গবেষণাই এখন পর্যন্ত টিকাকেই সব থেকে নির্ভরযোগ্য মনে হচ্ছে করোনা থেকে বাঁচার একমাত্র উপায়।
যদিও, টিকা সংক্রমণ পুরোপুরি বন্ধ করতে পারবে না , মৃত্যুও একেবারে শূন্য কোটায় এটাও করতে পারবে না, তবে বাঁচার-সুস্থ থাকার সম্ভাবনা অনেকটাই বাড়াতে পারবে।
তিনবারের বিশ্ব কিক বক্সিং চ্যাম্পিয়ন সিনিস্ত্রা, করোনাকেও প্রতিপক্ষের মতো উড়িয়ে দিতে চেয়েছিলেন টিকার সাহায্য না নিয়ে। কিন্তু সেই তাঁকেই ৪১ বছর বয়সে জীবন দিতে হলো করোনার কাছেই।
ফ্রেদেরিক সিনিস্ত্রার মৃত্যুর খবরটি ডি টেলিগ্রাফ পত্রিকা সবার সামনে নিয়ে আসেন। গত নভেম্বরের শেষ দিকে ফ্রেদেরিক হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) ভর্তি হয়েছিলেন করোনায় আগে হয়ে।
অবশেষে তিনি ১৫ ডিসেম্বর মৃত্যু কোলে ঢলে পরেন।
হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার আগে অবশ্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সবাইকে আশ্বস্ত করেই পোস্ট দিয়েছিলেন সিনিস্ত্রা। তাতে তিনি লিখেছিলেন, ‘পাশে থাকার জন্য সবাইকে ধন্যবাদ। আমি বাসায় থেকে সুস্থ হচ্ছি, যেভাবে সুস্থ হওয়ার কথা। আরও হাজার গুণ শক্তিশালী হয়ে আমি সবার মাঝে ফিরব।
করোনার টিকা নিয়ে সিনিস্ত্রার ধারণা ছিল, টিকা না নিলে হাজার গুণ কি, এক গুণও বেশি শক্তিশালী হওয়া যায় না। এমনকি করোনার সংক্রমণের কারণেই যে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন, সেটাও খোলাখুলি নিশ্চিত করেননি কোনো গণমাধ্যমের সামনে। শুধু তা-ই নয়, সিনিস্ত্রার মৃত্যুর পর তাঁর স্ত্রীও স্বীকার করতে নারাজ যে স্বামী করোনার কারণেই প্রাণ হারিয়েছেন!
নভেম্বরের শেষ দিকে ইনস্টাগ্রামে দেওয়া এক পোস্টে সিনিস্ত্রা জানিয়েছিলেন, ‘দুর্ভাগ্যজনকভাবে আগামী ৪ ডিসেম্বর ফ্রান্সের নিমে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া ম্যাচটা স্থগিত করতে হচ্ছে। খুবই বিরক্ত লাগছে, কিন্তু আমি আমার স্ত্রী ও চাচা ওসমান ইগিনের প্রতি কৃতজ্ঞ। অনেক অসুখ-বিসুখ আমার ফুসফুসে আঘাত হানছে।’ সে অসুখ-বিসুখের নাম যে কোভিড, সেটা মুখে উচ্চারণ ও করতে রাজি ছিলেন না সিনিস্ত্রা।