জাতিসংঘ আবাসিক সমন্বয়কারীর কার্যালয় থেকে পাঠানো বিবৃতিতে বলা হয়েছে, আগামী দিনে কক্সবাজার থেকে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের ভাসানচরে সরিয়ে নেয়ার পরিকল্পনা সম্পর্কে জাতিসংঘ অবগত আছে। কিন্তু শরণার্থীদের স্থানান্তর প্রস্তুতি কিংবা রোহিঙ্গাদের শনাক্তকরণ প্রক্রিয়ার সঙ্গে সংস্থাটিকে যুক্ত করা হয়নি।এই স্থানান্তর প্রক্রিয়া সম্পর্কে জাতিসংঘের কাছে তথ্যও খুবই কম আছে বলে বলা হয়েছে ওই বিবৃতিতে।
ডিসেম্বর মাসেই আগ্রহী রোহিঙ্গাদের ভাসানচরে স্থানান্তর করার পরিকল্পনা সরকার নিয়েছিল- পররাষ্ট্র মন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেনের এমন বক্তব্য সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশ হয়েছিল।
রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের সাথে জড়িত কর্মকর্তারাও বলেছেন, স্থানান্তরের প্রক্রিয়া দ্রুত শুরু করার ব্যাপারে সরকারের তাগিদও রয়েছে।
কিন্তু জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংস্থা শুরু থেকেই রোহিঙ্গাদের স্থানান্তরে বাধ্য করার ব্যাপারে আপত্তি জানিয়ে আসছে।
এবারও তাদের বিবৃতিতে একই কথা বলা হচ্ছে।
গত নভেম্বরে রোহিঙ্গা প্রতিনিধিদের একটি দলকে ভাসানচর পরিদর্শনে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল।
বুধবার জাতিসংঘ তাদের বিবৃতিতে বলছে, ভাসানচরে রোহিঙ্গাদের স্থানান্তরের ব্যাপারে জাতিসংঘ তার আগেকার অবস্থানেই রয়েছে, অর্থাৎ ভাসানচরে যাবার ব্যাপরে, রোহিঙ্গা শরণার্থীরা যেন জেনে-বুঝে এবং স্বাধীনভাবে সিদ্ধান্ত নিতে পারে তা নিশ্চিত করতে হবে।
এবং সেজন্য জায়গাটি সম্পর্কে প্রাসঙ্গিক, সুনির্দিষ্ট ও হালনাগাদ তথ্যের ওপর ভিত্তি করে যেন তারা সিদ্ধান্ত নিতে পারে।
বাংলাদেশের সরকার ইঙ্গিত দিয়েছে স্থানান্তর প্রক্রিয়া হবে রোহিঙ্গাদের ইচ্ছার ভিত্তিতে, এবং এই গুরুত্বপূর্ণ প্রতিশ্রুতির প্রতি সরকার সম্মান দেখাবে বলে জাতিসংঘ আহ্বান জানিয়েছে।
ভাসানচরে যে রোহিঙ্গারা স্থানান্তরিত হবে তারা যেন দ্বীপটিতে গিয়ে তাদের মৌলিক অধিকার এবংমূল ভূখন্ডের সাথে দ্বীপটিতে যাওয়া-আসা করার স্বাধীনতাসহ সব ধরণের সেবা পাওয়ার অধিকারের ওপর গুরুত্ব আরোপ করেছে জাতিসংঘ।