স্টাফ রিপোর্টারঃ
মহান বিজয় দিবসে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও মহান মুক্তিযুদ্ধের সকল শহীদদের প্রতি গভির শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেছেন শ্যামলী বক্ষব্যাধি হাসপাতালের প্রকল্প পরিচালক ডাঃ মোঃ আবু রায়হান। দিনটি উপলক্ষে হাসপাতাল চত্বরে আলোকসজ্জা করেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। ১৬ ডিসেম্বর সকালে ডাঃ আবু রায়হানের নেতৃত্বে বহির্বিভাগে বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা প্রদান করে হাসপাতালটি।
বিডি হেলথ এক্সপ্রেস এর সাথে এক স্বাক্ষাতকারে, ডাঃ আবু রায়হান বলেন, স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি ও হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে ১৬ই ডিসেম্বর এই দেশে উদিত হয়েছিল নতুন এক সূর্য। পশ্চিম পাকিস্তানীদের শোষন- নিপীড়নের হাত থেকে মুক্ত করে বাঙালি জাতিকে স্বাধীনতা এনে দিয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু। ১৯৭০ সালের নির্বাচনে জনগণের রায়ের প্রতি শ্রদ্ধা না দেখিয়ে পাকিস্তানিরা ষড়যন্ত্রের আশ্রয় নেয় এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে নিরঙ্কুশ বিজয় লাভকারী আওয়ামী লীগের হাতে ক্ষমতা তুলে দিতে টালবাহানা শুরু করে। একাত্তরের ৭ই মার্চ বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ভাষণের ফলে মুক্তিকামী মানুষ মুক্তিযুদ্ধে ঝাপিয়ে পড়ে।
ডাঃ রায়হান বলেন, বঙ্গবন্ধু আমাদের স্বাধীন বাংলাদেশ উপহার দিয়েছেন। আর তাঁর সুযোগ্য কণ্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ার স্বপ্ন বাস্তবায়নে নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। তবে স্বাধীনতা বিরোধী চক্র দেশকে অস্থিতিশীল করার অপপ্রয়াসে বারবার লিপ্ত হচ্ছে। ৭১-এ বাঙালি জাতি বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে পাক হানাদার বাহীনিকে পরাজিত করেছিলো। আর ২০২০ সালে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা করোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে সফলতার পথে। কিন্তু কিছু কুচক্রী মহল এদেশের উন্নয়নের অগ্রযাত্রাকে আটকে দিতে ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে। স্বাধীনতা বিরোধী এই কুচক্রী মহলকে ধিক্কার জানাই।
উল্লেখ্য মুজিববর্ষ উপলক্ষে শ্যামলীর এই বক্ষব্যাধী হাসপাতালটিতে ওয়ান স্টপ ইমারজেন্সি সার্ভিস চালু করা হয়েছে। করোনা ভাইরাস আক্রান্ত রোগীদের সেবায় বিশেষ কোভিড ইউনিট চালু করে সীমিত জনবল নিয়ে সফলতার সাথে চিকিৎসা সেবা দিয়ে যাচ্ছে হাসপাতালটি। জানা যায়, জরাজীর্ণ অবস্থায় থাকা এই হাসপাতালটিতে ২০১৮ সালে পরিচালক হিসেবে নিযুক্ত করা হয় বক্ষব্যাধী বিশেষজ্ঞ ডাঃ আবু রায়হানকে। আর তাঁর অক্লান্ত প্রচেষ্টায় বর্তমানে হাসপাতালটি একটি ঝকঝকে-তকতকে বিশেষায়িত বক্ষব্যাধী হাসপাতাল হিসেবে রুপলাভ করেছে।