কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন! এক ভ্যাকসিনে রাজনীতি, অর্থনীতি, শিক্ষা, ব্যবসা-বানিজ্য সব থমকে আছে! তাইতো এটা এখন রাজনীতিবিদদের হাতিয়ারে পরিনত হয়েছে। দেশে দেশে এটা নিয়ে প্রচারে ব্যস্ত সেদেশের রাজনীতিবিদগন। রাশিয়ার ভ্যাকসিন আবিষ্কার যেমন সংবাদপত্রে আসন করে নিয়েছিল অপরদিকে তৈরি ঘোষণার পরপর এটি সমালোচনায় এগিয়ে ছিল। সমালোচনার কোন জবাব রাশিয়ার পক্ষ থেকে এখনো পাওয়া যায় নাই।
এদিকে রাশিয়ার ঘোষনার পরপরই অল্প দিনের ব্যবধানে ট্রায়ালের ২য় ফেইজ শেষ হওয়া ভ্যাকসিন এর নাম নিবন্ধন করেছে চীনা প্রশাসন। অবশ্য চীনের এ ভ্যাকসিন রাশিয়ার চেয়ে অনেক সূক্ষভাবে যাচাই করা হয়েছে এবং আন্তর্জাতিক মান রক্ষা করে ট্রায়াল চালানো হচ্ছে। যদিও ২য় ধাপের পরে আরেকটি ধাপ ট্রায়াল হিসেবে বড় একটি জনগোষ্ঠির উপর চালানো গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। চীনের ভাষ্যমতে প্রথম ও দ্বিতীয় ধাপের পরীক্ষায় দারুণভাবে সফল হওয়ার পর তাদের দেশে অনুমোদন পেয়েছে ‘এড৫-এনসিওভি’ ভ্যাকসিন। দেশটির সেনাবাহিনীর সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞ চেন ওয়ের দল এবং স্যানসিনো বায়োলজিকসের তৈরি করেছে এই ভ্যাকসিনটি। রোববার (১৬ আগস্ট) ভ্যাকসিনটি নিবন্ধন করেছে দেশটি। চীনের গ্লোবাল টেলিভিশন নেটওয়ার্ক (সিজিটিএন) এ তথ্য জানিয়েছে।
চীন প্রথম করোনা ভ্যাকসিনের পেটেন্ট অনুমোদন দিয়েছে। দ্বিতীয় পর্যায়ের পরীক্ষায় দেখা গেছে, ভ্যাকসিনটি নিরাপদ এবং প্রতিরোধ ক্ষমতা জাগিয়ে তুলতে সক্ষম। কিন্তু ৩য় ধাপের ব্যাপারে কোন তথ্য জানানো হয় নাই।
আমেরিকান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন জার্নালে প্রকাশিত ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের তথ্যের বরাত দিয়ে সিনহুয়া নিউজ এজেন্সি জানিয়েছে, করোনার এই ভ্যাকসিনটি নিরাপদ ও সফলভাবে প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি করেছে।
উল্লেক্ষ্য যে, প্রথম ধাপের ট্রায়ালে ১৮ থেকে ৫৯ বছর বয়সী ৩২০ জন স্বাস্থ্যবান স্বেচ্ছাসেবক অংশ নিয়েছিলেন আর দ্বিতীয় ধাপে ২২৪ জন স্বেচ্ছাসেবক অংশ নিয়েছিলেন। সিনহুয়া জানিয়েছে, ট্রায়ালের ফলাফলগুলো ইঙ্গিত দেয় যে ভ্যাকসিন কার্যকরভাবে স্বেচ্ছাসেবীদের শরীরে নিরপেক্ষ অ্যান্টিবডি তৈরি করে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্রিয়ায় ভালো সক্ষমতা প্রদর্শন করে। এতে করে রাশিয়ার পরে ভ্যাকসিনের দৌড়ে চিন অনেকটা এগিয়ে এবং যথাযত প্রক্রিয়া অনুসরণ করেই এগুচ্ছে বলে নিশ্চিত করেছে চীনা কর্তৃপক্ষ।