স্টাফ রিপোর্টার : ২০২২ এর মধ্যে দেশের ৮০ ভাগ মানুষকে করোনার টিকা দেওয়ার পরিকল্পনা গ্রহণ করছে সরকার বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম। রবিবার (২৫ জুলাই) বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা (বাসস)-কে এ কথা জানান তিনি।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশ এ পর্যন্ত প্রায় ১ কোটি ৬১ লাখ কোভিড-১৯ টিকা সংগ্রহ করেছে এবং ২৫ জুলাই পর্যন্ত প্রায় ৭৩ লাখ ৫০ হাজার মানুষ প্রথম ডোজ পেয়েছে। এছাড়াও ৪৩ লাখেরও বেশি মানুষ টিকার দ্বিতীয় ডোজ পেয়ে কোর্সটি ইতোমধ্যে শেষ করেছে। এখনও পর্যন্ত নিবন্ধিত মানুষের সংখ্যা ১ কোটি ১৮ লাখ।
স্বাস্থ্যের ডিজি বাসসকে বলেন, বিভিন্ন দেশের সাথে চুক্তি অনুযায়ী আগামী বছরের জুনের মধ্যে বাংলাদেশ প্রায় ১৪ কোটি ডোজ টিকা কিনতে যাচ্ছে। বিভিন্ন দেশ ও সংস্থার সাথে চুক্তি করে সরকার টিকা ক্রয়ের চেষ্টা করে যাচ্ছে। এর মধ্যে চীনের সিনোফার্ম থেকে তিন কোটি, রাশিয়ার স্পুটনিক–ভি এক কোটি, জনসন অ্যান্ড জনসন সাত কোটি, যুক্তরাষ্ট্রের ফাইজার ৬৫ লাখ ও অ্যাস্ট্রাজেনেকা থেকে ৩০ লাখ টিকা পাওয়ার চুক্তি চূড়ান্ত করা হয়েছে।
গ্রামাঞ্চলেও পূর্ণমাত্রায় টিকা প্রদান করার আশাবাদ ব্যাক্ত করেন তিনি। দেশের ১৭ কোটি মানুষের মধ্যে ১৩ কোটি মানুষের টিকাদান কর্মসূচি ত্বরান্বিত করতে টিকাগ্রহিতাদের নিবন্ধনের জন্য বিকল্প উপায় অনুসন্ধান করা হচ্ছে বলে জানান ডা. খুরশিদ আলম। তিনি আরো বলেন, আগামী বছরের জুন মাসের মধ্যে বাংলাদেশ প্রায় ১৪ কোটি টিকা ডোজ কিনতে যাচ্ছে। অন্যদিকে পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য পরবর্তী মাসগুলোতে প্রয়োজনীয় বাকি টিকা সংগ্রহ করা হবে।
এদিকে জানা যায়, করোনার ভয়াবহতা চিন্তা করে টিকাগ্রহিতাদের বয়সসীমা ৩০ থেকে কমিয়ে ১৮ বছর করার চিন্তা করছে সরকার।
কোভিড-১৯ এর সংক্রান্ত জাতীয় প্রযুক্তিগত উপদেষ্টা কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ সহিদুল্লাহ বলেছেন, প্রতি মাসে দেশের এক কোটি মানুষকে টিকা দিতে হবে, যার অর্থ প্রতিদিন চার লক্ষ মানুষ টিকার সুবিধা পাবে। তিনি বলেন, বিভিন্ন সংস্থার টিকার নির্দিষ্ট কার্যকারিতার সময়কাল থাকায় নিবন্ধন প্রক্রিয়া দ্রুত করার জন্য নিবন্ধন প্রক্রিয়া শিথিল না করা হলে টিকাকরণ প্রচারাভিযান ফল দেবে না।
