বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব এর নামে বাংলাদেশ নার্সিং ও মিডওয়াইফারি কাউন্সিল কর্তৃক নার্সিং বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার প্রস্তাব বাস্তবায়নের জন্য প্রধানমন্ত্রীর সরাসরি হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন নার্সিং নেতৃবৃন্দ।
গত ২৯ নভেম্বর বাংলাদেশ নার্সিং ও মিডওয়াইফারি কাউন্সিল কর্তৃক রেজিস্ট্রার সুরাইয়া বেগম স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত একটি পত্র স্বাস্থ্যমন্ত্রী বরাবর প্রেরণ করা হয়েছে।
বাংলাদেশের নার্সিং শিক্ষাকে বহির্বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে হলে একটি নার্সিং বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন জরুরি ও সময়ের দাবি হয়ে দেখা দিয়েছে উল্লেখ করে ওই পত্রে বলা হয়, বর্তমানে বিজ্ঞান বিভাগ থেকে এইচএসসি পাশ করা শিক্ষার্থীদেরকে ৪ বছর এর ব্যাচেলর অব সাইন্স এবং অন্যান্য গ্রুপ থেকে এইচএসসি পাশ করা শিক্ষার্থীদের ৩ বছর মেয়াদী ডিপ্লোমা ইন নার্সিং সাইন্স ও মিডওয়াইফারি কোর্স এবং ডিপ্লোমা ইন মিডওয়াইফারি কোর্স সম্পন্ন করছে। এ সকল বিষয়গুলো বিবেচনা করে সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে নার্সিং বিশ্ববিদ্যালয় এখন সময়ের দাবি হিসেবে দেখা দিয়েছে।
এ বিষয়ে কথা হয় বঙ্গবন্ধুর আদর্শের পেশাজীবি নার্স নেতা বাংলাদেশ নার্সেস এসোসিয়েশন (বিএনএ) ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল শাখার সভাপতি মোহাম্মদ কামাল হোসেন পাটওয়ারী বিডিহেলথ এক্সপ্রেস এর সাথে কথা বলতে গিয়ে জানান , আধুনিক বিশ্বের সাথে বাংলাদেশের নার্সরাও আজ নিজ যোগ্যতায় বিশ্ব দরবারে নিজেদের প্রতিভার স্বাক্ষর রেখে করোনা মোকাবিলায় সাফল্য দেখিয়েছে। বর্তমান সরকারের প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার সরকার এই দেশের নার্সদের ভাগ্য উন্নয়নে সার্বক্ষণিক কাজ করে যাচ্ছে।
তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন নার্সদের একমাত্র অভিভাবক প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা নার্সদের প্রাণের দাবি তার মায়ের নামে ‘বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব’ নার্সিং বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করে নার্সদের চিরদিনের লালিত স্বপ্নকে বাস্তবে রূপদান করবেন।
নার্সিং এর উন্নয়ন ও অতিতের স্থবীর হয়ে থাকা কাজ এর দ্রুত এগিয়ে নেয়ার মাধ্যমে নার্সিং এর উন্নয়ন ও গতিশীলতা আনয়নে কাজ করছেন উল্লেখ করে এই নার্স নেতা বর্তমান নার্সিং ও মিডওয়াইফারি অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ও পরিচালকদ্বয়ের ভূয়সী প্রসংশা করেন।