Home Blog

বিএনএ এর সকল জেলা ও শাখা কমিটির সাংগঠনিক কার্যক্রম স্থগিত

বাংলাদেশ নার্সেস এসোসিয়েশন (বিএনএ) কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী পরিষদ নির্বাচন-২০২৫ উপলক্ষে সকল জেলা কমিটি ও শাখা কমিটির সাংগঠনিক কার্যক্রম স্থগিত করেছেন সংগঠনটির মহাসচিব মোঃ জামাল উদ্দীন (বাদশা)। গত ১১/০৫/২০২৫ ইং তারিখের এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ বিষয়ে জানানো হয়। সকল জেলা ও শাখা কমিটির কার্যক্রম স্থগিত করে নির্বাচন কালীন সময়ে সাংগঠনিক পরিচয় ও পদ ব্যবহার না করে নির্বাচন কমিশন কে সহযোগীতা করার জন্য বলা হয়েছে। এই আদেশ নির্বাচন কমিশন কর্তৃক প্রার্থীর খসড়া তালিকা প্রকাশের তারিখ থেকে কার্যকর হবে এবং পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত কার্যকর থাকিবে।

কানাডার স্বাস্থ্য মন্ত্রী হলেন একজন নার্স

ডেস্ক রিপোর্ট: কানাডার স্বাস্থ্য মন্ত্রী বানানো হলো সেদেশের রাজনীতিবিদ কমল খেরাকে। কমল খেরা পেশায় একজন রেজিস্টার্ড নার্স। রাজনীতিতে প্রবেশের আগে, খেরা ইয়র্ক বিশ্ববিদ্যালয়ে থেকে নার্সিংয়ে অনার্স স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন। পরবর্তীতে তিনি টরন্টোর সেন্ট জোসেফস হেলথ সেন্টারে প্যালিয়েটিভ এবং অনকোলজি ইউনিটে একজন রেজিস্টার্ড নার্স হিসেবে কাজ করেন। 

কোভিড-১৯ মহামারীতে, তিনি তার নিজের শহর ব্রাম্পটনের একটি হসপিটালে স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে কাজ করেছিলেন এবং টিকা দিয়েছিলেন।কমল খেরা কানাডার নতুন স্বাস্থ্যমন্ত্রী হিসেবে যোগদান করায় অভিনন্দন জানিয়েছে বিশ্বব্যাপী নার্সিং সংগঠনগুলো।

টাংগাইল নার্সেস ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন এর পূর্নাঙ্গ কমিটি প্রকাশ।

গত, ২৫/১০/২০২৪ ইং রোজ: শুক্রবার ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল বার্ন ইউনিটের কনফারেন্স কক্ষে (তৃতীয় তলায়) টাংগাইল নার্সেস ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন এর পূর্নাঙ্গ কমিটি গঠন করা হয়েছে। উক্ত কমিটিতে সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন মো: ফারুক হোসাইন, মহাসচিব- মিশর হোসেন এবং সাংগঠনিক সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন মো: আব্দুল লতিফ।

সংগঠনের প্রধান পৃষ্ঠপোষক জনাব অধ্যাপক ডা: শাহ আলাম তালুকদার এবং আইন উপদেষ্টা (অবৈতনিক) ব্যারিস্টার সাদরুল আলম তালুকদার নির্বাচিত হয়েছেন।
সংগঠনের সভাপতি জনাব মো: ফারুক হোসাইন নির্বাচিত সকল কে শুভেচ্ছা ও ধন্যবাদ জ্ঞাপন করে সকলের সহযোগিতায় টাংগাইল নার্সেস ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনকে মানবতার সেবায় সকলের ভরসার সংগঠন হিসাবে গড়ে তোলার প্রত্যাশা ব্যাক্ত করেন।

উক্ত অনুষ্ঠানে টাংগাইল নার্সেস ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সকল সদস্য, উপদেষ্টা কমিটির অন্যান্য সদস্য, বিভিন্ন আঞ্চলিক নার্সেস সংগঠনের নেতৃবৃন্দ সহ অন্যান্য পেশাজীবি সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

বন্যার্তদের পাশে, টাঙ্গাইল নার্সেস ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশন।

সাম্প্রতিক কালে ময়মনসিংহ বিভাগের হালুয়াঘাট এলাকায় বন্যায় কবলিত ৭০০ পরিবারের পাশে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন টাঙ্গাইল নার্সেস ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশন, উক্ত কর্মসূচির শুভ উদ্বোধন ঘোষণা করেন, টাঙ্গাইল নার্সেস ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশন এর সম্মানিত প্রধান পৃষ্ঠপোষক, অধ্যাপক ডাঃ শাহ আলম তালুকদার।

অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন, সংগঠনের প্রধান উপদেষ্টা জনাব আব্দুল হামিদ, প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি জনাব মোঃ মাইন উদ্দিন, মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম(প্রতিষ্ঠাতা মহাসচিব),আরো উপস্থিত ছিলেন জনাব মোঃ রহিজ উদ্দিন(উপদেষ্টা),জনাব মোঃ কবির হোসেন(উপদেষ্টা) উক্ত কর্মসূচিতে আরো উপস্থিত ছিলেন অধ্যাপক শাহ আলম তালুকদারের একমাত্র পুত্র ব্যারিস্টার সাদরুল আলম তালুকদার।

আরো উপস্থিত ছিলেন টাঙ্গাইল নার্সেস ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশন এর সভাপতি জনাব, ফারুক হোসাইন, মোঃ মিশর হোসেন (মহাসচিব) সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব মোঃকাউসার হাসান খান (সম্রাট) নাঈম ইসলাম( সহ-সভাপতি) মোঃ নুরুল ইসলাম(সহ-সভাপতি)
মোঃআব্দুল লতিফ(সাংগঠনিক সম্পাদক),মোঃমামুন হাসান (প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক) সহ টাঙ্গাইল নার্সেস ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশন আরো নেতৃবৃন্দ।

আগামী ৩ কর্মদিবসে ১ দফা দাবি মানা না হলে কর্মবিরতিতে যাবেন নার্স ও মিডওয়াইফরা

রিপোর্টার: নার্সিং ও মিডওয়াইফারি অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ও পরিচালক এবং নার্সিং ও মিডওয়াইফারি কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট ও রেজিস্ট্রার পদ হতে অবিলম্বে প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তাদের সরিয়ে যোগ্য নার্সদের পদায়নের দাবি জানিয়েছে নার্সিং ও মিডওয়াইফারি সংস্কার পরিষদ। সোমবার (২৪ সেপ্টেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনটির পক্ষ থেকে জানানো হয় যে, আগামী ৩ কর্মদিবসের মধ্যে সরকার নার্স ও মিডওয়াইফদের এক দফা দাবি মেনে না নিলে সর্বাত্মক কর্মবিরতিতে যাবেন সারাদেশের নার্স ও মিডওয়াইফগণ।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে সংগঠনটির প্রধান আহবায়ক ড. শরীফুল ইসলাম জানান, নার্সিং ও মিডওয়াইফারি সম্পুর্ণরুপে টেকনিক্যাল পেশা এবং এই পেশাজীবিরা স্বাস্থ্য সেবার অন্যতম প্রধান অংশ। সারা বিশ্বে নার্সিং সেক্টরের প্রশাসন ও পেশাজীবি কাউন্সিলের কার্যক্রম নার্সরাই পরিচালনা করেন, অথচ বাংলাদেশে ভিন্ন পেশার প্রশাসন ক্যাডারগণ নার্সিং প্রশাসন পরিচালনা করছেন যা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়৷ তিনি আরো বলেন প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তাদের নার্সিং সম্পর্কে প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা না থাকায় তারা নার্সিং সেবা ও শিক্ষার মান উন্নয়ন ও মান নিয়ন্ত্রণ করতে পারছেন না। ফলশ্রুতিতে দেশে নার্সিং সার্ভিস ও শিক্ষার মান নিম্নগামী। তিনি উল্লেখ করেন নার্সদের দাবীতে অধিদপ্তর প্রতিষ্ঠিত হলেও সেই অধিদপ্তরে প্রশাসন ক্যাডারদের দ্বারা তুচ্ছতাচ্ছিল্য, অবজ্ঞা ও কটুক্তির স্বীকার নার্সরা। পদোন্নতি যোগ্য হওয়ার পরেও নার্সদের যথাসময়ে পদোন্নতি প্রদান না করে তাদের সাথে বহুদিনধরে বৈষম্য করা হচ্ছে। তাই প্রশাসন ক্যাডারদের হঠিয়ে অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, পরিচালক, কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট ও রেজিস্ট্রার পদে নার্সদের পদায়নের দাবিতে নার্সরা ছাড় দেবেনা।
সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা জানান অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক মাকসুরা নূর (অতিরিক্ত সচিব) গত ৮ সেপ্টেম্বর বদলী প্রার্থী নার্সদের তিরস্কার করেন ও নার্সিং পেশা নিয়ে কটুক্তি করেন। এর প্রেক্ষিতে সারা দেশের নার্স ও মিডওয়াইফরা ক্ষোভে ফেটে পড়েন এবং সকল স্তরের নার্স ও মিডওয়াইফদের সমন্বয়ে সংস্কার পরিষদ গঠন করার মাধ্যমে তারা ১৬ দিন ধরে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন। নার্সদের আন্দোলনের প্রেক্ষিতে ইতোমধ্যে মহাপরিচালক মাকসুরা নূরকে ওএসডি ও কাউন্সিলের রেজিস্ট্রার পদে একজন অবসরপ্রাপ্ত নার্সকে পদায়ন করেছে সরকার। নার্সিং ও মিডওয়াইফারি সংস্কার পরিষদের পক্ষ থেকে সরকারকে নার্স ও মিডওয়াইফদের ১ দফা দাবি সম্পূর্ণরুপে বাস্তবায়নের অনুরোধ জানানো হয়।

সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনটির মহাসচিব ড. মো: নুরুল আনোয়ার, নার্সিং শিক্ষার্থী এবি শক্তি ও সুদিপ্ত ভৌমিক এবং মিডওয়াইফারি শিক্ষার্থী সানজিদা সুলতানা পানসি। এছাড়া, বিশিষ্ট নার্সিং পেশাজীবি অধ্যাপক ড. মফিজ উল্লাহ, রহিমা জামাল, নিয়ানারের পরিচালক তাছলিমা বেগম প্রমুখ সংবাদ সম্মেলনে অংশগ্রহণ করেন।

রমজানে হাটু ও কোমর ব্যাথা রোগীর করণীয়

রমজান মাস বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ মাস। এ সময় আমাদের সারা বছরের রুটিনের পরিবর্তন হয়। স্বাভাবিক মাসে যে খাওয়া দাওয়া করি তা সম্পূর্ণ ব্যতিক্রম হয়ে এই মাসে। সারা দিন আহার থেকে বিরত থাকার পর আমরা সন্ধ্যার পর থেকে আহার গ্রহণ করে থাকি। আমাদের কাছে হাটু ও কোমর ব্যথার রোগীরা যারা আসেন তারা বয়সী হয়ে থাকেন।

মূলত ৪০ পরবর্তী বয়সী রোগীরা আমাদের কাছে এসে থাকেন। নামায বা বসে কোরআন শরীফ পড়তে এবং অন্যান্য ধর্মীয় কাজগুলো করতে সাধারণত হাটু ও কোমর ব্যবহার হয়।

এই সময়ে আমরা হাটুর ব্যথা লাঘবের জন্য ইনজেকশন দিয়ে থাকি আর কোমর ব্যথা লাঘবের জন্য আমরা রোগীদের ফিজিও থেরাপি বা ব্যায়াম করতে বলে থাকি। তবে ইনজেকশন দেওয়ার ক্ষেত্রে আমার খুবই সিলেকটিভ। তবে হাটু ও কোমর ব্যথার জন্য নিয়মতি ব্যমের যে অভ্যাস থাকে তাও চালিয়ে নিতে হবে। এটা নির্ভর করে রোগীর বয়সের ওপর। ৩৫ বছরের নীচের যে রোগীরা এ সব কষ্টে থাকেন তাদের জন্য এ ব্যথা উত্তরণ করা বেশ সহজ হয়ে থাকে।

কাকে ইনজেকশন দিবেন বা কাকে দিবেন না তা ডাক্তারের সচেতনতায় থাকতে হবে। যে কোন রোগী আসলেই আমরা তাদেরকে ইনজেকশনের জন্য সিলেক্ট করি না। গুরুতর সমস্যায় যারা আছেন তাদের জন্যই আমরা এ ইনজেকশন ব্যবহার করে থাকি। এগুলো করে থাকি যেন রোজার মাসে রোগী তার ধর্মীয় কাজটা খুব ভালোভাবে করতে পারেন। এই কাজটা আমার হজ বা ওমরার সময়ও করে থাকি। রোগী অনেক সময়ে কষ্টের মধ্যে নামায পড়ে তাতে নামাযে তার মনোযোগ থাকে না বিধায় ইনজেকশন দিয়ে থাকি।

হাটু ও কোমর ব্যথা বয়সের কারণেই বেশি হয়ে থাকে। যে ব্যথা আঘাতের কারণে হয় তা উত্তরণে বিভিন্ন ফেরাপী দেওয়া যেতে পারে তবে বার্ধাক্যজনিত হলে তা থেকে পরিত্রান পাওয়া না গেলেও নিয়ন্ত্রনে রাখা যেতে পারে। রোজার মাসে সব থেকে বেশি বিষয় হলো সচেতনা। আমরা কখনও বলি না যে, আপনি মেঝেতে বসে বসে বা চেয়ারে বসে নামায পড়ুন। যে রোগীরা একদমই দাঁড়িয়ে নামায পড়তে পারেন না তাদের জন্য ভিন্ন কথা কিন্তু যাদের সমস্যা উত্তরণ করা সম্ভব হবে তাদের জন্য তো একদমই না। এ সময় আমরা তাদেরকে অভ্যাস করতে বলি। হাটু ও কোমর ব্যথা অনেকার্থে নড়াচড়ার পর কমে যায়।

হাটু ও কোমর ব্যথার রোগীরা অনেক সময় এসে ব্যথানাশক ওষুধ দাবি করেন। আমরা রোজার মাসকে খুবই গুরুত্ব দেই। তবে কোন অবস্থাতেই ব্যথানাশক ওষুধ প্রয়োগ করা যাবে না। এ সময় আমাদের করণীয় হলো, আমরা অন্যান্য পদ্ধতি প্রয়োগ করি। রোজার মাসে আমরা যে ইফতার খেয়ে থাকি তার সব কিছুতে ইউরিক এসিড থাকে। ইউরিক এসিড হচ্ছে অক্সিজেন, নাইট্রোজেন এবং কার্বনের হেটারোসাইক্লিক যৌগিক পদার্থ। ইউরিক এসিডের ফলে অনেক সমস্যা দেখা দিতে পারে। এর জন্য কঠোর ডায়েট করতে হবে। ওষুধ খেলে এ ইউরিক এসিডের পরিমান কমানো গেলেও ডায়েট না করলে এর মাত্রা আবারও যে কোনো সময় বেড়ে যেতে পারে।

ইউরিক এসিডের যাদের সমস্যা থাকে এবং যারা সাধারণত ইস্থুলকার তাদের জন্য এটি ক্ষতিকর। ইউরিক এসিডের ফলে যে রোগ হয়ে থাকে তাকে কাউড বলে। অতিভোজন যারা করে থাকেন তাদের এ রোগ হয়ে থাকে। এটা বেশ ক্ষতিকর। এতে বিষ ঢেলে দেওয়ার মতো ব্যথা হয়। ইফতারে সব কিছু বাদ দিয়ে আমার দুধ জাতীয় খাবার খেতে পারি, হালকা ফল খেতে পারি, চিড়া খেতে পারি। তবে কোন প্রকার কোমল পানীয় পান করা থেকে বিরত থাকতে হবে।

এ মাসটা বেশ সংকটাপূর্ণ এক মাস। ঈদকে কেন্দ্র করে এ সময় মানুষ সারা দেশে বিভিন্ন প্রান্তে ছোটেন ঈদ কাটাতে। এ সময় হাটু ও কোমর ব্যথা বেশ বেড়ে যেতে পারে। এ সময় দুর্ঘটনার কারণে হাটু ও কোমর ব্যথার রোগী বেশি এসে থাকেন। তবে সাধারণ হাটু বা কোমর ব্যথার রোগী যে মোটেও আসেন না তা কিন্তু নয়। এ সময় হাড় ভাঙ্গা রোগীর আধিক্য থাকে। এ মাসে যে শুধু দুর্ঘটনার জন্য রোগী আসে তা নয় এ সময় ডায়াবেটিক রোগীসহ অন্যান্য রোগীরাও বেশ কষ্টে ভোগেন।”

অধ্যাপক ডা. পারভেজ আহসান

আন্তর্জাতিক নার্স দিবস ২০২৩ এর প্রতিপাদ্যঃ আমাদের নার্স; আমাদের ভবিষ্যৎ

ইন্টারন্যাশনাল ডেস্কঃ

ইন্টারন্যাশনাল কাউন্সিল অব নার্সেস (আইসিএন) আন্তর্জাতিক নার্স দিবস ২০২৩ এর প্রতিপাদ্য ঘোষণা করেছে। এবছর নার্স দিবসের প্রতিপাদ্য আমাদের নার্স; আমাদের ভবিষ্যৎ (Our Nurses. Our Future)

এ বিষয়ে আইসিএন প্রেসিডেন্ট ডঃ পামেলা সিপ্রিয়ানো বলেছেন, বিশ্বব্যাপী স্বাস্থ্য চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা এবং বৈশ্বিক স্বাস্থ্য ব্যবস্থার ভবিষ্যৎ উন্নতি জন্য নার্স দরকার। মহামারী আমাদের শিখিয়েছে স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় নার্সগণ কতটা সম্মানিত ও মূল্যবান কর্মী। ডঃ পামেলা আরো বলেন যে, আইসিএন বিশ্বাস করে যে, স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় নার্সগণ শুধুমাত্র সম্মুখসারীর সেবা প্রদানকারীই নয় বরং স্বাস্থ্য ব্যবস্থার পরিবর্তন ও উন্নয়নের সম্মুখসারীর পেশাজীবী।

এবছর ১২ মে বিশ্বব্যাপী নার্সগণ এসডিজি, ইউনিভার্সেল হেলথ কাভারেজ ও হেলথ ফর অল নিশ্চিতকরণের অঙ্গিকার নিয়ে বিশ্ব নার্স দিবস উদযাপন করবে বলে আইসিএন এর পক্ষ থেকে জানানো হয়।

নার্সিং ও মিডওয়াইফারি কাউন্সিলের প্রবেশ পত্রে কেন্দ্রের নাম ভুল- নেটিজেনদের ক্ষোভ প্রকাশ।

আসন্ন কম্প্রিহেন্সিভ পরীক্ষার জন্য মুদ্রিত প্রবেশ পত্রে  কেন্দ্রের নাম ভুল আসায় জটিলতায় পড়েছে হাজারো শিক্ষার্থী। দায়িত্বশীল এমন একটি প্রতিষ্ঠানের খাম-খেয়ালীপনায় নেটিজেনদের মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা যাচ্ছে। অনেকে ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেছেন অযোগ্য লোকদের দ্বারা এরকম একটা প্রতিষ্ঠান কখনোই ভাল কিছু দিতে পারবে না জাতিকে। সূত্র জানায় রেজিস্ট্রার পদটি দীর্ঘদিন ধরে শুন্য থাকায় সেখানে ডেপুটি রেজিস্ট্রার অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করে আসছেন।

বাংলাদেশ নার্সিং ও মিডওয়াইফারি কাউন্সিলের অধীনে ৩১ মার্চ ২০২৩ খ্রিঃ অনুষ্ঠিতব্য কম্প্রিহেনসিভ লাইসেন্সিং পরীক্ষার বিএসসি ইন নার্সিং কোর্সের কিছু সংখ্যক শিক্ষার্থীর প্রবেশপত্রে মূদ্রণ জনিত ত্রুটির কারণে হাবিবুল্লাহ বাহার বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ আসন প্রিন্ট হয়েছে, আসন বিন্যাস অনুযায়ী সিদ্ধেসরি গার্লস কলেজ হবে। প্রবেশপত্র আসন বিন্যাস যাচাই করে দেখার জন্য বিএসসি ইন নার্সিং কোর্সের প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষ বা শিক্ষার্থীদের অনুরোধ করা হয়েছে বিএনএমসি’ র পক্ষ থেকে ।

কাউন্সিলের পক্ষ থেকে আজ এক নোটিশের মাধ্যমে এ তথ্য জানানো হয়।

যদি কোন শিক্ষার্থীর প্রবেশপত্রে আসন হাবিবুল্লাহ বাহার বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ প্রিন্ট হয়ে থাকে অতিসত্তর বিএনএমসিতে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে।

তদন্ত কর্মকর্তার সাথে প্রমোদ ভ্রমণে অভিযুক্ত ওয়ার্ডবয়

 

অনুসন্ধানী প্রতিবেদক
প্রকাশঃ ১৬.০০ ২৯ মার্চ ২০২৩ 
মোহাম্মদ আলী হাসপাতাল, বগুড়ার  এক নার্স গত বছর ওয়ার্ড মাস্টারের দায়িত্বে থাকা ওয়ার্ড বয়ের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানীর অভিযোগ করেছিলেন। পাঁচ দিনের মধ্যে সেই অভিযোগের তদন্তের কথা ছিল। এরপর কেটে গেছে ১১২ দিন। তদন্তের নামগন্ধও আর দেখা যায়নি। বরং অভিযুক্ত ব্যাক্তিকে নিয়ে প্রমোদ ভ্রমণে গিয়েছিলেন তদন্ত কর্মকর্তা হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. শফিক আমিন কাজল। হয়রানির প্রতিবাদের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেয়ার অপরাধে উল্টো শোকজ পেতে হয়েছে সেই নার্সকে। আর বহাল তবিয়তে ঘুরে বেড়াচ্ছে অভিযুক্ত সেই ওয়ার্ড মাস্টার।

https://fb.watch/jzNDEWy0GK/

সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া নার্স এর সাক্ষাতকার এর লিংক

অভিযুক্ত ওয়ার্ড মাস্টারের নাম শহিদুল ইসলাম সুইট। তিনি বগুড়া শহরের ফুলবাড়ি এলাকার বাসিন্দা। তার বিরুদ্ধে যৌন হয়রানীর এই অভিযোগ করা হয় ২০২২ সালের ১০ ডিসেম্বর। অভিযোগটি গ্রহণ করেন মোহাম্মদ আলী হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. নুরুজ্জামান সঞ্চয়। তিনি ১২ ডিসেম্বরে ৫ কার্যদিবসের মধ্যে কারণ দর্শানো নোটিশ দেন সুইটকে। আর ১৪ ডিসেম্বর পাঁচ সদস্য নিয়ে একটি বোর্ড গঠন করে দেন হাসপাতাল তত্ত্বাবধায়ক।

এই বোর্ড সদস্যরা হলেন, হাসপাতালের সিনিয়র কনসালটেন্ট রফিকুল ইসলাম, আবাসিক মেডিক্যাল কর্মকর্তা (আরএমও) শফিক আমিন কাজল, আবাসিক মেডিক্যাল কর্মকর্তা (আরএমও) একেএম খায়রুল বাসার, সেবা তত্ত্বাবধায়ক মোছা. আফরোজা আখতার, প্রশাসনিক কর্মকর্তা একরাম হোসেন।

অভিযোগপত্রে বলা হয়, ‘ওয়ার্ডমাস্টার শহিদুল ইসলাম সুইট ওই নার্সের ব্যক্তিগত বিষয় নিয়ে বাজে মন্তব্য করেন। তিনি ওই নার্সকে বলে-হাজি সেজেছে, সারাজীবন খারাপ কাজ করে এখন হাতে মুজা, পায়ে মুজা পরে মানুষকে দেখায়। এখনই খারাপ কাজের প্রস্তাব দিলে কাপড় খুলে আবার খারাপ কাজ করবে।.. ’

বিষয়টি ওই নার্স তার স্বামীর সঙ্গে শেয়ার করেন। বিষয়টি নিয়ে শহিদুল ইসলামের সঙ্গে আলাপ করেন নার্সের স্বামী। এ ঘটনার পরেরদিন অফিস চলাকালীন অবস্থায় শহিদুল ইসলাম এসে নার্সকে গালি গালাজ করে। এমনকি মারধরের চেষ্টাও করেন শহিদুল।

তবে চাঞ্চল্যের বিষয়, অভিযোগ যাচাই-বাছাইয়ে বোর্ড গঠনের তিন মাস পার হলেও কোনো তদন্তই হয়নি। এটা নিয়ে একাধিকবার হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করে সুরাহা পাননি অভিযোগকারী নার্স। এর মধ্যে চলতি ২৪ মার্চ একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এতে শহিদুল ইসলামের যৌন হয়রানির প্রতিবাদ করে বক্তব্য দেন ওই নার্স।

এর পরিপ্রেক্ষিতে ২৫ মার্চ এই নার্সের বিরুদ্ধে একটি কারণ দর্শানোর নোটিশ জারি করেন তত্ত্বাবধায়ক ডা. নুরুজ্জামান সঞ্চয়। এতে উল্লেখ করা হয়, আপনার অভিযোগের তদন্তাধীন বিষয়ে কর্তৃপক্ষের বিনা অনুমতিতে সোশ্যাল

মিডিয়ায় অবহিত করেছেন। এবং উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে বিষোদগার করেছেন, মিথ্যা ও ভিত্তিহীন অভিযোগ করেছেন যা সরকারি চাকরিবিধি ২০১৮ সালের পরিপন্থী ও শাস্তিযোগ্য অপরাধ।

হাসপাতাল প্রশাসন এ নোটিশে পাঁচ কার্য দিবসের মধ্যে কারণ জানতে চান ওই নার্সের কাছে থেকে। কিন্তু যে অভিযোগের ভিডিও প্রচারের জন্য তাকে নোটিশ করা হয়, অজ্ঞাত কারণে সেটির অগ্রগতি নিয়ে কোনো উচ্চবাচ্য নেই হাসপাতালে।

হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলছে, সময়ের অভাবে তারা তদন্ত কার্য শুরু করতে পারেননি। আর পরবর্তীতে ওই ভিডিও দেয়ার কারণে কেউ তদন্ত করতে চাচ্ছেন না।

এসব কথা জানান মোহাম্মদ আলী হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক নুরুজ্জামান সঞ্চয়। তিনি বলেন, নার্সের করা যৌন হয়রানির অভিযোগটি তদন্তে কমিটি গঠন করা হয়েছিল। কিন্তু কমিটি সময়ের অভাবে তদন্ত কাজ আগায়নি। এর মধ্যে ওই নার্সের একটা ভিডিও প্রচার হওয়ায় তদন্ত কর্মকর্তারা কমিটিতে থাকতে চাচ্ছেন না। তারা নাম প্রত্যাহার করে নিতে চাচ্ছেন।

এরই মধ্যে চলতি মাসে শহিদুল ইসলাম কক্সবাজার, বান্দরবানে বেড়াতে যান। ভ্রমণে তার সঙ্গী ছিলেন তদন্ত কমিটির এক সদস্য ডা. শফিক আমিন কাজল। শহিদুল ইসলাম সুইট নিজের ফেসবুক থেকে তাদের ভ্রমণের ছবি পোস্ট করেন।

ঘটনা এমন হলে এই কমিটির কাছ থেকে কীভাবে সঠিক রিপোর্ট পাওয়া যাবে, এমন প্রশ্ন রেখে অভিযোগকারী সেই নার্স বলেন, তিন মাসের বেশি হয়ে গেছে আমার অভিযোগের। এখন পর্যন্ত আমার সাক্ষ্য নেয়া হয়নি। হাসপাতালে চাকরি করতে অনিরাপদ বোধ করি। আবার আমার পাশে যারা দাঁড়িয়েছেন তাদেরকেও হুমকি-ভয়ভীতি দেখানো হচ্ছে। অভিযোগ দিয়ে বরং চাকরি নিয়ে টানাটানিতে পড়েছি।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেয়া ভিডিওর বিষয়ে অভিযোগকারী আরও বলেন, আমার সঙ্গে যা ঘটেছে তাই বলেছি। আর সুইট তো হাসপাতাল থেকে বিভিন্নভাবে আয় করেন। এটা সবাই জানেন। তার অ্যাম্বুলেন্স আছে। ইমপালস হাসপাতালে অংশীদার।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, শহিদুল ইসলামের সুইটের বাবা মোহাম্মদ আলী হাসাপাতালের অ্যাম্বুলেন্সচালক ছিলেন। বাবার পরে তিনি হাসপাতালে চাকরি নেন। সুইটের নামে মোহাম্মদ আলী হাসপাতাল এলাকায় দুইটি অ্যাম্বুলেনস চলে। ঠনঠনিয়া এলাকায় সম্প্রতি চালু হওয়া ইমপালস নামে একটি বেসরকারি হাসপাতালেও অংশ আছে তার।

শহিদুল ইসলাম সুইটের বিরুদ্ধে অভিযোগের প্রসঙ্গে ১২৮ জন নার্স স্বাক্ষর করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে দিয়েছেন। এখানে স্বাক্ষর করা নার্সদের মধ্যে পাঁচ জন জানান, সুইট হাসপাতালের সবকিছুতে প্রভাব খাটান। তিনি নার্স, মেডিক্যাল টেকনিশিয়ানদের ইন্টার্নি করার সুযোগ দিয়ে টাকা আদায় করেন। ওই নার্সের অভিযোগে স্বাক্ষর দেয়ার কারণে সুইটের পক্ষের লোকজন বিভিন্নভাবে ভয়ভীতি দেখান।

অভিযুক্ত শহিদুল ইসলাম সুইট বলেন, ‘ভাই উনি অভিযোগ করেছিলেন। সেটা একটা আপোসের মধ্যে চলে এসেছিল প্রায়। কিন্তু এর মধ্যে তিনি একটি ভিডিও দেন ফেসবুকে। উনি যেসব অভিযোগ করছেন সেগুলো সত্য নয়। আমি শুধু চাকরি করি,  আমার অ্যাম্বুলেন্স নেই।অন্য কোনো ব্যবসা নেই।’

তদন্ত কমিটির সদস্য তত্ত্বাবধায়ক সেবা আফরোজা আখতার সম্প্রতি অবসরে চলে গেছেন। তিনি জানান, চাকরিতে থাকা অবস্থায় ওই তদন্তে কয়েক জনের সাক্ষ্য গ্রহণ হয়। তবে শহিদুল ইসলামের সাক্ষ্য নেয়া বাকি ছিল। এরপর ২৭ ফেব্রুয়ারি অবসরে চলে আসি। এখন আমার ওই পদে যিনি আছেন তিনিই তদন্তের দায়িত্বে থাকবেন।

তদন্ত কমিটির প্রধান মেডিসিন বিভাগের সিনিয়র কনসালটেন্ট রফিকুল ইসলামের সঙ্গে কথা হয়। তার দাবি, তদন্ত চলমান না থাকলে যে নার্স অভিযোগ দিছে, সে কীভাবে সাক্ষ্য দেয়? এ ছাড়াও তদন্তের সময়সীমা বাড়িয়ে নেয়ারও দাবি করেন ডা. রফিকুল ইসলাম।

তবে কবে সাক্ষ্য নিয়েছেন এবং তদন্তের সময়সীমা জানতে চাইলে ডা. রফিকুল বলেন, সেটা তাকেই (নার্স) জিজ্ঞেস করেন। আমার এখন মনে নেই।

 

নরমাল ডেলিভারি সেবায় প্রথম স্থান অর্জন আড়াইহাজার ইউএইচসি’র

সর্বোচ্চ স্বাভাবিক প্রসব সেবায় প্রথম স্থান অর্জন করেছে আড়াইহাজার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। ২০২২ সালে স্বাভাবিক প্রসব সেবা বিভাগে এই কৃতিত্ব অর্জন করলো আড়াইহাজার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সায়মা আফরোজ ইভার নিরলস প্রচেষ্টায় এবং মিডওয়াইফ সহ সকলের সহযোগিতায় ১২৫৩ জন্য নারীর স্বাভাবিক প্রসব সম্পন্ন হয় এই স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সটিতে । এর মধ্যে ৬২০টি প্রসবে সহায়তা করে সর্বোচ্চ প্রসব করানোর গৌরব অর্জন করেন মিডওয়াইফ ফারজানা।

তাছাড়া জাতির পিতার ১০৩ তম জন্মদিবস উপলক্ষ্যে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর কতৃর্ক আয়োজিত স্বাস্থ্য সেবা সপ্তাহ পালিত হচ্ছে। সেই লক্ষ্যে জরায়ু-মূখ ক্যান্সার ও ব্রেস্ট ক্যান্সার স্ক্রিনিং ক্যাম্পেইন অনুষ্ঠিত হয়।

সম্পূর্ণ নিজ উদ্যোগে করা এই জরায়ু-মূখ ক্যান্সার ও ব্রেস্ট ক্যান্সার স্ক্রিনিং ক্যাম্পেইনে রেকর্ড সংখ্যক নারী ১০০৭ জনের পরীক্ষা করা হয় এবং পরবর্তী চিকিৎসা নিশ্চিতে লক্ষ্যে ৯১৬ জন স্ক্রিনিংকৃত মহিলাকে ই-আইডি প্রদান করা হয়।

২১ মার্চ ২০২৩ তারিখে ঢাকা বিভাগীয় সমন্বয় সভায় বিভাগের সকল সিভিলসার্জনদের উপস্থিতিতে আড়াইহাজারের ইউএইচএফপিও ডা. সায়মা আফরোজ ইভা এবং মিডওয়াইফ ফারজানাকে ক্রেস্ট উপহার দেন বিভাগীয় পরিচালক ডা.ফরিদ হোসেন মিয়া।

তথ্যসূত্রঃ স্বাস্থ্য অধিদপ্তর