নিবন্ধন বিহীন হাসপাতাল বন্ধ করে দিতে চায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে এক প্রেস ব্রিফিংএ স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হাসপাতাল ও ক্লিনিক শাখার নবনিযুক্ত পরিচালক ডা. ফরিদ হোসেন মিয়া বলেছেন, বলা হয়েছে, ২৩ শে আগস্ট রোববার রাত ১২টার মধ্যে যারা নিবন্ধন ও লাইসেন্স নবায়ন প্রক্রিয়ায় আবেদন সম্পন্ন করবে না, তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

ডা. ফরিদ হোসেন মিয়া আরও বলেন, “যাদের আদৌ লাইসেন্স নেই, তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে, অর্থাৎ তাদের কার্যক্রম বন্ধ করে দেয়া হবে। পাশাপাশি যাদের লাইসেন্স আছে, কিন্তু নবায়ন করেনি তাদের প্রয়োজনে কিছুটা সময় দেয়া যেতে পারে। সেক্ষেত্রে তারা আবেদন করলেই একমাত্র সেটি সম্ভব।”

২০১৮ সাল থেকে সরকার কাগজে কলমে লাইসেন্স দেওয়ার পদ্ধতি বাতিল করে অনলাইন নিবন্ধন পদ্ধতি চালু করে।
একই বছরের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী জানা যায়, দেশে সাড়ে ১৭ হাজার ২৪৪টি বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার রয়েছে।
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশে করোনা ভাইরাস শুরুর পর থেকে স্বাস্থ্য খাতের বিভিন্ন রকম দুর্নীতি, অনিয়ম প্রকাশ পেতে শুরু করে।
রিজেন্ট হাসপাতালের সত্ত্বাধিকারী শাহেদ এর ভূয়া করোনা টেস্টের মধ্য দিয়ে বিষয়টি জনগণ ও সরকারের নজরে আসে। এ নিয়ে জনগণের মধ্যে এক ধরনের বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। তদন্তের মাধ্যমে জানা যায়, রিজেন্ট হাসপাতালের লাইসেন্সবিহীনভাবে ব্যাবসা চালিয়ে যাচ্ছিল।
জুলাই মাসের শুরুতে ভুয়া করোনাভাইরাসের নমুনা পরীক্ষা ও করোনা চিকিৎসায় সরকার নির্ধারিত হাসপাতাল হবার পরও লাইসেন্সবিহীনভাবে কার্যক্রম পরিচালনার অভিযোগে রিজেন্ট হাসপাতাল বন্ধ করে দেয় সরকার এবং পরিপার্শ্বিক অবস্থা বিবেচনা করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক ডিজিকে পদত্যাগ করতে হয়।

এরপর বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকের অনিয়ম বন্ধে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মাধ্যমে বেশ কয়েকটি হাসপাতালে অভিযান চালিয়ে অবৈধ প্রতিষ্ঠানগুলোকে সীলগালা, বন্ধ এবং জরিমানা করা হয়।এতে দেখা যায়, পুরো দেশে বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিক এবং স্বাস্থ্য পরীক্ষার ডায়াগনস্টিক সেন্টারসমূহের একটি বড় অংশের নিবন্ধন বা নবায়ন করা হয়নি। কোন নিবন্ধনই হয় নাই এমন হাসপাতাল ও ক্লিনিকের সংখ্যাও কম নয়।

এরপর লাইসেন্স নবায়ন ও নিবন্ধনের জন্য স্বাস্থ্য খাতে সেবা দানকারী প্রতিষ্ঠানগুলোকে এক মাসের সময়সীমা বেঁধে দেয়া হয়।
বেসরকারি ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক মালিক সমিতির পক্ষ থেকে জানিয়েছেন, এ পর্যন্ত দশ হাজারের বেশি প্রতিষ্ঠান লাইসেন্স নবায়ন এবং নিবন্ধনের জন্য আবেদন করেছে।
সেই সাথে সমিতির সভাপতি মনিরুজ্জামান ভূঁইয়া বলেন, নিবন্ধন ও লাইসেন্স নবায়নের জন্য সরকার যেসব শর্ত দিয়েছে, অল্প সময়ের মধ্যে সেগুলো পূরণ করা অনেক প্রতিষ্ঠানের জন্য কঠিন।
তাই রোববার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাথে এক বৈঠকে তারা সরকারি নিয়মকানুন কিছুটা শিথিলের আবেদন জানিয়েছেন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here