একুশে বইমেলা আয়োজনের বিকল্প নেই বলে মনে করেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।

ছবি: সংগ্রহীত

মননশীল লেখকদের বিকাশ ও সুরক্ষার ক্ষেত্র হিসেবে অমর একুশে বইমেলা আয়োজনের বিকল্প নেই বলে মনে করেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।

মঙ্গলবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) ‘অমর একুশে বইমেলা ও অনুষ্ঠানমালা ২০২২’ উপলক্ষে দেওয়া বাণীতে এ কথা বলেন তিনি।

অমর একুশে বইমেলা বাঙালির প্রাণের মেলা। বই কেনার পাশাপাশি আলোচনা সভা, সঙ্গীতানুষ্ঠান, প্রদর্শনী, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান প্রভৃতির মাধ্যমে সবার মাঝে ছড়িয়ে পড়ে সংস্কৃতির অমিয় সুধা। বাংলা একাডেমির এই প্রাঙ্গণে সৃজনশীল ও মননশীল লেখকদের বিকাশ ও অধিকার সুরক্ষার ক্ষেত্র হিসেবে অমর একুশে বইমেলা এক অবিকল্প আয়োজন।

তিনি বলেন, মহান ভাষা আন্দোলনের চেতনাকে সমুজ্জ্বল রেখে ‘অমর একুশে বইমেলা’ বাংলা ভাষা, সংস্কৃতি, ইতিহাস ও ঐতিহ্যের ধারক-বাহক হয়ে উঠবে, এ আমার দৃঢ় বিশ্বাস।

আবদুল হামিদ বলেন, বাংলা একাডেমির উদ্যোগে অমর একুশে বইমেলা ও অনুষ্ঠানমালা-২০২২’ এর আয়োজন ইতোমধ্যে বাঙালির শিক্ষা, সংস্কৃতি ও ইতিহাস ঐতিহ্যের বিকাশে একটি অন্যতম প্রধান অনুষ্ঠান ও উৎসবে পরিণত হয়েছে।

একুশের বইমেলা বাঙালি সংস্কৃতির অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ। প্রতিবছর ফেব্রুয়ারি মাসজুড়ে বাংলা একাডেমি আয়োজিত বইমেলা লেখক-পাঠক-সংস্কৃতিকর্মী তথা সমাজের নানা শ্রেণি পেশার মানুষের মধ্যে অনন্য জাগরণ সৃষ্টি করে।

বাংলা একাডেমির প্রশংসা করে আবদুল হামিদ বলেন, বাঙালির সাহিত্য-সংস্কৃতির পাদপীঠ বাংলা একাডেমি ১৯৫৫ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। বাংলা একাডেমি মহান ভাষা আন্দোলনের  স্মৃতিকে নানাভাবে ধারণ করে আছে। প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে বাংলা একাডেমি বাংলা ভাষা, সাহিত্য ও সংস্কৃতির উৎকর্ষ সাধনে নিরবচ্ছিন্ন দায়িত্ব পালন করে আসছে।

তিনি বলেন, ভাষা শহীদদের রক্তস্নাত পথ ধরে গড়ে ওঠা বাংলা একাডেমি বাংলা সাহিত্য ও সংস্কৃতিকে দেশ ও দেশের বাইরে মর্যাদার আসনে প্রতিষ্ঠিত করার মাধ্যমে সারা বিশ্বের বাংলা ভাষাভাষী মানুষের প্রাণের প্রতিষ্ঠানে পরিণত হবে – এ প্রত্যাশা করি।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here