কভিড-১৯ঃ পরীক্ষা যখন অনিবার্য।

নোবেল করোনা ভাইরাস- ১৯ প্রাদুর্ভাবের শুরু থেকে এই সময়ে সামান্য শরীর গরম বা সর্দি-কাশির লক্ষণ কারো মধ্যে প্রকাশ পেলে চেপে বসছে ভয়। আতঙ্কিত হচ্ছে পরিবার পড়শীগণ। শুধুমাত্র এগুলো প্রকাশ পেলেই ১০০% করোনায় আক্রান্ত হয় ব্যপারটি এমন নয়, বলছেন বিষেজ্ঞগণ। কিন্তু কী করে বুঝবেন আপনি করোনায় আক্রান্ত কি না? কোন উপসর্গ দেখে করোনা পরীক্ষা করাবেন? এ নিয়ে মেডিকেল জার্নালে বিশেষ গাইডলাইনস দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরাও।

সাম্প্রতিককালে বাংলাদেশের রাস্তা ঘাট, হাট বাজার, হাসপাতাল এবং কি প্রতিটি জায়গায় করোনা ভাইরাস নিয়ে সচেতনতার অভাব খুব বেশি লক্ষ করা যাচ্ছে। প্রাদুর্ভাবের শুরুর দিকে নাগরিকরা করোনায় আক্রমণ প্রতিরোধে ব্যক্তিগত সুরক্ষার জন্য সব ধরনের চেস্টা অব্যাহত রেখেছিলো। সরকারের নীতি নির্ধারনী পর্যায় থেকেও সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়ার জন্য জনগণ কে বিভিন্ন ভাবে উৎসাহিত করা হয়েছে।

সীমিত আকারে যানবাহন চলাচল, রাস্তা ঘাটে মাস্ক পরিধান করে নির্দিষ্ট দুরত্ব বজায় রেখে চলাচল করতে বলা হয়েছে। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে নিয়ম মানার ক্ষেত্রে জনগণের মধ্যে চরম অনীহা লক্ষ করা যাচ্ছে। যা খুবই উদ্দেগজনক!

প্রাথমিক পর্যায়ে করোনা পরীক্ষা সরকারি ভাবে ফ্রী করা হলেও সম্প্রতি কিছুটা মূল্য ধার্য করা হয়েছে।
বর্তমান সময়ে জনগণের মধ্যে জ্বর, সর্দি কাশি, শ্বাস কষ্ট, গলা ব্যাথা, পাতলা পায়খানা বা করোনা ভাইরাসের আলামত প্রকাশ পেলেও জনগণ কোভিড পরীক্ষা করতে অনাগ্রহী।

ফ্রন্টনিয়ার্সের ‘পাবলিক হেলথ’ মেডিকেল জার্নালে গবেষকরা বলেছেন, জ্বর বা সর্দি-কাশি মানেই ভাইরাসের সংক্রমণ নাও হতে পারে। মামুলি ভাইরাল জ্বর কিংবা ঠান্ডা লেগেও জ্বর আসতে পারে। বরং কয়েকটি উপসর্গ পরপর দেখা গেলে, তবেই করোনা পরীক্ষা করানো যেতে পারে। কী কী সেই উপসর্গ?

বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন, করোনা সংক্রমণের প্রথম উপসর্গ শরীরের তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়া। সেখান থেকে জ্বর। আর জ্বরের সঙ্গেই সর্দি বা শুকনো কাশি। ক্রমাগত কাশি চলতেই থাকবে। সারা শরীরে অসহ্য যন্ত্রণা শুরু হবে। বিশেষত পেশির ব্যথায় কাবু হবে রোগী। বমিভাব, ঝিমুনি একই সঙ্গে দেখা দেবে। কিছুদিন পর থেকেই হজমের সমস্যা শুরু হবে। পেট খারাপও হতে পারে রোগীর।

চিকিৎসরা জানাচ্ছেন, এইগুলো প্রাথমিক উপসর্গ। এই উপসর্গগুলো যদি টানা চলতে থাকে তাহলেই কোভিড টেস্ট করাতে হবে। সঠিক সময় চিকিৎসা না শুরু হলে এক সপ্তাহের মধ্যেই তীব্র শ্বাসকষ্ট দেখা দিতে পারে। সেই সঙ্গে বুকে ব্যথা। ঠোঁট ও জিভে নীলচে ছোপ পড়তে পারে। অনেকেরই মুখের স্বাদ ও নাকের গন্ধ নেয়ার ক্ষমতা চলে যায়। সেদিকেও খেয়াল রাখতে হবে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here