২ ডিসেম্বর কভিড-১৯ এর বিরুদ্ধে প্রত্যাশিত প্রথম অস্ত্র মাঠে নামিয়েছে যুক্তরাজ্যে।

২ ডিসেম্বর ২০২০ দিনটি ইতিহাসের পাতায় লেখা থাকবে। আজ যুক্তরাজ্যে বিশ্বের প্রথম ফাইজারের তৈরী করোনা ভ্যাকসিনটির অনুমোদন দেয়া হল। মাত্র ১০ মাসের ভেতর ফাইজার এবং বায়োন্টেক তাদের এমআরএনএ ভ্যাকসিন তৈরী করে দেখাল যে একাডেমিকস, ইন্ডাস্ট্রি এবং সরকারের সম্মিলিত প্রয়াসে এবং বিজ্ঞানের যথাযথ প্রয়োগে ১০ বছরের কাজ ১০ মাসে করা সম্ভব!

(১) প্রায় ৪০ হাজার ভলান্টিয়ারের উপর চালানো ফেইজ-৩ ট্রায়ালে ফাইজারের ভ্যাকসিনটি ৯৫ শতাংশ কোভিড-১৯ প্রতিরোধে সক্ষম হয়েছে।
(২) ভ্যাকসিনটির ২১ দিন অন্তর দুইটি ডোজ দেয়ার ৭ দিন পর থেকেই তা কোভিড-১৯ থেকে সুরক্ষা দেয়।
(৩) ভ্যাকসিনটির ট্রায়ালে প্রায় ৪০ শতাংশ এথনিক ডাইভারসিটি ছিল। অর্থাৎ এটা বিভিন্ন গোত্রের মানুষের উপর সমানভাবে কার্যকরী। ফাইজারের ভ্যাকসিনটি বৃদ্ধদের উপরও কার্যকরী।
(৪) ব্রিটেনে আগামী সপ্তাহ থেকে ভ্যাকসিন প্রয়োগ শুরু হবে। প্রথম চালানে যুক্তরাজ্য ৮ লক্ষ ডোজ ভ্যাকসিন পাবে ফাইজারের কাছ থেকে যা দিয়ে ৪ লক্ষ মানুষকে ভ্যাকসিন দেয়া যাবে।
(৫) সর্বপ্রথম ভ্যাকসিন দেয়া হবে কেয়ার হোমে থাকা বৃদ্ধ এবং তাদের সেবায় নিয়োজিত স্টাফদের। এরপর দেয়া হবে ৮০ বছর বয়েসের বৃদ্ধ এবং স্বস্থসেবা কর্মীদের।
(৬) ফাইজারের কাছ থেকে যুক্তরাজ্য ৪০ মিলিয়ন ডোজ ভ্যাকসিন আগাম ক্রয় করে রেখেছে।
(৭) এই ভ্যাকসিনটি প্রস্তুত হচ্ছে বেলজিয়ামে এবং সেখান থেকে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে তা সরবরাহ করা হবে বিশেষ প্লেনে।
(৮) এক প্লেন ভর্তি ফাইজার ভ্যাকসিন যুক্তরাষ্ট্রে পৌঁছেছে গত সপ্তাহে। আমেরিকাতেও ভ্যাকসিন প্রয়োগ শুরু হবে দু সপ্তাহের ভেতরেই।
(৯) তবে, ফাইজারের ভ্যাকসিনটি ৯৫ শতাংশ কার্যকরী হলেও আমরা কিন্তু এখনও জানি না যে এই কার্যকারীতা কতদিন স্থায়ী হবে। এবং যদিও ভ্যাকসিনটি এখনও স্বল্পমেয়াদী তেমন কোন মারাত্মক পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া প্রদর্শন করেনি, এর দির্ঘমেয়াদী কোন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া আছে কিনা তা জানতে অপেক্ষা করতে হবে অন্তত আরও দুই বছর।

ড. খোন্দকার মেহেদী আকরাম,
এমবিবিএস, এমএসসি, পিএইচডি,
সিনিয়র রিসার্চ অ্যাসোসিয়েট,
শেফিল্ড ইউনিভার্সিটি, যুক্তরাজ্য।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here