ফাইজারের টিকাদান শুরু আগামী সপ্তাহে

শিশির রহমান
স্টাফ রিপোর্টার

আগামী সপ্তাহ থেকে ফাইজারের টিকাদান শুরু করা হবে। বুধবার (২ জুন) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এক সংবাদ বুলেটিনে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মুখপাত্র অধ্যাপক ডা. নাজমুল ইসলাম বলেন, “আগে থেকেই যারা টিকার জন্য নিবন্ধন করেছেন তাদেরকে এই টিকা দেওয়া হবে।”

এ নিয়ে দেশে এটি তৃতীয় কোম্পানির টিকা আসলো। সোমবার রাতে কোভ্যাক্স থেকে ফাইজার-বায়োএনটেকের ১ লাখ ৬২০ ডোজ টিকা ঢাকায় এসে পৌঁছায়।

এর আগে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রোজেনকার কোভিশিল্ড এবং চীনের সিনোফার্মের টিকা দেশে প্রয়োগ শুরু হয়েছে।

ডা. নাজমুল জানান, অতি শীতল তাপমাত্রায় রাখা হয় বলে ফাইজারের টিকা দেওয়ার আগে ‘সক্রিয় টিকায়’ রূপান্তর করতে ডাইলুয়েটের প্রয়োজন হয়।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাও গত বছরের ৩১ ডিসেম্বর তাদের জরুরি ব্যবহার্য টিকার তালিকায় ফাইজারের ভ্যাকসিনকে অন্তর্ভুক্ত করে।

অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার কোভিশিল্ড বা সিনোফার্মের তৈরি টিকার মতোই ফাইজার-বায়োএনটেকের টিকাও নিতে হবে দুই ডোজ করে। প্রথম ডোজ দেওয়ার ৩ থেকে ৪ সপ্তাহ পর দিতে হবে দ্বিতীয় ডোজ।

পরীক্ষামূলক প্রয়োগে তুলনামূলকভাবে বেশি কার্যকারিতা দেখালেও ফাইজারের টিকা সংরক্ষণ ও সরবরাহের কাজটি কোভিশিল্ডের মত এতটা সহজ নয়।

কোভিশিল্ড যেখানে সাধারণ রেফ্রিজারেটরে ২ থেকে ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় সংরক্ষণ করা সম্ভব, সেখানে ফাইজারের টিকা মাইনাস ৯০ ডিগ্রি থেকে মাইনাস ৬০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে সংরক্ষণ করতে হবে।

যদিও ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর জানিয়েছে, এই টিকা ২ ডিগ্রি থেকে ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় ৫ দিন রাখা যাবে।

রেফ্রিজারেটরের বাইরে ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় এ টিকা মাত্র দুই ঘণ্টা ভালো থাকবে বলেও জানিয়েছেন ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here