করোনা টিকায় ভ্যাট মওকুফ

টিপু সুলতান
সিনিয়র রিপোর্টার

করোনার ভাইরাসের টিকায় কোনো মূল্য সংযোজন কর (মূসক) নেই। কোনো কোম্পানি যদি এই টিকা আমদানি করে, তাহলে মূসক বা ভ্যাট দিতে হবে না। আবার কেউ যদি টিকা আমদানি করে সরবরাহ করে থাকে, সরবরাহ পর্যায়ে ভ্যাট দিতে হবে না। আবার কোনো কোম্পানি যদি টিকা উৎপাদনও করে, তাহলেও ভ্যাট দিতে হবে না।

জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) করোনার টিকায় ভ্যাট মওকুফ করেছে। জনস্বার্থে এনবিআর এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সাধারণ জীবন রক্ষাকারী ওষুধের ওপর এমনিতেই কোনো কর নেই। তবে টিকার বিষয়টি এখন প্রজ্ঞাপন দিয়ে পরিষ্কার করা। গত জুন মাসে করোনাভাইরাস প্রতিরোধক সামগ্রী, যেমন মাস্ক, পিপিই, স্যানিটাইজারসহ বিভিন্ন ব্যক্তিগত সামগ্রীর ওপর ভ্যাট অব্যাহতি দিয়েছিল এনবিআর।

এনবিআরের নতুন প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, ২০১২ সালের মূল্য সংযোজন কর ও সম্পূরক শুল্ক আইনের ১২৬ ধারার ৩ নম্বর উপধারার ক্ষমতাবলে বৈশ্বিক মহামারির দুর্যোগ সময়ে কোভিড-১৯ নিরোধক টিকা আমদানি–পরবর্তী সংরক্ষণ, বিপণন, পরিবহন, পরিবেশন ও টিকাদান কর্মসূচির ফির ওপর মূল্য সংযোজন কর অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।

এ ক্ষেত্রে দুটি শর্ত দেওয়া হয়েছে। শর্ত দুটি হলো: প্রথমত, কোভিড-১৯ নিরোধক টিকা শুধু বাংলাদেশ সরকারকে সরবরাহ করতে হবে। টিকা সরবরাহ বাবদ প্রাপ্ত অর্থের যাবতীয় হিসাব বিবরণী অর্থপ্রাপ্তির ১০ দিনের মধ্যে সংশ্লিষ্ট ভ্যাট কমিশনারেটে জমা দিতে হবে।

গত জানুয়ারি মাসে প্রথম এ দেশে ভারত থেকে কোভিশিল্ড টিকা আমদানি শুরু হয়। অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার উদ্ভাবিত এই টিকা বানাচ্ছে ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here