কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নার্সিং ও মেডিকেল টেকনোলজি কোর্স চলবে মন্ত্রনালয়ের অধিনে।

দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন ও ক্ষোভ প্রকাশ করে আসছিলেন বাংলাদেশ নার্সিং ও মিডওয়াইফারি কাউন্সিল এবং রাষ্ট্রিয় চিকিৎসা অনুষদ থেকে রেজিষ্ট্রেশনপ্রাপ্ত নার্স ও মেডিকেল টেকনোলোজিস্টগনে। প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষা ও নিদৃষ্ঠ কঠোর নিয়মতান্ত্রিকতার মধ্যে অর্জন করতে হতো এই দুই রাষ্ট্রিয় প্রতিষ্ঠানের সনদ।

গত ১৫ বছর থেকে কারিগরি শিক্ষাবোর্ড দক্ষ মানবসম্পদ গড়ার লক্ষ্যে এসব কোর্স চালু করে স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয়ের সাথে কোররস ও কারিকুলাম সমন্বয় না করে সম্পূর্ণ ব্যাক্তিগত সিদ্ধান্তের আলোকে। যেখানে বাংলাদেশ নার্সিং ও মিডওয়াইফারি কাউন্সিল এবং রাষ্ট্রিয় চিকিৎসা অনুষদের সকল কারিকুলামকে সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞ প্যানেলের মাধ্যমে এবং সংশ্লিষ্ট অন্যান্য অবকাঠামোকে আন্তর্জাতিক মানের করে তৈরি করা হয়। এক্ষেত্রে স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের সাথে সমন্বয় না করে এবং স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যান মন্ত্রণালয়ের অনুমতি ছাড়াই কারিগরি শিক্ষাবোর্ডের অধিনে দীর্ঘদিন ছাত্র ভর্তি করা হচ্ছিল এবং সনদ প্রদান করা হচ্ছিল।

একই কোর্স শিক্ষা ব্যাবস্থার মান ও প্রতিষ্ঠান ও কারিকুলামের গুনগতমান এর বিচারে এতটা ফারাক থাকায় বাংলাদেশ নার্সিং ও মিডওয়াইফারি কাউন্সিল এবং রাষ্ট্রিয় চিকিৎসা অনুষদ থেকে পাশকৃত শিক্ষার্থীগন কারিগরি শিক্ষাবোর্ড এর সকল প্রকার নার্সিং এবং মেডিকেল টেকনোলজি কোর্স বন্ধের দাবী করে আসছিলেন।

আন্দোলন ও দাবী প্রকাশের পর তা প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টিগোচর হলে তিনি এটার দ্রুত সমাধানের নির্দেশ দেন। প্রাধানমন্ত্রীর নির্দেশের পর গত বছরের নভেম্বর মাসে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের নেতৃত্বে স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও আইন মন্ত্রণালয় এবং কারিগরি শিক্ষাবোর্ড, নার্সিং কাউন্সিল, রাষ্ট্রীয় চিকিৎসা অনুষদের ঊর্ধ্বতন আট কর্মকর্তাকে নিয়ে একটি আন্তঃমন্ত্রণালয় কমিটি গঠিত হয়। কমিটি গত বছরের ২ ডিসেম্বর জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে দাখিল ও প্রতিবেদন সুপারিশ করে।

সুপারিশে বলা হয়, সুপ্রিম কোর্টের সিভিল পিটিশন লিভ টু আপিল (২১৪৩/২০১৬) মামলার নির্দেশনা মোতাবেক মেডিকেল টেকনোলজি ও নার্সিং কোর্স সংক্রান্ত সব শিক্ষা কার্যক্রম ওয়ান আমব্রেলা কনসেপ্টের আওতায় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক পরিচালিত হবে।

আন্তঃমন্ত্রণালয় মিটিং এ ৩০ কর্মদিবসের মধ্যে কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ড এর কার্যক্রম থেকে বাদ দেয়ার সুপারিস করা হয় এবং ইতিমধ্যে কারিগরি শিক্ষাবোর্ড থেকে গেজেটে কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের আইন-২০১৮ এ তফসিল-১ এর ক্রমিক নং ১-এর দফা ‘ঞ’এবং ক্রমিক নং ৪-এর দফা ‘ক,ঘ’a বিলুপ্ত করা হয়। বোর্ডের আইন-২০১৮ এর ধারা ২৬-এ প্রদত্ত ক্ষমতাবলে উল্লেখিত দফা সংশোধন করা হয়।

এর ফলে ঐসব প্রতিষ্টান এখন থেকে নার্সিং বা মেডিকেল টেকনোলজি কোর্সে পরিচালনা করতে হলে স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয়ের অনুমতি নিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রনালয়ের প্রদত্ত কারিকুলাম অনুযায়ী পরিচালনা করতে হবে। যদিও ২০০৫ সাল থেকে পাশকৃত কারিগরি শিক্ষাবোর্ডের অধিনে পাশকৃত নার্সিং বা মেডিকেল টেকনোলজিস্টগনের ব্যাপারে কোন সিদ্ধান্ত আসে নাই।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here