মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষা ২ এপ্রিল অনুষ্ঠিত হবে।

টিপু সুলতান
সিনিয়র রিপোর্টার

এ বছর (২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষ) এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষা আগামী ২ এপ্রিলে অনুষ্ঠিত হবে। সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে পরীক্ষা আয়োজন করা হবে। ভর্তি-ইচ্ছুকদের পরীক্ষার প্রস্তুতি নেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে। পরীক্ষার্থীর সংখ্যা বেশি হওয়ায় সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখারও একটা বিষয় আছে। এজন্য পরীক্ষাকেন্দ্রের সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে।

গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষে এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষার প্রস্তুতিমূলক সভায় এসব সিদ্ধান্ত হয়।

স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এ এইচ এম এনায়েত হোসেন বলেন, ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষে এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষা আগামী ২ এপ্রিল অনুষ্ঠিত হচ্ছে। ১৯টি কেন্দ্রের ৫৪টি ভেন্যুতে এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা আছে। পরীক্ষার ভেন্যুসংখ্যা বাড়তেও পারে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অধীনে কেন্দ্রীয়ভাবে রাজধানীসহ সারা দেশে আগামী ২ এপ্রিল সকাল ১০টা থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত ঘণ্টাব্যাপী ১০০ নম্বরের নৈর্ব্যক্তিক প্রশ্নে মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। এ বছর ১ লাখ ২২ হাজার ৭৬১ জন পরীক্ষা দেওয়ার জন্য আবেদন করেছেন। এ হিসাবে এ বছর আসন প্রতি ২৮ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নেবেন।

আগামী ২০ থেকে ২৫ মার্চ পর্যন্ত মেডিকেল ভর্তির জন্য প্রবেশপত্র ডাউনলোড করতে পারবেন শিক্ষার্থীরা। দেশের সরকারি মেডিকেল কলেজগুলোতে এমবিবিএস কোর্সে ভর্তিতে ২৮২টি আসন বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়। এই সিদ্ধান্ত ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষ থেকেই কার্যকর হবে।

১০০ নম্বরের ১০০টি এমসিকিউ প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে শিক্ষার্থীদের । প্রতিটির প্রশ্নের মান ১, এমসিকিউ পরীক্ষা হবে ১ ঘণ্টায়। পরীক্ষায় পদার্থবিদ্যায় ২০, রসায়নে ২৫, জীববিজ্ঞানে ৩০, ইংরেজিতে ১৫ এবং সাধারণ জ্ঞান, ইতিহাস ও মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক ১০ নম্বর (মোট ১০০) থাকবে।

লিখিত পরীক্ষায় প্রতিটি ভুল উত্তরের জন্য শূন্য দশমিক ২৫ নম্বর কাটা যাবে। লিখিত পরীক্ষায় ১০০ নম্বরের মধ্যে ন্যূনতম ৪০ নম্বর পেতে হবে। এর কম পেলে অকৃতকার্য বলে বিবেচিত হবেন। কেবল কৃতকার্য পরীক্ষার্থীদের মেধাতালিকাসহ ফলাফল প্রকাশ করা হবে।

এসএসসি ও এইচএসসি বা সমমান পরীক্ষায় প্রাপ্ত জিপিএ মোট ২০০ নম্বর হিসেবে নির্ধারণ করে মূল্যায়ন করা হবে। লিখিত পরীক্ষার ভিত্তিতে মেধাতালিকা প্রণয়ন করা হবে।

এবারও আগের নিয়মেই ভর্তি পরীক্ষা আয়োজন করা হবে। এ ক্ষেত্রে আবেদনের শর্ত এবং এসএসসি ও এইচএসসি জিপিএর ওপর ধার্য করা ২০০ নম্বরও কমানো হচ্ছে না। পূর্ববর্তী বছরের এইচএসসি পাস প্রার্থীদের ক্ষেত্রে মোট নম্বর থেকে ৫ নম্বর এবং পূর্ববর্তী বছরের সরকারি মেডিকেল, ডেন্টাল ইউনিটে ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে মোট নম্বর থেকে ৭ দশমিক ৫ নম্বর কেটে মেধাতালিকা তৈরি করা হবে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here