দীর্ঘতম বন্ধের তালিকায় ২য় অবস্থান থেকে সরে আসতে চলছে বাংলাদেশ।

দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার পক্ষ মত দিয়েছে করোনা-সংক্রান্ত জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটি। দীর্ঘ প্রায় দেড় বছর বন্ধ থাকার পর করোনার সংক্রমণ নিম্নমুখী হওয়ায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার বিষয়ে মতামত ঠিক করতে বৃহস্পতিবার রাতে জরুরী বৈঠক শেষে রাতে কমিটির সভাপতি অধ্যাপক মোহাম্মদ সহিদুল্লা জানান, করোনার পজিটিভ হার কমে এসেছে। তা ছাড়া ধীরে ধীরে করোনার টিকাপ্রাপ্তি নিশ্চিত হচ্ছে। এ জন্য সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে এবং জনস্বাস্থ্যবিষয়ক বেশ কিছু সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়া সাপেক্ষে এখন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া যায়।

গত ২৬ আগস্ট শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত সভায় টিকা দেওয়া সাপেক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো আগামী ১৫ অক্টোবরের পর থেকে খুলতে পারবে মর্মে পরিকল্পনা নেওয়া হয়। জরুরী এ মিটিং শেষে আভাস পাওয়া যায় যে, এই সময় এগিয়েও আসতে পারে। অবশ্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলো শিক্ষা বিষয়ে নিজেরাই সিদ্ধান্ত নেয়।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সূত্রমতে, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে আগামী রোববার আন্তমন্ত্রণালয় সভা ডাকা হয়েছে। এই সভাতেই বিস্তারিত আলোচনা করে খোলার সিদ্ধান্ত হতে পারে।

ইউনিসেফের গত ২৪ আগস্ট প্রতিবেদন প্রকাশ করে। প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, কোভিড-১৯–এর কারণে স্কুল বন্ধের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ বিশ্বের দ্বিতীয় দীর্ঘতম দেশ। দীর্ঘ বন্ধের কারণে প্রাক্‌-প্রাথমিক থেকে উচ্চশিক্ষা স্তর পর্যন্ত চার কোটির বেশি শিক্ষার্থী ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

এর আগে ১৮ আগস্ট সচিব সভায় করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতি ও টিকা দেওয়ার বিষয়টি বিবেচনা করে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে চলমান ছুটি শেষ হবে ১১ সেপ্টেম্বর। এরপর আর ছুটি না–ও বাড়ানো হতে পারে মর্মে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সূত্রমতে জানা যায়।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here