২৪শে মার্চ বিশ্ব যক্ষা দিবস। এবছরের স্লোগান “মুজিব বর্ষের অঙ্গীকার – যক্ষামুক্ত বাংলাদেশ গড়ার।”
যক্ষা ও কোভিড দুটোই সংক্রামক রোগ এবং প্রাথমিকভাবে দুটি রোগই ফুসফুসকে আক্রান্ত করে। দুটি রোগই বায়ুবাহিত এবং উপসর্গ একই। এতে জ্বর, কাশি ও শ্বাসকষ্ট হয়। দুটি রোগ একই ভাবে ছড়ায়- হাচি-কাশির মাধ্যমে।
টিউবারকিউলোসিস কোভিড এর জন্য একটি কোমরবিড। অন্যদিকে যক্ষা রোগের জন্যে অনেক রোগ কোমরবিড হিসেবে কাজ করে। কোভিড-১৯ রোগীর যক্ষা রোগে মৃত্যুর ঝুঁকি বাড়িয়ে তোলে। আমরা যক্ষায় ৬ষ্ঠ বাডে’ন দেশ। আমাদের কেস ডিটেকশন এর সফলতা ৯৬% এবং চিকিৎসার ক্ষেত্রে ৭০% এর উপরে। সাফল্য ধরে রাখতে হলে আমাদের আরো বেশী লক্ষ্য রাখা দরকার এ দুটি রোগের দিকে।
যক্ষা রোগী কোভিড আক্রন্ত হতে পারে আবার কোভিড রোগিও যক্ষা আক্রান্ত হতে পারে। ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট টিবি হাসপাতাল, শ্যামলী, ঢাকায় আমরা ২% থেকে ৩% যক্ষা রোগী কোভিড পজিটিভ পেয়েছি। কোভিড রোগীর যক্ষা পজিটিভ এর সংখ্যা ১% এর নিচে। প্রতিটি যক্ষা পজিটিভ রোগী যাদের চিকিৎসা চলছে এবং নুতন করে আক্রান্তদেরও করোনা পরিক্ষা করা দরকার। প্রতিটি করোনা রোগীর যক্ষার পরীক্ষা করা যেতে পারে। এটি সহজ প্রক্রিয়া। তবে সকল পজিটিভ টিবি রোগীর করোনা পরীক্ষা করাটা কঠিন হলেও সেটা করা জরুরি।
(লেখক: ডা: মো: আবু রায়হান, উপ-পরিচালক, ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট টিবি হাসপাতাল, শ্যামলী, ঢাকা)