দর্শনার্থীর মোবাইল পাহাড়া না দেয়ার অভিযোগে নার্সকে শোকজ

স্টাফ রিপোর্টারঃ
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে রোগীর স্বজনের মোবাইল চুরি হওয়ায় কর্তব্যরত নার্সিং কর্মকর্তাকে শোকজ করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

বিএসএমএমইউ এর অতিরিক্ত পরিচালক (হাসপাতাল) ডা. নাজমূল করিম স্বাক্ষরিত এক কৈফিয়ত তলব আদেশ দেখে ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন সারা দেশের নার্সিং কর্মকর্তা -কর্মচারী এবং নার্স নেতৃবৃন্দ। গত ০৫ জুলাই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের গাস্ট্রোএন্টারোলজী বিভাগের সিনিয়র স্টাফ নার্সকে কৈফিয়ত তলব করেন তিনি।

কারণ দর্শনো নোটিশে তিনি উল্লেখ করেন যে গত ৪ জুলাই ২০২০ তারিখে হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা এক রোগীর স্বজন এডভোকেট এর মেয়ের ব্যাগ থেকে মোবাইল ফোন চুরি হয়। ঐ সিনিয়র স্টাফ নার্সের দায়িত্ব পালনরত অবস্থায় রোগীর স্বজনের জিনিস চুরি হওয়া দায়িত্ব অবহেলা বিধায় তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা কেন ব্যাবস্থা গ্রহণ করা হবে না তার উত্তর নির্দিষ্ট কর্মদিবসের মধ্যে দাখিল করার জন্য নির্দেশ প্রদান করেন।

এই আদেশ দেখে সারা দেশের নার্সগণ ক্ষুদ্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যাক্ত করেন। কোভিড-১৯ মহামারিতে যেখানে সম্মুখ সারিতে প্রত্যক্ষ সেবা দিয়ে নার্সগণ বিপর্যস্ত এই সময়ে রোগীর স্বজনের মোবাইল ফোন পাহারা না দেয়ার অভিযোগে নার্সকে তলব করা প্রকৃতপক্ষে ঠাট্টা ও স্বাস্থ্য ব্যাবস্থার উপর নূন্যতম জ্ঞান থাকা কোন কর্মকর্তার দ্বারা সম্ভব নয় বলে মনে করেন তারা।

বিএসএমএমইউর এক সাবেক সিনিয়র স্টাফ নার্স বলেন রোগীর স্বজনদের ব্যাগ,টাকা, স্বর্ন সহ মুল্যবান জিনিসপত্র আমরা তাদেরকে নিজদায়িত্বে রাখতে বলি। জরুরী ক্ষেত্রে বা স্বজন থাকবেন না এমন স্থানে রোগী স্থানান্তর করার পূর্বে স্বজনের কাছে লিখতভাবে রোগীর মূল্যবান সামগ্রি হস্তান্তর করে দেই। স্বজন পাশে থাকা অবস্থায় রোগীর স্বজনের ব্যাবহার্য সামগ্রি পাহারা দেওয়া নার্সের দায়িত্বের মধ্যে পড়েনা। এছাড়া গেইটম্যান বা আনসার নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণ করেন। তারা সাধারণত আগন্তুক কেউ আসলে তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। পাহারা দেন বা প্রয়োজনে পুলিশের সহায়তা গ্রহণ করেন।

এ বিষয়ে সাবেক কয়েকজন সেবা তত্ত্বাবদায়ক বলেন, রোগীর জিনিস চুরির ঘটনায় এ দায়ভার হাসপাতালের নিরাপত্তার দায়িত্ব যারা নিয়োজিত তাদের উপর। অথচ দায়িত্বরত নিরাপত্তাকর্মীকে কৈফিয়ত তৈলব না করে কর্তব্যরত নার্সকে কৈফিয়ত তলব করা হয়েছে যেটি খুবই অযৌক্তিক। এসব হয়রানীমূলক আদেশ বা নির্দেশনা প্রকাশ না করে হাসপাতালের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করার জন্য তারা মতপ্রকাশ করেন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here