স্টাফ রিপোর্টারঃ
০৭টি নার্সিং কলেজে ৮৬টি নতুন পদ সৃষ্টির প্রস্তাব এর সাথে আসছে ১০হাজার নার্স নিয়োগ। নার্সিং পেশার মান উন্নয়নে বর্তমান সরকার বদ্ধপরিকর তার-ই ধারাবাহিকতায় আরও ১০ হাজর নার্স নিয়োগ প্রক্রিয়াধীন।
বর্তমান সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ২০০৯ সালের ২৯ ডিসেম্বর নির্বাচনে জয়ী হয়ে নার্সিং শিক্ষা ও পেশার মান উন্নয়নে বহির্বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে ৮টি নার্সিং ইনস্টিটিউটকে নার্সিং কলেজে রুপান্তরিত করেন। ভবিষ্যতে ইনস্টিটিউট গুলোকেও কলেজে রুপান্তর ও প্রক্রিয়াধীন।
বর্তমান সরকারের আমলেই মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর একান্ত ইচ্ছায় নার্সদের ১০ম গ্রেড (২য়) শ্রেনীতে পদ মর্যাদা দেয়া হয় এবং বিভিন্ন ধাপে বর্তমানে ৬৭১জন নার্সকে ১ম শ্রেণির পদমর্যাদা দেয়া হয়েছে।
এছাড়াও নার্সিং সেবা ও শিক্ষা কার্যক্রমকে গতিশীল করতে নার্সিং ও মিডওয়াইফারি অধিদপ্তর করার পাশাপাশি মহাপরিচালক ও অতিরিক্ত মহাপরিচালক সহ ১৬ ক্যাটাগরিতে ৭৭টি নতুন পদ সৃষ্টি করা হয়।
বর্তমানে সারাদেশে স্বাস্থ্য সেবা ও নার্সিং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে প্রায় ৩২ হাজার ৫৪৭জন নার্স এবং ১হাজার ১৪৯ জন মিডওয়াইফ ও ৮৭৬ জন নন-নার্সিং কর্মকর্তা ও কর্মচারী সরকারি চাকুরীতে কর্মরত রয়েছেন।
বর্তমানে ১০ হাজার সিনিয়র স্টাফ নার্স ও ৫ হাজার মিডওয়াইফের নতুন পদ সৃষ্টি হওয়ায় নার্স নেতারা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, স্বাস্থ্যমন্ত্রী ও স্বাস্থ্য সচিব সহ সকলকে ধন্যবাদ জানান এবং দ্রুত এই নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হবে বলেও তারা আসা প্রকাশ করেন।
বর্তমানে দেশের ৭টি নার্সিং কলেজে ৩২৯ টি পদ সৃষ্টির প্রস্তাব করেছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। কলেজগুলো হলো ঢাকা, রাজশাহী, রংপুর, সিলেট, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও ময়মনসিংহ যা ইতিমধ্যে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে অনুমোদিত হয়ে অর্থ মন্ত্রনালয়ে পৌছেছে গত জানুয়ারি মাসের শেষের দিকে। কিন্তু অর্থ মন্ত্রনালয় থেকে এখনো তা আলোর মুখ দেখেনি।
স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যান বিভাগের উপসচিব নাসরিন পারভীন স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে উল্লেখিত প্রস্তাব সমূহ হলো অধ্যাপক -৩৫টি, সহোযোগি অধ্যাপক – ৩৫টি, সহকারী অধ্যাপক – ৬৩টি, প্রভাষক -১১২ টি, ল্যাব ইনচার্জ -৭টি, প্রশাসনিক কর্মকর্তা -৭টি, পিএ টু অধ্যক্ষ ৭টি, অডিও ভিজুয়াল টেকনিশিয়ান ৭টি, হিসাব রক্ষক ৭টি, ষ্টোর কিপার ৭টি, অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক ১৪টি এবং ল্যাব সহকারী পদ ২৮টি।