স্টাফ রিপোর্টার: “বাংলাদেশের চিকিৎসকরা আন্তর্জাতিক মানের। আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে তাদের সুনাম-সুখ্যাতি রয়েছে” বলেছেন স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব আব্দুল মান্নান।
রবিবার (১৩ ডিসেম্বর) রাজধানীর হোটেল ইন্টার কন্টিনেন্টালে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার (সিডিসি) এক সভায় তিনি এ কথা বলেন।
স্বাস্থ্য সচিব বলেন, বাংলাদেশের চিকিৎসকরা অনেক সম্ভাবনাময়ী ও সক্ষমতায় সমৃদ্ধ। তারা নিবেদিতপ্রাণ হয়ে গোটা জাতিকে স্বাস্থ্যসেবা দিয়ে যাচ্ছেন। গত নয় মাস ধরে অব্যাহতভাবে স্বাস্থ্যসেবা দিয়ে যাওয়ার জন্য আমি তাদের প্রতি কৃতজ্ঞ।
বাংলাদেশের চিকিৎসকরা আরও বড় পর্যায়ে দায়িত্ব পালনে সক্ষম উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমরা তাদেরকে যে জায়গায় রেখেছি আমার মনে হয় কোনো কোনো ক্ষেত্রে তাদের প্রতি অবিচার করা হচ্ছে। তাদের বেলায় আমাদের উচিত সুবিচার প্রতিষ্ঠা করা।
করোনায় প্রাণহারানো স্বাস্থ্যকর্মীদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে স্বাস্থ্য সচিব বলেন, গত মার্চ মাস থেকে দীর্ঘ নয় মাসে চিকিৎসা সেবার সঙ্গে সম্পৃক্ত যেসব ডাক্তার-নার্স চিকিৎসা সেবা দিতে গিয়ে জীবন উৎসর্গ করেছেন তাদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি। একই সঙ্গে তাদের পরিবারের সদস্যদের খোঁজ-খবর নেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট সকলকে অনুরোধ করছি।
আব্দুল মান্নান বলেন, দেশে সাত হাজারের বেশি মানুষ করোনা মারা গেছেন। ভারতে ১ লাখ ৪৩ হাজারের বেশি মানুষ মারা গেছেন। গতকাল বাংলাদেশে সবচেয়ে কম সংক্রমণ হয়েছে, এটা রেকর্ড। যারা গাইডলাইন তৈরি করেছেন এই কম মৃত্যু ও সংক্রমণের পেছনে তাদের অবদান রয়েছে। এটা অস্বীকার করার কিছু নেই।
তিনি আরও বলেন, টেলিমেডিসিনে আড়াই কোটি মানুষের সেবা দেওয়া হয়েছে। ৪০ লাখ কল হয়েছে। টেলিমেডিসিনেও এই গাইডলাইন অনুসরণ করা উচিত।
চিকিৎসকরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করছেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, জাতীয়ভাবে প্রসিদ্ধ চিকিৎসকরা প্রায় নিয়মিত জীবনের ঝুঁকি নিয়ে রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের ডাকে সাড়া দিয়ে বাসায় গিয়ে চিকিৎসা প্রদান করেছেন। আমাদের মন্ত্রী, সচিব, মন্ত্রী পরিষদ সচিব যখন অধ্যাপক ডা. আহমেদুল কবীরকে যখন ডেকেছেন, বাসায় চলে গেছেন। কে যাবেন, কারা যাবেন? সবাই তো বাঁচতে চান। কিন্তু চিকিৎসকরা অনেক বেশি ঝুঁকি নিয়ে কাজ করছেন। আমাদের তাদের অভিভাদন জানাচ্ছি। তাদের ত্যাগের বিষয়গুলো আমাকে ভাবায়।
স্বাস্থ্য সচিব বলেন, সারা পৃথিবীর সঙ্গে তাল মিলিয়ে প্রতিদিন তথ্য হালানাগাদ করে আমরা এই গাইডলাইন তৈরি করেছি। প্রতিনিয়ত পরিবর্তন করছি, পরিবর্ধন করছি, সংযোজন-বিয়োজন করছি। কারণ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাসহ সারা পৃথিবীব্যাপী সবাই প্রায় প্রতিদিনই করোনার বিষয়ে নতুন তথ্য দিচ্ছে। অনলাইন থেকে তথ্য নিয়ে আমরাও আপডেট হচ্ছি।
অনুষ্ঠানে ন্যাশনাল গাইডলাইন অব্যাহতভাবে হালনাগাদ করার জন্য সিনিয়র চিকিৎসকসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে ধন্যবাদ জানান তিনি।