আজ ১০ অক্টোবর প্যালিয়েটিভ কেয়ার দিবস।

নিজস্ব প্রতিবেদক:
আজ ১০ অক্টোবর বিশ্ব প্যালিয়েটিভ কেয়ার দিবস। সারা বিশ্বে ক্যান্সার রোগীদের ব্যথা (ক্যান্সার পেইন) লাঘবে এই দিনটি পালন করা হয়।
সাম্প্রতিক সময়ে সারা বিশ্বেই ক্যানসার অসংক্রামক রোগগুলোর মধ্যে অন্যতম। এর পরিধিও ব্যাপক আকার ধারণ করেছে। একসময় উন্নত বিশ্বের রোগ হিসেবে পরিচিত ক্যানসার বিষাক্ত ছোবল এনেছে আমাদের দেশেও। ক্রমবর্ধমান ক্যানসার রোগী পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্রের জন্য তৈরি করছে নানামুখী চাপ ও সংকট। এখন আমাদের দেশে প্রতিবছর উল্লেখযোগ্য রোগী বিভিন্ন ক্যান্সারে আক্রান্ত হচ্ছে।

বাংলাদেশে প্রায় ১৫ লাখ মানুষ ক্যানসার রোগে আক্রান্ত। প্রতিবছর ১ লাখ ৫০ হাজার ৭৮১ জন নতুন ক্যানসার রোগী শনাক্ত হয়। এর মধ্যে প্রায় ১ লাখ ৮ হাজার ১৩৭ জন রোগী মারা যায়। (সূত্র: বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, গ্লোবেক্যান, ২০১৮)

আমাদের দেশে বিলম্বে ক্যানসার নির্ণয় হয় বলে পুরোপুরিভাবে রোগ নিরাময় করা সম্ভব হয়ে ওঠে না। কারণ, এটি শরীরের এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় ছড়িয়ে পড়ে এবং বিভিন্ন উপসর্গ তৈরি করে। ক্যানসারের ব্যথা (ক্যানসার পেইন) একটি মারাত্মক ও যন্ত্রনাদায়ক উপসর্গ। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই ব্যথা উপশমের লক্ষ্যে চিকিৎসা দেওয়া হয়ে থাকে। ওয়ার্ল্ড হসপিস অ্যান্ড প্যালিয়েটিভ কেয়ার ডে পালিত হয় অক্টোবরের দ্বিতীয় শনিবার। সে হিসাবে এবার ১০ অক্টোবর এ দিবস পালন করা হয়। এবারের প্রতিপাদ্য—”মাই কেয়ার, মাই কমফোর্ট (আমার যত্ন, আমার আরাম)।”

ক্যানসারের ব্যথা ও চিকিৎসা প্যালিয়েটিভ কেয়ারের মূল লক্ষ্য ক্যানসারের ব্যথায়ন চিকিৎসা প্রদানের মাধ্যমে উপশম করা। প্রায় ৮০ শতাংশ উন্নয়নশীল দেশের লোকের হসপিস ও প্যালিয়েটিভ কেয়ারের প্রয়োজন জীবনের শেষ দিনগুলোর জন্য। যাতে তারা জীবনের শেষ দিনগুলোতে একটা কম কষ্টহীন জীবন অতিক্রম করে মৃত্যুর মুখোমুখি হতে পারেন।

এ সময় ক্যান্সার আক্রান্ত রোগীর মানসিক অবস্থার পরিবর্তনের কারণে ব্যথার তীব্রতা আরও বেড়ে যায়। দুশ্চিন্তা, ভয়ভীতি, বিষণ্নতা, হতাশার কারণে ব্যথা আরও তীব্রতর হয়ে দাঁড়ায়। এসব দিক বিবেচনা করে ব্যথাকে নিরাময় করাই প্রধান লক্ষ্য হওয়া উচিত, যাতে রোগীরা ব্যথামুক্ত অবস্থায় স্বাচ্ছন্দ্যে বেঁচে থাকতে পারে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here