র স্থানান্তরের ক্ষেত্রে ইউনিট ইনচার্জ কর্তৃক তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা।

    > ইউনিট ইনচার্জ ও অন্যান্য কর্মকর্তাদের নিজ ইউনিটের আক্রান্ত সদস্য ও তার পরিবারের সাথে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখা এবং সার্বিক সহায়তা প্রদান করতে হবে।

    > হাজতখানা সর্বদা জীবাণুমুক্ত রাখতে হবে এবং হাজতে থাকাকালে কোনো ব্যক্তির কোডিড-১৯ এর লক্ষণ প্রকাশ পেলে অবিলম্বে তাকে আলাদা করে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।

    > রেশন সামগ্রী, ঔষধ ইত্যাদি সংগ্রহ, সংরক্ষণ ও বিতরণের ক্ষেত্রে স্বাস্থ্যবিধি এবং সামাজিক ও শারীরিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে হবে।

    > কোডিড-১৯ সংক্রমণ প্রতিরোধে পুলিশ সদরদপ্তর প্রণীত এসওপি অনুসরণ এবং রোলকলে সচেতনতামূলক ব্রিফিং দিতে হবে।

    > কোডিড-১৯ বিষয়ে ইতোপূর্বে জারি করা নির্দেশনাও পালন করতে হবে।

    > প্রত্যেক পুলিশ ইউনিটে কর্মরত সকল সদস্যদের স্থানীয় স্বাস্থ্য প্রশাসনের সাথে সমন্বয় করে কোভিড টিকার বুস্টার ডোজ নেওয়া নিশ্চিত করতে হবে।

    > কোভিড-১৯ সংক্রমণ ঊর্ধ্বমুখী, তাই সকল পুলিশ সদস্য ও তাদের পরিবারকে অবশ্যই যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে।

    সবশেষে ডিআইজি জানান, এ পর্যন্ত দেশে ১০৭ জন পুলিশ সদস্য করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। এছাড়াও আক্রান্ত হয়েছেন ২৬ হাজারের বেশি সদস্য।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here