বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষায় এসএসসি – এইচএসসির নাম্বার যোগ না হওয়ার সম্ভাবনা!

কভিড-১৯ পরিস্থিতে সকল ক্ষেত্রে প্রাণ ফিরলেও একমাত্র শিক্ষাক্ষেত্রে এখনো শিথিলতা বিদ্যমান! একদিকে শিক্ষামন্ত্রনালয়ের পক্ষথেকে চলতি শিক্ষাবর্ষের শেষ দিকে উচ্চমাধ্যমিকে সবাইকে উত্তীর্ণ দেখানোর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। বিধায় এখানেও দেখা দিয়েছে জঠিলতা। উচ্চমাধ্যমিকে সবাইকে কৃতকার্য দেখানো হলেও ভর্তি পরীক্ষায় সবাইকে কৃতকার্য দেখানো সম্ভব নয়। আবার পরীক্ষাবিহীন উত্তীর্ণ বলে এখান থেকে প্রাপ্ত গ্রেড বা নাম্বারের ভিত্তিতে ভর্তিও করা সম্ভব নয়। এ ক্ষেত্রে ভর্তি পরীক্ষাই একমাত্র সমাধান।

গুচ্ছ পদ্ধতিতে বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষায় মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার নম্বর যুক্ত হচ্ছে কিনা বিষয়টি জানতে ভর্তিচ্ছুশিক্ষার্থীদের অপেক্ষা করতে হবে। গুচ্ছ ভিত্তিক বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষা কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য মীজানুর রহমান আজ ১৪ অক্টোবর বুধবার এ কথা জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, বিষয়টি নিয়ে বিশদ আলোচনার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর উপাচার্যদের নিয়ে বসতে হবে। যা নিরাপত্তা জনিত কারণে অনলাইনে সম্ভব না। তবে বিষয়টি এগিয়ে নেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।

উপাচার্য বলেন, শুধু মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক ফলাফলের ওপর ভর্তি-ইচ্ছুক শিক্ষার্থীদের বসে থাকা চলবে না। প্রতি বছর দেখা যায় অনেক ভালো ফলাফল নিয়ে শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে পারেন না। আবার ফলাফল ভালো না থাকার পরেও অনেকে ভর্তি পরীক্ষায় কৃতিত্ব দেখায়।

তিনি আরো বলেন, করোনাভাইরাস সংকটে এ বছর উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা সরাসরি গ্রহণ না করে, ভিন্ন পদ্ধতিতে মূল্যায়নের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। নিশ্চয়ই এর চেয়ে ভালো সিদ্ধান্ত কেউ দিতে পারেনি। এখন উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশের বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ। প্রতিটি বিষয়ে নম্বরসহ আগের মতোই ফলাফল দিতে হবে। যাতে শিক্ষার্থীদের দেশ-বিদেশে উচ্চ শিক্ষা গ্রহণে কোনো অসুবিধা না হয়।

বর্তমানে ৩৯টি সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে সরাসরি শিক্ষার্থী ভর্তি করা হয়। এর মধ্যে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) এবং চারটি স্বায়ত্তশাসিত বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাকা, জাহাঙ্গীরনগর, রাজশাহী ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়) নিজেদের মতো করে এবং বাকি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে তিনটি গুচ্ছ করে ভর্তি পরীক্ষা নেওয়ার পরিকল্পনা করেছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন ( ইউজিসি)।

এখনো পর্যন্ত নেয়া সিদ্ধান্তমতে কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে নিয়ে একটি, সাধারণ এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে নিয়ে আরেকটি এবং প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে নিয়ে আরেকটি গুচ্ছ করে এই ভর্তি পরীক্ষা নেওয়া হবে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here