ভূয়া নার্স দিয়ে চলে হাসপাতাল, চট্টেশ্বরীতে হাসপাতাল সিলগালা ! এক্সরে নিষেধ আল-আমিন হাসপাতালের

লাইসেন্স নবায়ন না করায় চট্টগ্রাম নগরীর চট্টেশ্বরী রোডের সিটি হেলথ ক্লিনিক নামে একটি বেসরকারি হাসপাতাল সিলগালা করে দিয়েছে স্বাস্থ্য বিভাগ। গতকাল রাতে পুলিশের সহায়তায় সিভিল সার্জন ডা. সেখ ফজলে রাব্বি হাসপাতালটি সিলগালা করেন।

এর আগে গর্ভপাতে এক নারীর মৃত্যুর ঘটনায় দায়ের করা এক মামলায় দুপুরে হাসপাতালটির ব্যবস্থাপক হারুনকে গ্রেপ্তার করে চকবাজার থানা পুলিশ। পুলিশের পক্ষ থেকে বিষয়টি সিভিল সার্জনকে জানানো হয়। এরপর পুলিশকে সাথে নিয়ে ওই হাসপাতালে অভিযানে যান সিভিল সার্জন। বেশ কিছু অনিয়ম ধরা পড়ায় হাসপাতালটি সিলগালা করে দেয়া হয় বলে নিশ্চিত করেছেন সিভিল সার্জন ডা. সেখ ফজলে রাব্বি।

দীর্ঘ দিন হাসপাতালটির লাইসেন্স নবায়ন করা হয়নি জানিয়ে সিভিল সার্জন বলেন, হাসপাতালটিতে দায়িত্বরত নার্সদের কোনো প্রকার ডিপ্লোমা নেই বলে আমরা জানতে পেরেছি। অর্থাৎ নার্সিং ডিপ্লোমা ছাড়াই নার্স নিয়োগ দেয়া হয়েছে হাসপাতালটিতে। আর রোগীরা অভিযোগ করেছেন রাতে কোনো ডাক্তারই পাওয়া যায় না। হাসপাতালে মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধও পেয়েছি। এছাড়া ফ্রিজে ওষুধের পাশাপাশি একই সাথে মাংসও রাখা হয়েছে। পরে হাসপাতালটি সিলগালা করে দেয়া হয়েছে। সংশ্লিষ্টদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, সিভিল সার্জনের অভিযানের সময় ৬ জন রোগী ছিলেন হাসপাতালটিতে। এদের মধ্যে মোটামুটি সুস্থ হওয়ায় ৩ জনকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। বাকি ৩ জনের দুজনকে চমেক হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আর একজন বেসরকারি একটি হাসপাতালে গেছেন।

রোগীদের অন্যত্র স্থানান্তরের ব্যবস্থা করেই হাসপাতালটি সিলগালা করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন সিভিল সার্জন।

এদিকে বেশ কিছুদিন আগে গর্ভপাত করাতে গিয়ে এক নারীর মৃত্যু হয় হাসপাতালটিতে। এ ঘটনায় ওই নারীর বাবা বাদী হয়ে হাসপাতাল সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে মামলা করেন। ওই মামলায় গতকাল দুপুরে হাসাপাতালটির ব্যবস্থাপক হারুনকে গ্রেপ্তার করে চকবাজার থানা পুলিশ। গ্রেপ্তারের সত্যতা নিশ্চিত করলেও এ বিষয়ে বিস্তারিত বলতে রাজি হননি চকবাজার থানার ওসি রুহুল আমিন। বৃহস্পতিবার (আজ) সকালে প্রেস ব্রিফিংয়ের মাধ্যমে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানানো হবে বলে জানান তিনি।

এক্স-রে করাতে পারবে না আল-আমিন হাসপাতাল :

বুধবার (গতকাল) সন্ধ্যায় চট্টগ্রামের শহরের একে খান মোড়ের আল-আমিন হাসপাতাল পরিদর্শনে যান সিভিল সার্জন ডা. সেখ ফজলে রাব্বি। সেখানে এক্স-রে পরীক্ষায় বেশ কিছু অনিয়ম পাওয়ায় হাসপাতালটির এক্স-রে পরীক্ষা সংক্রান্ত কার্যক্রম বন্ধ রাখার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। অনির্দিষ্টকালের জন্য এ কার্যক্রম বন্ধ রাখতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন সিভিল সার্জন ডা. সেখ ফজলে রাব্বি।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here