স্বপ্নের সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতাল উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

গনভবন থেকে বাংলাদেশ টেলিভিশন এর মাধ্যমে সরাসরি

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতাল উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বুধবার (১৪ সেপ্টেম্বর) সকালে গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে এ হাসপাতালের উদ্বোধন ঘোষণা করেন তিনি।

৭৫০ শয্যার হাসপাতালে বিভিন্ন বিভাগে থাকবে ১৪টি অত্যাধুনিক অপারেশন থিয়েটার, ১০০ শয্যার আইসিইউ। এছাড়া জরুরি বিভাগে থাকবে ১০০ শয্যা, ভিভিআইপি কেবিন ছয়টি, ভিআইপি কেবিন ২২টি এবং ডিল্যাক্স শয্যা থাকবে ২৫টি। সেন্টার ভিত্তিক প্রতিটি ওয়ার্ডে থাকবে আটটি করে শয্যা।

এক্স-রে, এমআরআই, সিটি-স্ক্যানসহ অত্যাধুনিক সব পরীক্ষা নিরীক্ষার সুবিধা থাকবে এ হাসপাতালে।

হাসপাতালটিতে প্রথম পর্যায়ে থাকবে অটিজম সেন্টার, ম্যাটারনাল অ্যান্ড চাইল্ড হেলথ কেয়ার সেন্টার, ইমার্জেন্সি মেডিক্যিাল কেয়ার সেন্টার, হেপাটোবিলিয়ারি ও গ্যাস্ট্রোএন্টারোলজি সেন্টার, কার্ডিও ও সেরিব্রো ভাস্কুলার সেন্টার এবং কিডনি সেন্টার।

দ্বিতীয় পর্যায়ে থাকবে রেসপিরেটরি মেডিসিন সেন্টার, জেনারেল সার্জারি সেন্টার, অপথালমোলজি, ডেন্টিস্ট্রি, ডার্মাটোলজি সেন্টার এবং ফিজিক্যাল মেডিসিন বা রিহ্যাবিলিটেশন সেন্টার। এখানে বিশ্বমানের চিকিৎসা বোন ম্যারো ট্রান্সপ্ল্যান্টেশন, রোবোটিক অপারেশন, জিন থেরাপির ব্যবস্থাও থাকবে।

সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতালে মোট ৩শ’ চিকিৎসক ও ১২শ’ স্বাস্থ্যকর্মী কাজ করার কথা রয়েছে। হাসপাতালটিতে উন্নত চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করতে ৮০ জন চিকিৎসক ও ১৪০ জন নার্স ও কর্মকর্তাকে বিদেশে প্রশিক্ষণের আওতায় আনা হয়েছে। ইতোমধ্যে ২২ জন চিকিৎসকসহ ৪৬জন নার্স ও কর্মকর্তা কোরিয়া থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে ফিরেছেন। আরও একটি দল প্রশিক্ষণ নিতে যাবে।

ছয়টি বিশেষায়িত সেন্টারের মাধ্যমে চলা এ হাসপাতালে বাংলাদেশি চিকিৎসকদের পাশাপাশি দু’বছরের জন্য ৫৬ জন কোরীয় কনসালট্যান্ট কাজ করবেন। যারা দেশীয় জনবল আরো দক্ষ করতে অবদান রাখবেন।

জনগণের উন্নত চিকিৎসাসেবা নিশ্চিতকল্পে ২০১৬ সালের ২ ফেব্রুয়ারি দেশের প্রথম সেন্টার ভিত্তিক সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতাল প্রকল্পটি জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটিতে (একনেক) অনুমোদিত হয়।

২০১৮ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতালের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।

প্রকল্পের মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ১ হাজার ৫০০ কোটি টাকা। এর মধ্যে কোরিয়া সরকার দিয়েছে এক হাজার কোটি টাকা, বাংলাদেশ সরকারের ৩৩০ কোটি টাকা, বিএসএমএমইউর ফান্ড থেকে দেওয়া হয়েছে ১৭০ কোটি টাকা।

বাংলাদেশ সরকার ও কোরিয়া এক্সিম ব্যাংকের (ইডিসিএফ, ইকোনোমিক ডেভেলপমেন্ট কো-অপারেশন ফান্ড) মধ্যে ২০১৫ সালের ১৯ নভেম্বর প্রকল্পের ঋণচুক্তি সম্পাদিত হয়।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here