স্টাফ রিপোর্টারঃ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৫ তম শাহাদাৎ বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে ১৫ই আগস্ট এক শোক সভা ও মিলাদ মহফিলের আয়োজন করে শ্যামলীর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট বক্ষব্যাধি হাসপাতাল।
শোক সভায় সভাপতিত্ব করেন হাসপাতালের প্রকল্প পরিচালক ডাঃ আবু রায়হান। সভাপতির বক্তব্যে ডাঃ আবু রায়হান বলেন হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাঙালি জাতিকে পরাধীনতার শৃঙ্খল থেকে মুক্ত করেন। নিষ্পেষিত, নির্যাতিত বাঙালি জাতির অধিকার আদায়ে বঙ্গবন্ধু নিজের সব কিছু বিসর্জন দেন, বার বার কারাবরণ করেন।জাতীর এই শ্রেষ্ঠ সন্তান কখনোই মৃত্যু ভয় পাননি। ছাত্র জীবন থেকে তিনি মেহনতি মানুষের অধিকার আদায়ে নেতৃত্ব দিয়েছেন।অত্যাচারিত, নিপীড়িত বাঙালি জাতিকে বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার স্বপ্ন দেখিয়েছেন এবং এ জাতিকে এনে দিয়েছেন স্বাধীনতা।ডাঃ আবু রায়হান আরো বলেন, বঙ্গবন্ধু মানেই বাংলাদেশ, বাংলাদেশ মানেই বঙ্গবন্ধু। যারা এই দেশকে অন্ধকারের তলানিতে পৌছে দিতে চেয়েছিলো, সেই কাপুরুষেরাই মুক্তিযুদ্ধের মহানায়ক স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি জাতীর জনক বঙ্গবন্ধু আর তাঁর পরিবারের সদস্যদের নৃশংস ভাবে হত্যা করেছে।এমনকি হায়েনাদের হাত থেকে রক্ষা পায়নি শিশু রাসেল।সেদিন দেশের বাইরে থাকায় বেঁচে যান প্রাণপ্রিয় নেত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তাঁর বোন শেখ রেহেনা। ডাঃ আবু রায়হান বলেন, বঙ্গবন্ধু আমাদের স্বাধীনতা এনে দিয়েছেন আর তাঁর সুযোগ্য কন্যার নেতৃত্বে আমরা এখন লড়ছি করোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্ব সকলের প্রচেষ্টায় আমরা করোনার বিরুদ্ধে যুদ্ধে জয়ী হবো নিশ্চয়ই।তিনি স্বাস্থ্যকর্মীগণকে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বুকে লালন করে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী করোনা রোগীর সেবায় আত্মনিয়োগ করার আহবান জানান।
সভায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন হাসপাতালের সিনিয়র কনসালটেন্ট ডাঃ আসাদুর রহমান, আবাসিক সার্জন ডাঃ মাহফুজ আরা মুক্তা ও আবাসিক চিকিৎসক ডাঃ প্রবীর কুমার দাশ প্রমুখ।শোক সভা ও মিলাদ মহফিলে হাসপাতালের চিকিৎসক, নার্স, কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন।