গত আগস্ট মাসে এক গবেষণা নিবন্ধে বলা হয়, সিএনবিজির অন্য টিকাটি দ্বিতীয় ধাপে মারাত্মক পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ছাড়াই অ্যান্টিবডি তৈরি করেছিল। বিবিআইবিপি-করভি নামক এ টিকাটি তৈরি করছে বেইজিং ইনস্টিটিউট অব বায়োলজিক্যাল প্রোডাক্টসের অধীনে থাকা চায়না ন্যাশনাল বায়োটেক গ্রুপ (সিএনবিজি)। মানুষের ওপর প্রাথমিক ও মধ্যপর্যায়ের সম্মিলিত পরীক্ষায় প্রতিরোধী প্রতিক্রিয়াও দেখিয়েছে বিবিআইবিপি-করভি নামের টিকাটি। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
টিকাটি ইতিমধ্যে চীনে জরুরি ব্যবহারের জন্য অনুমোদন পেয়েছে। টিকাটি জরুরি কর্মসূচির অধীনে দেশটির গুরুত্বপূর্ণ কর্মী ও সংক্রমণের উচ্চ ঝুঁকিতে থাকা লোকজনকে দেওয়া হচ্ছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে, এ নিয়ে মোট চারটি চীনা টিকা তৃতীয় ধাপে রয়েছে। এর মধ্যেই চীনে এটা প্রাথমিক ব্যাবহারের অনুমতি প্রদান করা হয়েছে।
দ্বিতীয় ধাপের পরীক্ষায় মারাত্মক কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা যায় নি শুধুমাত্র সামান্য সর্দি, হালকা জ্বর বা ইনজেকশন দেওয়ার জায়গায় সামান্য ব্যথা ছাড়া। স্বাস্থ্য জার্নাল ‘ল্যানসেট’–এ টিকাটির গবেষণাসংক্রান্ত তথ্য প্রকাশ করেছে।
জুলাই-২০ এর মধ্যে প্রথম ও দ্বিতীয় ধাপের যৌথ পরীক্ষায় বিভিন্ন দলের ৬০০ জন মানুষের ওপর তিনটি পৃথক ডোজে টিকাটি দেওয়া হ ৬০০ জনের ওপর টিকাটি প্রয়োগ করা হয় । এতে শরীরে অ্যান্টিবডি (প্রতিরোধী ক্ষমতা) তৈরির প্রমান যতেষ্ট ছিল। বয়স্কদের শরীরেও এতে অ্যান্টিবডি তৈরি করেছিল আশানুরূপ। তবে ৬০ বছরের বেশি বয়সীদের ক্ষেত্রে অ্যান্টিবডি তৈরি আশানুরূপ ছিল না। টিকার আরেকটি সংস্করণ চীনের বাইরে পরীক্ষা চালানো হচ্ছে। ওই টিকাও চীনের জরুরি টিকা কর্মসূচিতে ব্যবহৃত হচ্ছে।
ইতিমধ্যে এই দুটি টিকাই সাধারণ মানুষের ব্যবহারের জন্য শর্তাধীন অনুমোদন পেতে পারে বলে চীনা কর্তৃপক্ষের আভাস পাওয়া গেছে।
