কবীর আহমেদ
ডোপ টেস্টে পজিটিভ হলে সরকারি চাকুরিতে অযোগ্য বলে বিবেচিত হবেন। আজ (২৫ জুন) শুক্রবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে মাদকদ্রব্য ও নেশা নিরোধ সংস্থা-মানস আয়োজিত সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ভার্চুয়ালি বক্তব্যে একথা বলেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরো বলেন, এখন থেকে সরকারি চাকুরিতে যোগদানের পূর্বে ডোপ টেস্ট বাধ্যতামূলক। ডোপ টেস্টে কারও ফল পজেটিভ এলে তিনি সরকারি চাকরির জন্য অযোগ্য বিবেচিত হবেন।
শুধু সরকারি চাকরি প্রার্থীদের নয়, যারা বর্তমানে সরকারি চাকরি করছেন, তাদেরকেও ডোপ টেস্টের আওতায় আনা হচ্ছে। নিরাপত্তা বাহিনীতে যারা আছেন, তাদেরকে ইতোমধ্যে ডোপ টেস্টের আওতায় আনা হয়েছে। টেস্টে যারা পজিটিভ হচ্ছেন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থাও নেওয়া হচ্ছে।
সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন মানসের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও জাতীয় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ উপদেষ্টা কমিটির সদস্য অধ্যাপক অরূপ রতন চৌধুরী।
রতন চৌধুরী বলেন, “বাংলাদেশ মাদক উৎপাদনকারী দেশ না হয়েও মাদকদ্রব্যের অবৈধ প্রবেশের ফলে দেশের তরুণ-যুবসমাজ মাদকাসক্ত হয়ে পড়ছে।
গবেষণার বরাত দিয়ে তিনি বলেন, মাদকাসক্তদের শতকরা ৮০ ভাগ কিশোর-তরুণ, শতকরা ৯৮ ভাগ ধূমপায়ী এবং তার মধ্যে শতকরা ৬০ ভাগই বিভিন্ন সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে সাথে জড়িত।
সভায় উপস্থিত স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি শামসুল হক টুকু বলেন, মাদকাসক্তি চিকিৎসায় ব্যক্তির নিজ ও তার পরিবারের সার্বিক সহযোগিতাসহ সেবা প্রদানকারী সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় ভালো করা যেতে পারে। তবে এক্ষেত্রে পরিবারের ভূমিকাই সবচেয়ে বেশি।”