প্রফেশনাল পরীক্ষার দাবীতে অনশনে যাচ্ছেন মেডিকেল শিক্ষার্থীরা

Health

ফাইন্যাল প্রফ এক্সামের দাবিতে নানা আন্দোলন কর্মসূচি পালনের পর এবার লাগাতার অনশনে যাচ্ছে মে’২০ এর পরীক্ষার্থীরা। আজ দুপুর ১২টায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে তাদের এ কর্মসূচি শুরু হবে।

সোমবার (৩১ আগস্ট) ফাইনাল প্রফ মে’২০ পরীক্ষার্থীদের পাঠানো এ সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয় ।

করোনা মহামারিতে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মতো মেডিকেল কলেজগুলোও বন্ধ রয়েছে বিধায় আটকে আছে মে’২০ এর প্রফসহ সব কয়টি প্রফ। একই ব্যাচের একাংশের শিক্ষার্থীরা এখন ইন্টার্ন ডাক্তার হিসেবে প্রেক্টিস করে আসলেও কভিড-১৯ এর জন্য অপর অংশের সাপ্লিমেন্টারী পরীক্ষা মে-২০ এ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও এখনো তা অনুষ্ঠিত হওয়ার কোন সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে না । দীর্ঘদিন শিক্ষার্থীরা এ পরীক্ষার দাবিতে আন্দোলন করে আসলেও এ বিষয়ে দৃশ্যমান কোন আগ্রগতি আসে নাই। শুধু শিক্ষার্থীরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে তা নয় এরইসাথে চলতি ইন্টার্ন ডাক্তারগনের ইন্টার্ন সমাপ্ত হলে হাসপাতালগুলো ইন্টার্ণ চিকিৎসক সংকটে পরার সম্ভাবনা রয়েছে। এমতাবস্থায় তিন দফা দাবিতে দুপুর ১২টা থেকে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে লাগাতার অনশন কর্মসূচি পালন করবেন বলে জানান এমবিবিএস ফাইন্যাল প্রফ পরীক্ষার অপেক্ষায় থাকা পরীক্ষার্থীবৃন্দ।

তিন দফা দাবি হচ্ছে:
ক. বিশ্ববিদ্যালয় ও মেডিকেল কলেজ এর ঐক্যমত তথা বিএমডিসির সার্বিক সহায়তায় সেপ্টেম্বরেই অনতিবিলম্বে যোগদানের ব্যবস্থা গ্রহণ।
খ. চলমান করোনা সংকট মোকাবেলায় দ্রুত আসন্ন ইন্টার্ন ঘাটতি পূরণে প্রয়োজনে পরীক্ষা পদ্ধতি সংস্করণ ও অনতিবিলম্বে ফলাফল প্রকাশ।
গ. বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক অনুমোদন সংক্রান্ত জটিলতা ও দীর্ঘসূত্রিতা সমাধানে আপাতত মেডিকেলের কলেজের তত্ত্বাবধায়নে সর্বোচ্চ ব্যবস্থা গ্রহণ।

এ বিষয়ে আন্দোলনকারীরা জানান যে বার বার পরীক্ষার ব্যাপারে আন্দোলন করেও কতৃপক্ষের কাছ থেকে কোন আশানুরূপ সাড়া পাওয়া যাচ্ছে না। কলেজসমূহ পরীক্ষা নিতে রাজি থাকলেও বিশ্ববিদ্যালয় চালু না থাকার কারণে এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়সমূহ থেকে কোন নির্দেশনা পাওয়া যাচ্ছে না বিধায় পরীক্ষা বিষয়ে দায়ীত্ব নিয়ে কেও কথা বলছেন না। কখনো বিশ্ববিদ্যালয়ের অযুহাত বা কখনো বিদেশী শিক্ষার্থীদের আসার জঠিলতার অযুহাতে পরীক্ষার ব্যাপারে কোন সিদ্ধান্ত আসছে না।

একই সময়ে বর্তমান পরিস্তিতিতে ভারত, পকিস্তানসহ প্রতিবেশী অধিকাংশ দেশেই মেডিকেল ফাইনাল প্রফগুলো নিয়ে নেওয়া হলেও স্বাস্থ্য ঝুকির কথা বিবেচনা করে বাংলাদেশে পরীক্ষা স্থগিত রাখা হয়েছে। ঝুঁকিপূর্ণ এ পেশায় ঝুকি নিয়েই যাত্রা শুরু করতে হয়। এখানে স্বাস্থ্য ঝুকির কথা চিন্তা করা পরীক্ষা স্থগিত রাখা ঝুকিতে কাজ না করার শিক্ষা বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা এবং এরকম চিন্তাধারা নেই বলেই এ পেশায় আসা মন্তব্য আন্দোলনকারীদের।

শেষ পাওয়া খবরে জানা যায় যে, আন্দোলনকারীদেরকে মৌখিকভাবে অক্টোবরে পরীক্ষা নেয়ার আশ্বাস দেয়া হলেও তারা লিখিত আশ্বাস ছাড়া আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার সিদ্বান্তে অনড়।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here