“বৈশ্বিক মহামারীতে হৃদ রোগীদের প্রতি হৃদয়বান হোন।”স্লোগানকে সামনে রেখে পালিত হচ্ছে বিশ্ব হার্ট দিবস-২০২০।
হৃদরোগ বিশেষজ্ঞরা জানান বাংলাদেশের তরুণরা বেশি ঝুঁকিতে আছে হৃদ রোগের। খেলাধুলা, গায়েশ্রম, ধুমপান ও খাদ্যভাসের কারনে শিশু এবং তরুণরা এই ঘাতক ব্যাধিতে আক্রান্ত হচ্ছে বলে এমন আশঙ্কা ।
বিশ্ব হার্ট দিবসে ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন বলছে হার্টের চিকিৎসায় অনেকদূর এগিয়েছে বাংলাদেশ। বিশ্বমানের চিকিৎসা এখন বাংলাদেশেই সম্ভব। তবে, প্রতিকারের চেয়ে প্রতিরোধকেই গুরুত্ব দিয়ে সবাইকে সবচেয়ে বেশি সচেতন হওয়ার আহবান জানিয়েছেন তারা।
বিশ্বের অন্যতম জনবহুল দেশ বাংলাদেশে মানুষের হৃদযন্ত্রের অবস্থা ভালো নেই। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য বলছে বাংলাদেশে প্রতি বছর দুই লাখ ৭৭ হাজার ৯৯২ জন মানুষ হৃদরোগে মারা যায়।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সর্বশেষ তথ্যনুযায়ী ২০০৯ থেকে ২০১৬ এই সময়ে জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটের বহির্বিভাগে সেবা নিতে আসা রোগীর সংখ্যা বেড়েছে ৪১.৩ শতাংশ। ২৫ থেকে ৩০ বছর বয়সীদের আক্রান্তের হার ক্রমশ ঊর্ধমুখী। ঝুঁকি বেড়েছে শিশুদের হৃদরোগে আক্রান্ত হবারও। তবে, জীবন যাত্রায় সামান্য কিছু পরিবর্তন আনলেই হার্টকে সুস্থ সবল রেখে সুস্থ ভাবে বেশিদিন বাঁচা সম্ভব। হৃদরোগের চিকিৎসার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে। কিন্তু কিছু আনুষাঙ্গিক ব্যবস্থাপনার অভাবে অনেক সময় ব্যহত হচ্ছে সঠিক চিকিৎসা।
বিশেষজ্ঞরা মনে করেন তরুণ প্রজন্মকে হৃদরোগের ঝুঁকি থেকে বাচাতে এখনই লাইফস্টাইল পরিবর্ত, খাদ্যাভ্যাস এর পরিবর্তন এবং দৈনন্দিন শারিরিক কসরত একান্ত প্রয়োজন।