সেনা সদস্য কর্তৃক চিকিৎসক নির্যাতন শৈলকুপায়।

নিরাপদ কর্মপরিবেশ যেন সুদূরপরাহত। একের পর এক চিকিৎসক নির্যাতনের ঘটনায় স্বাস্থ্য সেবাদানকারীগণ শংকিত। এবার শার্টের কলার ধরে জরুরি বিভাগে কর্তব্যরত ডাক্তারকে চড়-থাপ্পড় মারলেন এক সেনা সদস্য। গলা থেকে টান মেরে ছিঁড়ে ফেলা হয় ডাক্তারের স্টেথোস্কোপসহ সরঞ্জাম। ধাক্কা মেরে ফেলে দেয়া হয় মেঝেতে।

বাম কানে আঘাতপ্রাপ্ত চিকিৎসককে ভর্তি করা হয় হাসপাতালে। চিকিৎসককে উদ্ধারে সহকারীরা এগিয়ে আসলে তাদেরও শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করা হয়। রবিবার (২৪ জানুয়ারি) গভীর রাতে এ ঘটনাটি ঘটেছে ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। আহত ও লাঞ্চিত ডাক্তার কিশোর কুমার কুন্ডু শৈলকুপা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিক্যাল অফিসার।

হাসপাতালে ডাক্তারের সঙ্গে এই ঘটনা ঘটেছে ছুটিতে থাকা সেনা সদস্য নাজমুল হাসানের এক রোগী নিয়ে। নাজমুল হাসান ঝিনাইদহের শৈলকুপার ছোট মৌকুড়ি গ্রামের আফিল উদ্দিনের ছেলে বলে জানা গেছে। এ ব্যাপারে শৈলকুপা থানায় নাজমুল হাসান ও তার ভাই নজরুল ইসলামের বিরুদ্ধে সোমবার (২৫ জানুয়ারি) একটি সাধারণ ডায়েরি ( জিডি নং ১১২১, তাং ২৫-০১-২১) করেছেন লাঞ্ছিত মেডিক্যাল অফিসার কিশোর কুমার কুন্ডু। সেনা সদস্য পরিচয়দানকারী মো: নাজমুল হাসান ৭ম বীর, রাঙ্গামাটিতে কর্মরত, তার ব্যাচ নং ৪৫২০৬৬৫ বলে পুলিশ ও হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে।

শৈলকুপা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগে কর্মরত ওয়ার্ডবয় সিরাজুল ইসলাম জানান, রবিবার রাত ১টার দিকে ৬নং সারুটিয়া ইউনিয়নের ছোট মোৗকুড়ী গ্রামের নজরুল ইসলামের স্ত্রী সুইটি খাতুনকে চিকিৎসার জন্য জরুরি বিভাগে আনা হয়। তিনি পৌঁছানোর আগেই সুইটি খাতুনের স্বজন সেনা সদস্য পরিচয়দানকারী নাজমুল হাসান সহ ৮/১০ জন যুবক জরুরি বিভাগে এসে গ্রিল ধাক্কাতে থাকে। গ্রিলটি খোলার সাথে সাথে তার স্বজনরা জরুরি বিভাগে তাণ্ডব চালাতে থাকে। এসময় তারা জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. কিশোর কুমার কুন্ডুর গলায় থাকা স্টেথোস্কোপ কেড়ে নিয়ে নষ্ট করেন। এছাড়া তার মুখের মাস্ক ও ওয়ালে টানিয়ে রাখা গুরুত্বপূর্ণ মোবাইল নাম্বার ছিঁড়ে নষ্ট করে গালিগালাজ করেন।

এ বিষয়ে শৈলকুপা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম জানান, হাসপাতালের চিকিৎসক লাঞ্ছিতের ঘটনায় একটি জিডি দায়ের হয়েছে। তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here