শীতর হীমেল বাতাস এলে বাড়বে করোনার সংক্রমণ, বিশেষজ্ঞদের এই শঙ্কার সত্যতা মিলছে। গত ২১ দিন ধরে করোনায় আক্রান্ত উর্ধ্বমুখী, বেড়েছে প্রাণহানির সংখ্যা। তাই তীব্র শীতের আগেই স্বাস্থ্যবিধি কঠোরভাবে মানার পাশাপাশি জনসচেতনতার পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের।
করোনার দাপটে আবারও বিপর্যস্ত সাধারণ মানুষ। হাসপাতালে কিছুদিন আগে সিট ফাঁকা থাকলেও এখন সিট না পেয়ে এক হাসপাতাল থেকে অন্য হাসপাতালে ছুটতে হচ্ছে রোগীদের। গত ২১ দিনের প্রতি সপ্তাহে আগের সপ্তাহের চেয়ে বেশি সংখ্যক মানুষ করোনায় আক্রান্ত হচ্ছেন, বাড়ছে মৃত্যুও।করোনা আক্রান্ত হয়ে জটিল রোগীর সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় চাপ বাড়ছে হাসপাতালে।
বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা বলছেন, স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা শিথিল হওয়ায় পাল্টে যাচ্ছে পরিস্থিতি। তীব্র শীতের আগেই সচেতন হওয়ার পরামর্শ তাদের। গত মঙ্গলবার করোনায় সারাদেশে মারা গেছেন ৩৯জন, যা গত দুই মাস পর সর্বোচ্চ এবং সনাক্তের সংখ্যা প্রতিদিনই নতুন নতুন উচ্চতায় যাচ্ছে।
দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা শনাক্ত রোগী, শনাক্তের হার ও মৃত্যু—সবই বেড়েছে। এই সময় ২ হাজার ৬০ জনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। পরীক্ষার বিপরীতে সংক্রমণ শনাক্তের হার ১৪ দশমিক ৮৫ শতাংশ। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় মারা গেছে ৩৮ জন।
আজ রোববার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়,
গত ২৪ ঘণ্টায় (আজ সকাল আটটা পর্যন্ত) নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ১৩ হাজার ৮৭০টি। এর মধ্যে করোনা শনাক্ত হয়েছে ২ হাজার ৬০ জনের। দেশে এখন পর্যন্ত মোট ৪ লাখ ৪৭ হাজার ৩৪১ জনের দেহে করোনার সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। এখন পর্যন্ত ৬ হাজার ৩৮৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। সুস্থ হয়েছেন ৩ লাখ ৬২ হাজার ৪২৮ জন।
দেশে করোনায় সংক্রমিত প্রথম রোগী শনাক্তের ঘোষণা আসে চলতি বছরের ৮ মার্চ। প্রথম মৃত্যুর তথ্য জানানো হয় ১৮ মার্চ।
জনস্বাস্থ্যবিদেরা বলছেন, দেশের করোনা পরিস্থিতি এখনো নিয়ন্ত্রণে আসেনি।