দেশের প্রথম সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতালের উদ্বোধন ১৭ ই মার্চ

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সুপার স্পেশালাইজ হাসপাতালের
কর্মক্ষম পরিকল্পনা বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত
নন প্রাকটিচিং ও গবেষণার উপর গুরুত্বারোপ
১৭ মার্চ উদ্বোধনের পরিকল্পনা
দেশের রোগীদের যাতে বিদেশে যেতে না হয় সে লক্ষ্য বিবেচনায় নিয়েই
এগিয়ে চলছে দেশের প্রথম সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতালের
কার্যক্রম: মাননীয় উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মোঃ শারফুদ্দিন আহমেদ

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সুপার স্পেশালাইজ হাসপাতালের কর্মক্ষম পরিকল্পনা (অপারেশন প্ল্যান) বিষয়ে এক গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা সভা আজ মঙ্গলবার ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২২ইং তারিখে শহীদ ডা. মিল্টন হলে অনুষ্ঠিত হয়েছে। উক্ত সভায় নন প্রাকটিচিং চিকিৎসকদের নিয়োগ প্রদান ও স্বাস্থ্য বিষয়ক গবেষণার উপর গুরুত্বারোপ করা হয়। সভায় মাননীয় উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মোঃ শারফুদ্দিন আহমেদ জানান, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পবিত্র জন্ম দিবস ১৭ মার্চ ২০২২ইং তারিখে দেশের প্রথম সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতাল উদ্বোধনের পরিকল্পনা রয়েছে। দেশের রোগীদের যাতে চিকিৎসার জন্য বিদেশে যেতে না হয় সে লক্ষ্য বিবেচনায় নিয়েই এগিয়ে চলছে নির্মাণাধীন এই হাসপাতালের কার্যক্রম।
হাসপাতালের সাথে সংশ্লিষ্টরা জানান, সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতালের স্ট্রাকচারাল কার্যক্রম ১০০ শতাংশ, আর্কিটেকচারাল ও সিভিল ওয়ার্ক ৯৩ শতাংশ, মেকানিক্যাল ও ইলেকট্রিক্যাল কার্যক্রমও ৯৩ শতাংশ এবং হসপিটাল ইনফরমেশন সিস্টেম (এইচআইএস) সহ প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি সংগ্রহের কার্যক্রম অনেকটাই সম্পন্ন হয়েছে। তারা জানান, এই হাসপাতাল হবে সেন্টার বেইজসড হাসপাতাল, পেশেন্ট ম্যানেজমেন্টের আলাদা ব্যবস্থা থাকবে, হাসপাতালটি হবে বিশ্বমানের। হাসপাতালটিতে থাকবে বিভিন্ন বিভাগ, ডিসিপ্লিন নিয়ে কমপক্ষে বিশ্বমানের পাঁচটি সেন্টার। থাকবে ১০০ শয্যার আইসিইউ, অত্যাধুনিক অপারেশন থিয়েটার, পৌনে ১ শত কেবিন ইত্যাদি।

আলোচনা সভায় দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনার সাথে সংশ্লিষ্ট নীতি নির্ধারণী পর্যায়ের বিশিষ্টজনেরা অংশগ্রহণ করে তাদের মূল্যবান মতামত প্রদান করেন। বিশ্বমানের এই হাসপাতালের ম্যানেজমেন্টের জন্য যথাযথ প্রশাসনিক ব্যবস্থা, মৌলিক গবেষণার সুযোগ রাখা, গবেষণার জন্য আলাদা সেন্টার রাখা, রোগীদের সুবিধার্থে নতুন সংযোজন যেমন বোনম্যারো ট্রান্সপ্ল্যান্টেশন, জিন থেরাপি চালু, আনন্দদায়ক পরিবেশ নিশ্চিত করা, বিশ্বমানের প্রশিক্ষণ নিশ্চিত করা, নন প্রাকটিচিং চিকিৎসকদের নিয়োগ, রোগীদের চাপ নিয়ন্ত্রণে আগেভাগেই সঠিক পরিকল্পনা ও ব্যবস্থা গ্রহণ, সাশ্রয়ীমূল্যে চিকিৎসাসেবা গ্রহণের সুযোগ রাখা, সর্বক্ষেত্রে গুণগতমান বজায় রাখা এবং হাসপাতালে উন্নত পরিবেশ নিশ্চিত করাসহ দেশের প্রথম অনুসরণীয় বিশ্বমানের মডেল হাসপাতাল হিসেবে গড়ে তোলার জন্য বিভিন্ন প্রস্তাবনা দেন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here