গুলশান আরা বিশ্বাস
বর্ষাকালে অর্থাৎ এখন এই সময় সাপে কাটা রোগী বছরের অন্যান্য সময়ের তুলনায় অনেক পাওয়া যায়। বিশেষ করে উপজেলা হেলথ কম্পলেক্স এ। এর কারন হচ্ছে সাপদের ঘর বা থাকার জায়গা পানিতে ডুবে যায়। তাই তারা তাদের আশ্রয় খুঁজে বের করে যেমনঃ ইঁটের গাদা, খড়ের গাদা , ঘরের কোনা, এমন কি বিছানা বা বালিশের নিচে ও সাপ পাওয়া যায়।
সাপের উপদ্রব থেকে রক্ষার কিছু কৌশল
জানা গেছে সাপ ন্যাপথলিন এবং কাঁচা রসুনের গন্ধ সহ্য করতে পারে না, তাই এই গুলি ছিটিয়ে রাখতে হবে , কার্বলিক অ্যাসিড পরিবেশ এবং মানুষের জন্য ক্ষতিকর। তাই এটা না দেওয়া ভালো।
ইঁদুর ও ব্যাঙ যেন বাড়িতে না থাকে সেটি খেয়াল রাখতে হবে কারন এ গুলি সাপের প্রিয় খাবার।
ঘরে প্রবেশ করার আগেই লাইট জ্বালাতে হবে। বাহিরে গেলে টর্চ লাইট জালাতে হবে।
ইটের বা খড়ের গাদা থেকে খড় বা ইট নিতে গেলে আগে শব্দ করতে হবে তাহলে সাপ চলে যাবে।
হাঁস মুরগির ডিম খেতে সাপ পছন্দ করে তাই হাঁস মুরগির ঘর দূরে রাখতে হবে।
ঘরের বাইরে ঘুমান ঠিক না,তবে যদি ঘুমাতেই হয় সে ক্ষেত্রে মশারি টাঙাতে হবে।
সাপে কাটা রোগীর ম্যানেজমেন্টঃ
মাথা ঠান্ডা রেখে পেশেন্ট এবং তার সাথের মানুষদের সান্তনা দিতে হবে। শতকরা ৯৬-৯৭% মানুষ অবিষাক্ত সাপ দ্বারা দংশিত হয়ে থাকে।
সাপের বিষ লিম্পফেটি চ্যানেলে দিয়ে ছড়ায়, তাই লিম্ফ্যাটিক ড্রেনেজ বন্ধ করতে হবে। শরিরের যে অংশে সাপে কেটেছে সেই অংশ যেন না নড়ে সেই জন্য গামছা, পাতলা কাপড় বা ক্রেপ বেন্ডেজ বাধতে হবে।
কবিরাজ ঢেকে, ঝড় ফুঁক করে, বা ব্লেড দিয়ে কেটে রক্ত বের করে সময় নষ্ট না করে যত দ্রুত সম্ভব রোগী কে হাসপাতালে নিতে হবে, যেখান এন্টি ভেনন এবং আর্টিফিশিয়াল রেস্পিরেশন এর ব্যবস্থা আছে।
২৪ ঘন্টা অবজারভেশ এ রেখে যদি কোনো অসুবিধা না হয় তাহলে বাড়ি যেতে পারে। আর কোন অসুবিধা হলে সেই অনুসারে ব্যবস্থা নিতে হবে।