ইচ্ছামৃত্যু (Euthanasia) স্বীকৃতি পেল নিউজিল্যান্ডে

বিতর্কিত একটা ইস্যু ইচ্ছা মৃত্যু বা Euthanasia! ক্যানাডা, নেদারল্যান্ডসের পর ইচ্ছামৃত্যুকে স্বীকৃতি দিলেন নিউজিল্যান্ডের জনগন। নিউজিল্যান্ড এর নির্বাচনের সময় একটা অতিরিক্ত ইস্যু হিসেবে Euthanasia এর উপর গণভোট করা হয়। এতে Euthanasia আইন করার পক্ষে রায় আসে। আগামী বছরেই নতুন আইন করা হবে।

অনেকের মতে এর মাধ্যমে যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত নিল নিউজিল্যান্ড। ইউথেনেশিয়াকে স্বীকৃতি দিয়ে দেশের মানুষ মৃতপ্রায় মানুষকে ইচ্ছামৃত্যু বেছে নেয়ার সুযোগ করে দিলেন।।

ইচ্ছামৃত্যুর বিপক্ষে আন্দোলন

কাজটি উদারপন্থা, মানবাধিকার, রক্ষণশীলতার মারপ্যাচে অত্যান্ত জটিল এক সিদ্ধান্ত। বহু দেশেই ইথেনেশিয়া বা ইচ্ছামৃত্যু নিয়ে বহু আন্দোলন হচ্ছে।

কেন Euthanasia দিবে এর উত্তরে ইচ্ছামৃত্যু আন্দোলনের পক্ষে যুক্তি হচ্ছে, এমন অনেক মানুষ আছেন, যাঁরা দীর্ঘদিন ধরে মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করছেন এবং সবাই জানেন যে, কোনো ভাবেই তাঁদের সুস্থ করা যাবে না। তবু তাঁদের চিকিৎসা চালিয়ে যেতে হয়। বিপুল পরিমাণ অর্থ খরচ হয়। পাশাপাশি মৃতপ্রায় ব্যক্তিকে আরো বেশি শারীরিক এবং মানসিক যন্ত্রণা দেওয়া হয়। এর থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্যই প্রয়োজন ইচ্ছামৃত্যু। চিকিৎসকদের সাহায্য নিয়ে দ্রুত মৃত্যুর ব্যবস্থা করতে পারলে কষ্টটা লাগব হবে।

যুক্তি আসে তর্কের খাতিরে! যুক্তি যা ই আসুক না কেন, পৃথিবীর অধিকাংশ দেশের আইনই ইচ্ছামৃত্যুকে সমর্থন করে না।

বর্তমান পৃথিবীতে শুধুমাত্র নেদারল্যান্ডস, ক্যানাডা সহ খুব সামান্য কিছু দেশে ইচ্ছামৃত্যুকে স্বীকৃতি দেওয়া হয়। নিউজিল্যান্ডেও দীর্ঘ দিন ধরে ইথেনেশিয়া নিয়ে আলোচনা চলছিল। চলতি নির্বাচনের সময় ৬৫ ভাগ সমর্থন পেয়ে এবার ইচ্ছামৃত্যু আইনে রূপধারণ করতে যাচ্ছে।

নিউজিল্যান্ডের আইনসভা জানিয়েছে, এখনই আইন প্রনয়ন শুরু করলে আগামী বছরের শেষ নাগাদ এই আইন বাস্তবে প্রয়োগ করা যাবে। অর্থাৎ ইচ্ছামৃত্যু বরণ করা সম্ভব হবে।

পুরা প্রক্রিয়াটাও এত সহজ নয়। ইচ্ছামৃত্যু অনুরোধ আসলে দুজন ডাক্তারের পরীক্ষানিরীক্ষা ও সুপারিশের ভিত্তিতে এবং তাদের উপস্থিতিতে সকল সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করতে হবে।

(রয়টার্স)

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here