শীতে করোনার প্রকোপের আশঙ্কায় “নো মাস্ক, নো সার্ভিস” নীতিতে সরকার।

রোববার (২৫ অক্টোবর) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে ভার্চ্যুয়াল এক মন্ত্রিসভা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

গণভবন থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং সচিবালয় থেকে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রীরা এতে অংশ নেন।

বৈঠক শেষে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, চারদিকে ম্যাসিভ ইনস্ট্রাকশন দিয়ে দেওয়া হয়েছে সব লেবেলে। সব প্রতিষ্ঠান, হাট-বাজার, শপিংমল, সামাজিক বা ধর্মীয় যেকোনো সম্মেলনে অবশ্যই মাস্ক ব্যবহার করতে হবে। আমাদের যতগুলো ইনস্টিটিউশন আছে সোশ্যাল বা ফরমাল প্রতিষ্ঠান, সব জায়গায় আমরা ইনস্ট্রাকশন দিয়ে দিয়েছি- নো মাস্ক নো সার্ভিস।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, বিভাগীয় কমিশনারদের নির্দেশনা দিয়ে দিয়েছে- সব সরকারি-বেসরকারি অফিসের বাইরে বড় পোস্টারের মতো দেওয়া থাকবে- মাস্ক ছাড়া কেউ প্রবেশ করতে পারবে না এবং মাস্ক ছাড়া কেউ ব্যবহার করতে পারবে না।

আসন্ন শীতে করোনার প্রকোপ বাড়ার আশঙ্কা থেকে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বলে জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব।

ইসলামিক ফাউন্ডেশন বলা হয়েছে, দেশের সব মসজিদে অন্তত দিনে দুইবার করে প্রচার করার জন্য যে মাস্ক পড়া রাষ্ট্রীয় আদেশ, অবশ্যই মাস্ক পড়তে হবে। আলেম ওলামাদের সঙ্গেও কথা বলেছি।

সরকারি অফিসগুলোতে মাস্ক ছাড়া কেউ এলে সেবা পাবেন না- প্রশ্নে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ঢুকতেই দেওয়া হবে না। শুধু সরকারি না, বেসরকারিও। আমরা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে কথা বলেছি তারাও তাদের ইন্ডাস্ট্রিগুলোতে চালু করেছে।

বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোতে মাস্ক ব্যবহার নিশ্চিত করা নিয়ে এক প্রশ্নের উত্তর মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ইন্সপেকশন করা হবে। পরিদর্শন করা হবে।

সাভারের একটি উদাহরণ দিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, মসজিদে গিয়ে যোহরের নামাজ পড়তে গিয়ে দেখলাম অনেকে ছিল, এসিল্যান্ড বললো, আমরা মসিজিদেও চেক করবো। যদি কেউ পড়ে না যায় আমরা অ্যাকশনে যাবো। ইমাম সাহেব বলেছে আমরা যা বলেছি তা করবেন।

গণপরিবহনে মাস্ক পড়া নিয়ে তিনি বলেন, এ বিষয়ে আমরা কথা বলবো। আজকে এটাও আলোচনা হলো। কোভিডের সিনারিও দেখে আমরা নির্দেশনা দেবো। আমরা রোডস সচিব, নৌ পরিবহন সচিব, রেলওয়ে সচিবের সঙ্গে বসে একটা ওয়ার্ক আউট করে দেবো।

হাসপাতালে চিকিৎসা পেতে সমস্যা হয়েছে- এ বিষয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, এখন সেই সমস্যাটা হবে না। কারণ এখন একটা ট্রিটমেন্ট প্রটোকল চলে এসেছে। আমাদের প্যানিকটা চলে গেছে। ইনিশিয়ারাও এখন অতো ভয় পাচ্ছে না। আমি তো দু’একটা হাসপাতালে গিয়ে দেখেছি।

হাসপাতালগুলোর জন্য নির্দেশনা রয়েছে জানিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, নির্দেশনা আছে যাতে কোভিড এবং নন-কোভিড আলাদা করে ।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here